Wednesday, April 09, 2025

Blog Archive

Total Pageviews

1,692

Disqus Shortname

designcart

Breaking News

PageNavi Results No.

Widget Random Post No.

Comments system

[blogger][disqus][facebook]

Labels Max-Results No.

Tuesday, 28 April 2020

করোনাভাইরাস-১৯ঃ এই সময়ের করণীয়

টেলিভিশনে ইমামকে অনুসরণ করে নামাজ না পড়ার আহ্বান

   
প্রকাশিত: ৭:৫০ অপরাহ্ণ, ২৯ এপ্রিল ২০২০
টেলিভিশন চ্যানেল অনুসরণ করে তারাবীহ্ নামাজসহ অন্য ওয়াক্তের নামাজ আদায় শরীয়তসম্পন্ন হবে না বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। ফলে টেলিভিশনে ইমামকে অনুসরণ করে নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকতে এবং টেলিভিশনে তারাবীহ্সহ অন্য নামাজ সম্প্রচার না করার আহ্বান জানিয়েছে ইফা। বুধবার (২৯ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে জনসমাগম এড়াতে ইমমামসহ সর্বোচ্চ ১২ জন নিয়ে জামাত করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই সময়ে কিছু কিছু টেলিভিশন চ্যানেল তারাবিহের নামাজ সম্প্রচারের মাধ্যমে ইমামকে অনুসরণ করে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে তারাবীহ্ নামাজ আদায় করতে উৎসাহী করছে।
এ বিষয়ে ইফার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইসলামী শরীয়তের বিধান অনুযায়ী, জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কাতারের সংলগ্নতা (ইত্তেসাল) জামাত ও ইক্তেদা সহীহ হওয়া অন্যতম প্রধান শর্ত এবং এটি মানা না হলে নামাজ সহীহ হবে না। তাই টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারকৃত তারাবীহ্ নামাজের ইমাম সাহেবের তিলাওযাত শুনে ও রুকু সিজদার অনুসরণে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে ইক্তেদা করে তারাবীর নামাজ আদায় করা হলে তা কোনভাবেই শরীয়তসম্মত হবে না মর্মে বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমগণ মতামত প্রদান করেছেন।’
একই সাথে জনমনে যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য টেলিভিশন চ্যানেলে তারাবীহ্ নামাজসহ অন্যান্য নামাজ সম্প্রচার থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
কেএ/ডিএ
islamic foundation bangladesh vector logo  ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ - উইকিপিডিয়া
ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিরাজমান পরিস্থিতিতে জনগণের সুরক্ষার জন্য তওবা-ইস্তেগফারদোয়া-দানসহ আট দফা পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আলেমরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রোববার (২৯ মার্চ) সংস্থার প্রধান কার্যালয় আগারগাঁওয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনগণের সুরক্ষা বিষয়ে পরামর্শ দিতে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আনিস মাহমুদ।প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম সচিব মো. নূরুল ইসলাম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়সভায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা বিষয়ে উপস্থিত বিশিষ্ট আলেমরা স্ব স্ব মতামত উপস্থাপন করেন।
এছাড়াও আল্লামা আহমদ শফি (চেয়ারম্যানহাইয়াতুল উলয়া বাংলাদেশ ও মহাপরিচালকআল জামিয়াতুল দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীচট্টগ্রাম)আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী (মহাপরিচালকআল জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়াচট্টগ্রাম)মুফতি নুরুল ইসলাম (নাযেমে তালীমাতগওহরডাঙ্গা মাদরাসাগোপালগঞ্জ)মুফতি মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দীন (মুহতামিমজামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়ানানুপুরফটিকছড়িচট্টগ্রাম)মাওলানা মুহিব্বুল হক (মুহতামিমজামেয়া কাসিমুল উলূম দরগাহে শাহজালাল (রাহ)সিলেট)মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলা উদ্দিন (খতীবজমিয়তুল ফালাহ মসজিদচট্টগ্রাম)আল্লামা সৈয়দ অছিউর রহমান (প্রিন্সিপালজামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়াচট্টগ্রাম)আল্লামা মুফতি মোবারকুল্লাহ (মুহাতামিমজামিয়া ইউনুছিয়াব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রমুখের কাছ থেকে ইমেইলের মাধ্যমে নেওয়া মতামত বিবেচনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য এবং ইমেইলের মাধ্যমে প্রাপ্ত মতামত পর্যালোচনা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সুরক্ষার জন্য ওলামায়ে কেরামরা আট দফা পরামর্শ দিয়েছেন।
তারা বলেনবিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আমাদের দেশও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার ও জনগণ চরম উদ্বিগ্ন। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা তৈরি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলো মেনে চলা আবশ্যক।
ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে প্রণীত নির্দেশনাগুলো হলো:
(ক) তওবাইস্তিগফার ও দোয়া: পৃথিবীতে যা কিছু হয় আল্লাহ তাআলার হুকুমেই হয়। রোগবালাইমহামারি সবই আল্লাহর হুকুমে আসে। আবার তার হুকুমেই নিরাময় হয়। এ বিশ্বাস সব মুমিনেরই থাকতে হবে। এ মহামারি থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য হলো সব গুনাহ ও অপরাধ হতে বিরত থেকে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা এবং দোয়াগুলো সর্বদা পড়তে থাকা।
বিছমিল্লা হিল্লাযি লা ইয়াদুররু মাআছমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিছছামায়ি ওয়া হুয়াছ্ ছামিয়ুল আলিমআল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়ামিন সায়্যিইল আসকাম এবং লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনাজ্ জলিমীন।
(খ) সতর্কতা অবলম্বন: রোগ ও ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য সতর্কতা অবলম্বন ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সতর্কতা অবলম্বন তাওয়াক্কুল পরিপন্থি নয়। বরং নবীজী (সা) এর সুন্নত।
(গ) মসজিদ সংক্রান্ত: মসজিদে নিয়মিত আযানইকামতজামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত থাকবে। তবে জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে অর্থাৎ নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা জুমা ও জামাতে অংশ নেবেন না:
(১) যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত,
(২) যাদের সর্দিজ্বরকাশিগলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে,
(৩) যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন,
(৪) যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন,
(৫) যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত,
(৬) বয়োঃবৃদ্ধদুর্বলনারী ও শিশু,
(৭) যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ও
(৮) যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাদেরও মসজিদে না আসার অবকাশ আছে।
যারা জুমা ও জামাতে যাবেন তারা সবাই যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। অজু করে নিজ নিজ ঘরে সুন্নাত ও নফল আদায় করবেন। শুধু জামাতের সময় মসজিদে যাবেন এবং ফরজ নামাজ শেষে দ্রুত ঘরে চলে আসবেন। সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়ামাস্ক পড়াজীবাণুনাশক দিয়ে মসজিদ ও ঘরের মেঝে পরিষ্কার রাখাসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব নির্দেশনা মেনে চলবেন। হঠাৎ হাঁচি-কাশি এসে গেলে টিস্যু বা বাহু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখবেন।
(ঘ) খতিবইমামমুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটির করণীয়:
(১) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কার্পেট-কাপড় সরিয়ে ফেলা।
(২) জামাত সংক্ষিপ্ত করা।
(৩) জুমার বয়ানখুতবা ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা।
(৪) বর্তমান সংকটকালে দরসে হাদীসতাফসির ও তালীম স্থগিত রাখা।
(৫) ওযুখানায় অবশ্যই সাবান ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখা।
(৬) বর্তমান পরিস্থিতিতে জামাতের কাতারে ফাঁক ফাঁক হয়ে দাঁড়ানো।
(৭) ইশরাকতিলাওয়াতযিকির ও অন্য আমল ঘরে করা।
(৮) ঢাকাসহ দেশের কোনো মসজিদে যদি কোনো বিদেশি মেহমান অবস্থানরত থাকেন তাদের বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে সত্ত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। 
(ঙ) করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন ও জানাজা: হাদিসের বর্ণানুযায়ী মহামারিতে মৃত মুমিন ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা লাভ করেন। করোনায় মৃত ব্যক্তির কাফনজানাযা ও দাফন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে করা জরুরি। করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফনে সহযোগিতা করুন। তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ বা কোনরূপ অসহযোগিতা করা শরীয়তবিরোধী ও অমানবিক।
(চ) দান-সাদকা: হাদিস শরীফে আছে দান-সাদকা বালা মছিবত দূর করে। এ সংকটকালে আল্লাহর রহমত লাভের উদ্দেশ্যে দুস্থ ও অসহায়দের বেশি বেশি দান-সাদকা করুন। নিম্ন আয়ের মানুষের নিকট খাদ্যপণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
(ছ) গুজব সৃষ্টি না করা: এ সমস্ত বিষয়ে গুজব মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই গুজব সৃষ্টি করা বা গুজবে বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
(জ) প্রচার-প্রচারণা: ওলামায়ে কেরামের এ আহ্বান আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যাপক প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য দেশের সব মসজিদের খতিবইমামমসজিদ কমিটিগণমাধ্যমজনপ্রতিনিধিইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগজেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী/শিক্ষকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়করোনা ভাইরাসের এ সংকটকালে শরীয়তের দিক নির্দেশনা চেয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের পরামর্শ নেওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের মধ্যে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দিন মাসউদজামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুমের মুহতামিম মুফতি দিলাওয়ার হোসাইনশায়খ যাকারিয়া (র.) ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মীযানুর রহমান সাঈদজাতীয় মুফতি বোর্ডের সদস্য সচিব মুফতি মোঃ নূরুল আমীনঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. আল্লামা কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহীজামেয়া রহমানিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হকচরমোনাই কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীমদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারীইদারাতুল উলূম আফতাবনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আলীদারুল উলূম রামপুরার মুহতামিম মুফতি ইয়াহ্ইয়া মাহমুদজামিয়াতুল ‍উলুমের মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসানবায়তুল উলূম ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমাদ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রশীদমহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আল মারুফনারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদের খতিব শায়খ আহমাদুল্লাহতেজগাঁও জামেয়া ইসলামিয়ার শায়খুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদবায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমানইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহমুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারীবায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভীপেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেমচকবাজার শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনবড় কাটরা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানীশামসুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি শারাফাত হোসাইনমাদানীনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ফয়জুল্লাহ এবং উস্তাদ মুফতি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।
সূত্রঃ বাংলাদেশ সময়:  মার্চ ৩১২০২০
এমআইএইচ/এফএম

রবিবার, ২১ জুন, ২০২০, ০৯:২০:৫৫

কাবা শরিফ চত্বরে সালাতুল কুসুফ আদায়

কাবা শরিফ চত্বরে সালাতুল কুসুফ আদায়

ইসলাম ডেস্ক : সুন্নাতের অনুসরণে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববিতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে সালাতুল কুসুফ তথা সূর্যগ্রহণের নামাজ। আজ এশিয়ার কিছু দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে সূর্যগ্রহণ হয়েছে। সূর্যগ্রহণের সময় জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের দিকনির্দেশনা রয়েছে হাদিসে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ নামাজ পড়েছেন।

সূর্যগ্রহণের কারণে রোববার সকাল স্থানীয় সময় ৭টা ৪০ মিনিটে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারামে তথা কাবা শরিফ চত্বরে সালাতুল কুসুফ আদায় করা হয়েছে। সালাতুল কুসুফের এ নামাজের ইমামতি করেন কাবা শরিফের প্রসিদ্ধ ইমাম ও খতিব শায়খ ড. ফয়সাল বিন মাজিল গাজাভি। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিদের সালাতুল কুসুফে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।

এদিকে মদিনায় সালাতুল কুসুফের নামাজের ইমামতি করেন প্রসিদ্ধ ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বুয়াইজান। পবিত্র দুই মসজিদে সালাতুল কুসুফের নামাজ আদায়ের আগে মসল্লিদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন দুই ইমাম। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি’র মহাপরিচালক ঘোষণা করেছিলেন যে, রোববার সকালে স্থানীয় সময় ৭টা ৪০ মিনিটে হারাোইন শরিফাইনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, আজ সকালে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সুদান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, ইয়েমেন, সৌদি আরব, ওমান, পাকিস্তান এবং ভারতে দেখা গেছে। পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারামে তথা কাবা শরিফে সূর্যগ্রহণের নামাজের আগে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন শায়খ ফয়সাল গাজাভি। অতপর তিনি হাদিসের অনুসরণে দীর্ঘ তেলাওয়াতে কুসুফের নামাজের ইমামতি করেন।






বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০, ০৪:২৭:৪৩

আমাদের আর অবহেলার সময় নেই : ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক : চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরি'স্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের আর অবহেলার সময় নেই। বুধবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভি'ডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অত্যন্ত উ'দ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি করোনা সং'ক্রমণ ও বি'স্তার এখন উচ্চমাত্রায় পৌঁছে গেছে। প্রতিদিনই সং'ক্রমণ ও মৃ'ত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকায় নতুন করে উচ্চমাত্রায় সং'ক্রমণে উ'দ্বেগ প্রকাশ ও সর্তক করেছে। চীনে নতুন করে গুচ্ছ সং'ক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই বাস্তবতায় নিজের বিবেক নিজের পা'হারাদার না হলে এই উদাসীনতা থেকে কে আমাদের মুক্ত করবে?

তিনি আরও বলেন, সরকার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একদিকে জীবন অন্যদিকে কর্ম। একদিকে জননিরাপত্তা অপরদিকে অর্থনীতির ভারসাম্য। একদিকে বেঁ'চে থাকার জন্য পরিকল্পনা, অপরদিকে দেশ-বিদেশের সঙ্গে সং'যোগ রক্ষা। জীবনের অ'নিবার্য প্রয়োজনগুলো মাথাচাড়া দেয় বলেই মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক চলকের স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা ও চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সচল এবং সম্প্রসারণে সরকারের নিরলস প্রয়াস দৃশ্যমান। শুধু প্রয়োজন সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা। আমরা এই দু'র্দিনে সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কিন্তু কিছু কিছু মহল অব'হেলা ও অসহযোগিতা করছে।



বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তর আ.ই.ই.ডি.সি.আর. এর করোনা সংক্রান্ত 
জরুরী নির্দেশনাবালী

১. বারবার হাত ধোয়াঃ

নিয়মিত এবং ভালো করে বারবার হাত ধোবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ)। কেনএ কথা প্রমাণিত যে সাবানপানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুলে এই ভাইরাসটি হাত থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় হাতে ময়লা বা নোংরা দেখা না গেলেও বারবার হাত ধুতে পারেন। তবে বিশেষ করে হাত ধোবেন অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার পরহাঁচিকাশি দেওয়ার পরখাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগেটয়লেট ব্যবহারের পরপশুপাখির পরিচর্যার পর।

২. দূরে থাকুনঃ

এই সময় যেকোনো সর্দিকাশিজ্বর বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত এক মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। কেনআর সব ফ্লুর মতোই এই রোগও কাশির ক্ষুদ্র ড্রপলেট বা কণার মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করে। তাই যিনি কাশছেনতাঁর থেকে দূরে থাকাই ভালো। ইতিমধ্যে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। অসুস্থ পশুপাখি থেকেও দূরে থাকুন।

৩. নাকমুখ স্পর্শ নয়ঃ

হাত দিয়ে আমরা সারা দিন নানা কিছু স্পর্শ করি। সেই বস্তু থেকে ভাইরাস হাতে লেগে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে কখনো নাকমুখচোখ স্পর্শ করবেন না।

৪. কাশির আদবকেতা মেনে চলুনঃ

নিজে কাশির আদবকেতা বা রেসপিরেটরি হাইজিন মেনে চলুনঅন্যকেও উৎসাহিত করুন। কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় নাকমুখ রুমাল বা টিস্যুকনুই দিয়ে ঢাকুন। টিস্যুটি ঠিক জায়গায় ফেলুন।

৫. জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরেই থাকুনঃ (পূর্ববর্তী নির্দেশনাঃ প্রয়োজনে (অসুস্থ হলে) ঘরে থাকুন।
বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

৬. খাবারের ক্ষেত্রে সাবধানতা

কাঁচা মাছমাংস আর রান্না করা খাবারের জন্য আলাদা চপিং বোর্ডছুরি ব্যবহার করুন। কাঁচা মাছমাংস ধরার পর ভালো করে সাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করা খাবার গ্রহণ করুন। অসুস্থ প্রাণী কোনোমতেই খাওয়া যাবে না।

৭. ভ্রমণে সতর্ক থাকুন

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন এবং অন্য দেশ থেকে প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করুন। অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

৮. অভ্যর্থনায় সতর্কতাঃ

কারও সঙ্গে হাত মেলানো (হ্যান্ড শেক)কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন

৯. স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিনঃ

এ সময়ে কোনো কারণে অসুস্থ বোধ করলেজ্বর হলেকাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিন। তিনি বিষয়টি গোচরে আনতে ও ভাইরাস ছড়ানো বন্ধে ভূমিকা রাখতে পারবেন। অথবা আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর: ০১৯২৭৭১১৭৮৪০১৯২৭৭১১৭৮৫০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১।

করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা। এই ভাইরাস হয়েছে এমন সন্দেহ হলে বা আক্রান্ত হলে কী করবেন তা অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছে। কারণ এই রোগের এখনও কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। 
শরীরে হালকা জ্বরখুশ খুশ করে কাশছেনএমন লক্ষণ দেখে আপনার সন্দেহ হতে পারে করোনা নয় তোকারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই করোনার এর প্রকাশ ঘটে জ্বরের মাধ্যমে। এমন অবস্থায় কী করবেনহাসপাতালে ছুটবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেননাজ্বর হলেই হাসপাতালে ছোটার দরকার নেই। কারণ এই রোগ খুবই সংক্রামক। এতে একজন থেকে অন্যজনএমনকি হাসপাতালের অন্য রোগীরাও আক্রান্ত হতে পারেন।
তাহলে এমন অবস্থায় কী করবেনসরকারের রোগতত্ত্বরোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছেসন্দেহভাজন রোগীকে প্রাথমিকভাবে ঘরেই থাকতে হবে।
করোনা সন্দেহ বা আক্রান্ত হলে যা করবেন আসুন এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) আরও কিছু পরামর্শ জেনে নিই।
  • পুষ্টিকর খাবার খান ও প্রচুর পানি আর তরল পান করুন। বিশ্রামে থাকুন।
  • রোগী ও যিনি সেবা করবেনদুজনে ঘরে মেডিকেল মাস্ক পরবেন। হাত দিয়ে মাস্ক স্পর্শ করামুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কাজ শেষে মাস্ক ফেলে দেবেন ময়লার ঝুড়িতে।
  • অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে বা এর চারপাশের সংস্পর্শে এলে খাবার তৈরির আগেখাবার খেতে বসার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান পানি দিয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির বাসনপত্রতোয়ালে ও বিছানার চাদর সাবান দিয়ে ধুতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তি যা যা হাত দিয়ে স্পর্শ করবেনসেগুলো বারবার জীবাণু শোধন করুন।
  • অসুস্থ ব্যক্তির অবস্থা খারাপের দিকে গেলে বা শ্বাসকষ্ট হলে  স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে ফোন করুন।
  • আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর: ০১৯২৭৭১১৭৮৪০১৯২৭৭১১৭৮৫০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১।
যে ১০ জিনিস স্পর্শ করলে দ্রুত হাত ধুতে হবে
যে ১০ জিনিস স্পর্শ করলে দ্রুত হাত ধুতে হবে
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: এখন তো করোনাভাইরাস আ'ত'ঙ্কের সময়। জীবাণুমুক্ত থাকতে আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সাবান, পরিষ্কার পানি কিংবা অ্যালকোহল সমৃদ্ধ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। তবে হাত সার্বক্ষণিক সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত রাখা সম্ভব না হলেও ১০টি জিনিস স্পর্শ করলে আপনাকে হাত ধুতেই হবে।
টাকা: নোট হোক কিংবা কয়েন, তা দীর্ঘদিন যাবত হাতবদল হতে থাকে। ফলে এতে নানা ধরণের জীবাণু লেগে থাকে। নিউ ইয়র্ক সিটি ব্যংকের একটি এক ডলারের নোট পরীক্ষা করে গবেষকরা তাতে ওরাল এবং ভ্যাজাইনার ব্যাকটেরিয়া এবং প্রাণী ও ভাইরাসের ডিএনএ পেয়েছেন। তাই নোট কিংবা কয়েন হাত দিয়ে ধরার পর অবশ্যই হাত জীবানুমুক্ত করে নিন।
গাড়ি কিংবা দরজার হাতল: গণপরিবহনের হাতলে বিভিন্ন জনে স্পর্শ করে থাকে। ফলে সেখানে ক্ষতিকর জীবাণু অবস্থান করে। এছাড়াও অফিস-আদালত, দোকানপাট, লিফট প্রভৃতির দরজা ও হাতলে হাত দেওয়ার পর ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার রোধে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ডার্মাটোলজিস্ট ক্যাটি বারিস।
রেস্টুরেন্ট মেন্যু: রেস্টুরেন্টের সবচেয়ে জীবাণুবাহী জিনিস খাবারের মেন্যু। অসংখ্য মানুষ এটিতে হাত দেওয়ায় এতে লাখ লাখ ব্যাকটেরিয়া অবস্থান করে। আপনি মেন্যু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন না, তবে স্পর্শ করার পর অবশ্যই হাত জীবাণুমুক্ত করতে ভুলবেন না।
ডাক্তারখানার জিনিসপত্র: একজন ডাক্তারের কক্ষে নানারকম রোগীর আসা-যাওয়া থাকে। ফলে সেখানকার অধিকাংশ জিনিসেই ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থাকতে পারে। বিশেষ করে কলম, যা দিয়ে রোগীরা স্বাক্ষর করে থাকেন। ডাক্তারের রুমের একটি কলমে বাথরুমের সিট এর তুলনায় প্রায় ৪৬ হাজার বেশি জীবাণু পাওয়া গেছে। হাসপাতালের ওয়েটিং রুমের চেয়ারের হাতল ও দরজার হাতল ধরার পর হাত ধুয়ে নিন।
যেকোনো প্রাণী: পোষা প্রাণী যেহেতু পরিবারের সদস্যদের সাথে সার্বক্ষণিক থাকে, তাই সেগুলোকে ধরার পর অনেকে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীতা অনুভব করে না। কিন্তু যেকোনো ধরনের প্রাণীই ভাইরাস এবং রোগজীবাণু বহন করতে পারে। তাই সাধারণ কিংবা পোষা প্রাণী ধরার পর হাত ধোয়া অবশ্য-পালনীয় একটি কাজ।
টাচস্ক্রিন: মোবাইল স্ক্রিন কিংবা অফিসের বায়োমেট্রিক স্ক্যানার আমাদের নিত্যকার কাজের অংশ। এয়ারপোর্ট কিংবা পরিবহন যোগাযোগের পয়েন্টগুলোর কিঅস্ক মেশিন অন্যতম জীবাণু বহনকারী। মোবাইলও জীবানু বহন করে, কারণ আমরা সেগুলো অনেকসময় অন্যের হাতে দেই। এসব স্ক্রিনে হাত দেওয়ার পর জীবানুমুক্ত করার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়াই যথেষ্ট।
কিচেন বোর্ড এবং স্পঞ্জ: রান্নাঘর হলো বাড়ির অন্যতম জীবাণুবোঝাই স্থান। এখানে বাজারের কাঁচা খাবারের সাথে সাথে বিভিন্ন খাবার, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংস এবং রান্নাঘরের জিনিসপত্র ধোয়া ও পরিষ্কার করা হয়। এক গবেষণায়, রান্নাঘরের স্পঞ্জে ৩২৬ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান মিলেছে। খাবার তৈরির আগে এবং কাঁচা মাংসে হাত দেওয়ার পরে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যের কলম: কলম ব্যবহার করার পর আপনার হাত ধুয়ে ফেলুন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকেই ব্যবহার করে এমন কলমে টয়লেট সিট এর তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে।
সোপ ডিসপেন্সার বা পাম্প: সোপ ডিসপেন্সার পাম্প হলো ব্যাকটেরিয়ার জন্য স্বর্গস্বরূপ। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা রিফিলযোগ্য সাবানের পাম্পকে ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ অনেকেই এটি স্পর্শ করে থাকেন। আপনি যখন সোপ ডিসপেন্সার বা হ্যান্ডওয়াশ পাম্পে চাপ দেন তখন জীবাণু পরিষ্কার হওয়ার মতোই তার থেকে জীবাণু হাতে সংক্রমিত হওয়ার সমান সম্ভাবনা রয়েছে। তাই হাত ধোয়ার পর আর কোনোভাবেই সোপ ডিসপেন্সার স্পর্শ করবেন না।

এয়ারপোর্টের জিনিসপত্র: প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিমানে যাতায়াত করে। এয়ারপোর্টের জিনিসপত্রে অনেক মানুষের স্পর্শের ফলে জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনাও বেশি। দরজার হাতল, পানির পাত্র, নিরাপত্তা তল্লাশির ট্রে, কিয়স্ক স্ক্রিন প্রভৃতি জিনিস থেকে আপনার হাতে জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। এসব জিনিসে স্পর্শ করার পর আপনি হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সবাই এখন ঘরবন্দী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব নেতারা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ বাড়ছেই।
এমতাবস্থায় সবার মধ্যে করোনাভীতি কাজ করছে। সর্দি-কাশি ও জ্বরে চিকিৎসকের পরামর্শটা এ মুহূর্তে জরুরি।
জরুরি সাহায্য পেতে প্রয়োজন অনুযায়ী নিচের নম্বরগুলোতে ফোন করুন-
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নম্বর: ১০৬৫৫ ও ০১৯৪৪৩৩৩২২২ ই–মেইল: iedcrcovid19@gmail.com
করোনাবিষয়ক তথ্য পেতে এবং সম্ভাব্য আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য দিতে ওয়েবসাইট: corona.gov.bd
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইন নম্বর ১৬২৬৩
স্বাস্থ্য বাতায়নের হটলাইন নম্বর ৩৩৩
সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৬৯০৪৫৭৩৯
মিথ্যা বা গুজব প্রচারের বিষয়টি নজরে এলে ৯৯৯ অথবা ৯৫১২২৬৪, ৯৫১৪৯৮৮
দাফন কার্যক্রমে সহায়তা পেতে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই যুগ্ম সচিবের মুঠোফোন নম্বর: ০১৭১২০৮০৯৮৩ ও ০১৫৫২২০৪২০৮
করোনা পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টারে ফোন বা এসএমএস করা যাবে, প্রতি দিন এবং যে কোনো সময়। টোল ফ্রি নম্বর: ১০৯
মনঃসামাজিক সহায়তা সেল
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মনঃসামাজিক সহায়তা সেল চালু করেছে।
রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে ফোনকলের মাধ্যমে সেবা মিলবে। ফোন: ০১৮১১৪৫৮৫৪১ও০১৮১১৪৫৮৫৪২

জরুরি ত্রাণ পেতে
ঢাকা জেলা প্রশাসনের হটলাইন: ০২৪৭১১০৮৯১, ০১৯৮৭৮৫২০০৮
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন: ০১৭০৯৯০০৭০৩, ০১৭০৯৯০০৭০৪
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরামর্শ সেবা
পাঁচটি অঞ্চলে করোনাভাইরাসসংক্রান্ত চিকিৎসা তথ্য ও পরামর্শ সেবা চালু।
মগবাজার: ৯৩৫৫২৭৭, মোহাম্মদপুর: ০১৩১১-৯৪৬৪৩২, মাজার রোড, মিরপুর: ০১৩০১-৫৯৬৮৩৯,
বর্ধিত পল্লবী, মিরপুর: ০১৭৭০-৭২২১৯৪ এবং উত্তরা: ০১৩১৪-৭৬৬৫৪৫

শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেলে দেয়া হবে করোনার চিকিৎসা

  • সময়: শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০

পোস্ট শেয়ার করুন
  • 0
    Shares

এস এম আসাদুজ্জামান মিলন:
 দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হসপিটাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে গাজীপুরে অবস্থিত এই হাসপাতালটিতে করোনা রোগিদের চিকিৎসা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
হাসপাতালের পরিচালক মো. খলিলুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের মেইল পেয়েছি। আমরা শুক্রবার থেকেই প্রস্তুতি নেবো। এতে ৪/৫দিন সময় লাগবে। ৫শ’ বেডের এ হাসপাতালে বর্তমানে ৫৬জন সাধারণ রোগী ভর্তি আছে। প্রয়োজনে তাদেরকে অন্য হাসপাতালে শিফট করা হবে।
এখন এখানে শুধু করোনা সংক্রমনের রোগী ভর্তি হবে। কোভিড-১৯ রোগী ছাড়া এ হাসপাতালে সাধারণ রোগীর জন্য কোন ইমারজেন্সী তথা আউটডোর থাকবে না। সাধারণ রোগীরা প্রয়োজনে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা উপজেলা হাসপাতালগুলো চিকিৎসা নেবে।
এ হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ এবং চারটি ভেন্টিলেটর রয়েছে। অতিসত্ত্বর এখানেই কোভিড-১৯ নির্ণয়ের পরীক্ষার সম্ভবনাও রয়েছে।
বাড়িতে কারও জ্বর আসে কিংবা গলাব্যথাকাশি দেখা দেয় তাহলে করণীয় কী?
দেশে দিনে দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক হওয়ার সময় এখনই। কিন্তু এর মধ্যেই যদি বাড়িতে কারও জ্বর আসে কিংবা গলাব্যথা, কাশি দেখা দেয় তাহলে করণীয় কী, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন।
বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে, করোনার সংক্রমণের পরীক্ষা হোক বা না-হোক এখন প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তিকে সবার থেকে আলাদা করে ফেলা। কিন্তু সেটা কীভাবে করবেন? আসুন এ সম্পর্কে নিয়মকানুনগুলো জেনে নিই।
১. অসুস্থ ব্যক্তিকে এমন একটি ঘরে রাখতে হবে, যা অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। ওই ঘরের সঙ্গে আলাদা টয়লেট থাকলে খুবই ভালো। খাওয়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা ছাড়া বাকি সময় কক্ষটি বন্ধই থাকবে। প্রয়োজনীয় খাবার ও জিনিস দরজার কাছে রেখে দূরে সরে যেতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি দরজা খুলে তা সংগ্রহ করবেন।
২. অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের দেশে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা সম্ভব না–ও হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি বা দুটি ঘরে অনেক মানুষ বসবাস করে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে এমনভাবে থাকতে হবে, যেন অসুস্থ ব্যক্তির সঙ্গে কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় থাকে। সেবাদানকারী ব্যক্তি একটানা ১৫ মিনিটের বেশি অসুস্থ ব্যক্তির কাছাকাছি অবস্থান করবেন না।
৩. রোগীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র, জামাকাপড়, তোয়ালে-গামছা সব আলাদা করে ফেলতে হবে। এগুলো আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই পরিষ্কার করবেন এবং পরিষ্কার করার সময় কমপক্ষে ৩০ মিনিট ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হবে। পরিষ্কার করার সময় গ্লাভস ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়।
৪. রোগী এবং ঘরে অবস্থানকারী প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করবেন।
৫. যদি আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে ব্যবহারের পর রোগী নিজেই টয়লেট জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, কমোডের ঢাকনা বন্ধ করে ফ্ল্যাশ করবেন এবং টয়লেটের একজস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখবেন। রোগীর ব্যবহারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর অন্যরা টয়লেট ব্যবহার করবেন।
৬. আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢাকবেন এবং নিজের সব বর্জ্য একটা পলিথিনের ব্যাগে মুড়ে ঢাকনা দেওয়া বিনে ফেলবেন। পলিথিনের ব্যাগটি রোজ মুখ বন্ধ করে নিজেই ঘরের বাইরে রেখে দেবেন। অন্যরা সেই ব্যাগটি বাইরে ময়লার বালতিতে ফেলার সময় গ্লাভস ব্যবহার করবেন ও স্পর্শ করার পর হাত ধুয়ে ফেলবেন।
৭. আক্রান্ত ব্যক্তিকে পরিচর্যা করার আগে-পরে হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুতে হবে। যতটা সম্ভব কাছে না গিয়ে পরিচর্যা করতে হবে।
বাড়িতে পর্যাপ্ত ঘর না থাকলে অথবা পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে কিংবা পরিবারে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি থাকলে জ্বরের রোগীকে সরকার নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে রাখা যেতে পারে। রোগী বাড়িতে থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে লক্ষণ অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র নিন।
লেখক: ডা. রাশেদুল হাসান, সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ

করোনা থেকে বাঁচতে অজ্ঞাতে নিজের ক্ষতি নয়


মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম
২৪ এপ্রিল ২০২০, ১৮:১২
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০, ১৮:১২ প্রথম আলো
প্রিন্ট সংস্করণ
  
করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে মানবসভ্যতার চিরায়ত আচারআচরণশিক্ষাবিনোদনউন্নয়নপ্রগতিসবকিছু। এ যেন অচেনা পৃথিবী, প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দৃশ্য ভয়াবহ আতঙ্কের। এরূপ দৃশ্য কেবল রূপকথায় আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীনির্ভর চলচ্চিত্রে সম্ভব ছিল। আজ বাস্তবে সারা পৃথিবী এ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। কেউ জানে না, এর শেষ কোথায় ও কবে?
আমাদের ধ্যান-জ্ঞান এখন করোনাভাইরাস নিয়ে। সকালে চোখ মেলে প্রথম এর খবর নিই। ঘুমোতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত করোনাভাইরাস নিয়েই আমাদের যত আলোচনা, গবেষণা ও তর্ক-বিতর্ক। আর কোন বিষয় নেই এখন আমাদের ভাবনায়।
আমাদের তথ্য ও বিনোদনের প্রধান মাধ্যম টেলিভিশন। কিন্তু টেলিভিশন চালু করলে করোনাভাইরাস ছাড়া আর কিছু দেখতে পাবেন? যত সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, সব এই ভাইরাস নিয়ে। যত আলোচনা অনুষ্ঠান হচ্ছে তার বিষয় এ ভাইরাস। নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশের কারণে কোন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নির্মিত হচ্ছে না। কোন কোন চ্যানেল পুরোনো অনুষ্ঠান পুনঃপ্রচার করছে, কিন্তু সেখানেও কোন না কোনোভাবে করোনা বিরাজমান।
টেলিভিশন ছেড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর দিন, সেখানেও করোনাভাইরাস। প্রিয়জনের অসুস্থতা কিংবা মৃত্যুর নিয়মিত প্রচার আপনাকে হতাশাগ্রস্থ করছে। এ ছাড়া আর যত প্রচার তাও এই ভাইরাস নিয়ে। নানাবিধ তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যার অধিকাংশই হয়তো সঠিক নয়। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ ও মতবাদ। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব (conspiracy theory) তো রয়েছেই। এসবের ফাঁকে কিছু গান, কবিতা বা প্রামাণ্যচিত্র থাকছে, কিন্তু সেসবের বিষয়ও করোনাভাইরাস। এ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্রও নির্মিত হচ্ছে।
আপনি সংবাদ ও বিনোদন ছেড়ে এবার পেশাগত কাজে মন দিন। অনেকেই ঘরে বসে কাজ করছেন, জরুরি সভা, পেশাগত আলোচনা, রিপোর্ট জমা, আরও কত কিছু। কিন্তু লক্ষ্য করুন, সর্বত্রই কিন্তু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে করোনাভাইরাস বিরাজমান। আপনি বা আপনার পেশাগত প্রতিষ্ঠান চিকিৎসাপেশার সঙ্গে কোনভাবেই সংশ্লিষ্ট না হয়েও চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে, পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
যারা কিছুটা আরামপ্রিয় তারা সাধারণত আড্ডা বা গালগল্প নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন। এদের সময় কাটানোর প্রধান মাধ্যম ছিল গসিপ, পরিচিতজন বা তারকাদের নিয়ে নানারকম মুখরোচক গল্পে মশগুল থাকত তারা। কিন্তু এখন এরা সবাই পড়ে আছে করোনাভাইরাস নিয়ে। ফোনে, ইন্টারনেটে বা টেলিভিশনে এরা দিনরাত এ ভাইরাসের ওপর সব আলোচনা অনুষ্ঠান মনোযোগ দিয়ে শুনছে।
আমরা সবাই করোনাভাইরাস নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা ও প্রচারণা উপভোগ করছি। এ রোগের আদ্যোপান্ত আমাদের সবার মগজে টগবগ করছে। এমনকি গ্রামের একজন অশিক্ষিত মানুষও আজ এ ভাইরাস নিয়ে একটি দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে দিতে পারবে। কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যদি এ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়, তবে পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষের এ ডিগ্রি অর্জনের সৌভাগ্য হবে। পৃথিবীতে আর কোন বিষয়ে পুরো মানবজাতির এত জ্ঞানলাভ কখনো সম্ভব হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না।
এ রোগ নিয়ে এত আলোচনা, গবেষণা ও প্রচারণার ভালো দিক অবশ্যই রয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি একটি বড় কাজ যা সহজে করা যায় না। এখন মৃত্যুভয় মানুষকে আপনাআপনি সচেতন করে তুলছে। এ সব তথ্য সরকারের নীতিনির্ধারকদেরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে। চিকিৎসাসেবকেরাও অনেক ক্ষেত্রে পরামর্শ নিচ্ছেন এসব তথ্য ও বিশ্লেষণ থেকে। কারণ এ রোগ সম্পর্কে আগের কোনো জ্ঞান বা প্রতিষেধক ছিল না। ফলে মানবজাতি একে অন্যের থেকে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখেও পাশাপাশি থাকছে।
তবে এর নেতিবাচক দিক ভুললেও চলবে না। এখন এ বিপদসংকুল সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা। একজন মানুষ শারীরিক অসুস্থতায় যতটুকু শ্রান্ত হয়, তার চেয়ে বহুগুণে শ্রান্ত হয় মানসিক অসুস্থতায়। কিন্তু সকাল-সন্ধ্যা যদি করোনাভাইরাস ও তার কারণে মৃত্যুভয় আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তবে আপনার মনোবল দূর্বল হতে বাধ্য। তার ওপর যাকে নিয়ে ভয়, তাকে দেখা যায় না। ফলে সারাক্ষণ মনে হতে পারে, এই বুঝি করোনাভাইরাস গ্রাস করল। শারীরিকভাবে আক্রান্ত না হয়েও অনেকে মানসিক বিপর্যয়ে ভুগছেন।
অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে গিয়ে অন্য উপসর্গও তৈরি হচ্ছে। কেউ লাইসোল দিয়ে নিজের হাত-পা পরিষ্কার করতে গিয়ে ত্বকের ক্ষতি করছে। কেউ আদা ও গরম পানি দিয়ে অতিরিক্ত গার্গল করতে গিয়ে কণ্ঠনালীর ক্ষতি করছে। এই রোগের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে নানা ওষুধের নাম শোনা যায়। একটির নাম প্রচার হওয়া মাত্রই কিছু মানুষ হুমড়ি খেয়ে সে ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করে দিচ্ছে। এ কারণে একদিকে যেমন বাজারে সেসব ওষুধের সংকট তৈরি হচ্ছে, তেমনি আবার অকারণে ওষুধ সেবনের ফলে শরীরে অন্য সমস্যার জন্ম হচ্ছে।
সর্বোপরি এই রোগের সার্বক্ষণিক চিন্তায় মানুষের কর্মদক্ষতা কমে যাচ্ছে। মৃত্যু অতি সন্নিকটে জানলে মানুষ হাল ছেড়ে দেয়। এ কারণেই সৃষ্টিকর্তা মানুষকে তার আয়ু জানার কোন ব্যবস্থা রাখেননি। মানুষ অবশ্যই মৃত্যুর কথা স্মরণে রাখবে, পরকালের শাস্তির ভয়ে সৎপথে চলবে। কিন্তু মৃত্যুর ক্ষণ জেনে গেলে মানুষ হয় উদ্ভ্রান্ত হয়ে যাবে, নতুবা হতাশাগ্রস্থ হবে। এ দুটির কোনোটিই সভ্যতার জন্য ইতিবাচক নয়, সৃষ্টিকর্তাও তা চান না।
সৃষ্টিকর্তা এই সুন্দর পৃথিবী তৈরি করে মানুষকে পাঠিয়েছেন তাঁর সৃষ্টি উপভোগ করার জন্য। মহামারি, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ আরও নানা বিপদ থাকবেই। সে সব বিপদ থেকে উদ্ধারের উপায় আবিষ্কার করার ক্ষমতাও মানুষকে দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু সে সৃজনশীলতাকে ব্যবহার না করে হতাশায় ভুগলে তো প্রতিকার মিলবে না।
কবিগুরুর ভাষায়, বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা। বিপদে আমি না যেন করি ভয়। আমাদের এখন প্রয়োজন মানসিক শক্তি। মনে রাখতে হবে, এখানেই পৃথিবীর শেষ নয়। নতুন একটি ভোর অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। সে ভোরের সন্ধান আমাদেরকেই বের করতে হবে। সব প্রচার মাধ্যমের কাছে অনুরোধ, সেই নতুন আলোর কথা বলুন, সেই আলোর পথে এগিয়ে যেতে সবাইকে উজ্জ্বীবিত করুন।
লেখক: অধ্যাপক, স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র, (সৌজন্যেঃ প্রথম আলো, ২৫.৪.২০২০)



করোনায় শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা কমাতে ব্যায়াম

·         সময়: বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০
করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস, ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এতে জ্বর, শুকনা কাশি, মৃদু থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মৃদু সংক্রমণে যেসব রোগী বাসায় বা আইসোলেশনে থাকবেন, তাঁদের নানা রকমের অ্যারোবিক ও ব্রিদিং এক্সারসাইজের (শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম) মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ফুসফুসকে কর্মক্ষম রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মৃদু সংক্রমণে ব্যায়াম
শ্লেষ্মা নিঃসরণে সমস্যা থাকলে এয়ারওয়ে ক্লিয়ারেন্স টেকনিক ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা যেতে পারে। ব্যায়ামের সময় মুখে মাস্ক পরতে হবে। এ ব্যায়ামে উপুড় হয়ে শুয়ে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে বাতাস ছাড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে ৪ সেকেন্ড ধরে বাতাস নিতে হবে, শ্বাস ধরে রাখতে হবে ৭ সেকেন্ড এবং বাতাস ছাড়তে হবে ৮ সেকেন্ড ধরে। এ ব্যায়ামে ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে বাতাস চলার পথ পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া মোবিলাইজেশন, রেসপিরেটরি এক্সারসাইজ, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ (যেমন পুশআপ) ও রিহ্যাবিলিটেশন কৌশল (যেমন বসা থেকে দাঁড়ানো, হাঁটা, কাঁধ ও পায়ের ব্যায়াম, ঘরেই সাইক্লিং ইত্যাদি) অনুসরণ করা যেতে পারে।
মাঝারি ধরনের শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ব্যায়াম
বিছানায় দুই পা সোজা রেখে চিত হয়ে আধশোয়া অবস্থায় থাকতে হবে। এরপর শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়ামের কৌশলগুলো অনুসরণ করতে হবে। এ ছাড়া কনট্রোলড ব্রিদিং এক্সারসাইজসহ অন্য ব্যায়ামগুলোও করা যাবে। এই পজিশনে খুব সহজে বাতাস ফুসফুসের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। এতে রোগীরা সহজেই কাশির মাধ্যমে কফ বের করে দিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।
মডারেট গ্রেড অ্যারোবিক এক্সারসাইজ (ওয়ার্মআপ, হাঁটাহাঁটি, স্কিপিং, জগিং ইত্যাদি) প্রতিদিন ৪০ মিনিট করা হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়, ফুসফুস ও হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ ও সচল থাকে।
যেকোনো রোগী বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন, এমন ব্যক্তিদের জন্য বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (www.bpa-bd.org) বিনা মূল্যে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম চালু করেছে। যে কেউ ঘরে বসেই (https://www.facebook.com/ 936284569817648/posts/2742051972574223/) এই সেবা নিতে পারবেন।

এহসানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট, সিআরপি, সাভার, ঢাকা


করোনা থেকে সুস্থ হয়ে সবাইকে যে পরামর্শ দিলেন ডা. শহীদুল্লাহ

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে সবাইকে যে পরামর্শ দিলেন ডা. শহীদুল্লাহ
নিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সদ্য সাবেক উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) ও বর্তমানে চর্মরোগ ও যৌ'নব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার সুস্থ হয়েছেন।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে করোনা আক্রা'ন্ত রোগীদের তিনি বিভিন্ন পরামর্শ দিলেন, ‘আক্রা'ন্ত হলেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে- এমন নয়। বাসায় থেকেই দৃঢ় মনোবল, সঠিক পরিচর্যা এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই করোনাকে জয় করা যায়।’ 
তিনি বলেন, ‘করোনায় আক্রা'ন্ত ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের সদস্য কিংবা প্রতিবেশীদের অমানবিক হওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, একঘর থেকে আরেক ঘরে করোনাভাইরাস ছড়ায় না। আক্রা'ন্ত লোকের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস অন্যের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে ঢুকে পড়ার ঝুঁ'কি বেশি। কিন্তু এটি বায়ুবাহিত রোগ নয়। আক্রা'ন্ত ব্যক্তি থেকে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে পারলে এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।’ 
তিনি বলেন, ‘আমি আবার চিকিৎসায় ফিরতে চাই, আমি করোনা রোগীর সেবা করতে চাই।’ অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, মনে রাখতে হবে করোনা আক্রা'ন্ত ব্যক্তির সঙ্গে কোনোভাবেই অমানবিক আচরণ করা যাবে না। পরিবারের সদস্যদের অবহেলা করা চলবে না। আক্রা'ন্ত ব্যক্তিকে একটি রুমে রাখতে হবে। দূরত্ব বজায় রেখে সেবা করতে হবে। অন্যদিকে আক্রা'ন্ত ব্যক্তি বা পরিবারকে সামাজিক, পারিবারিক, অমানবিক হওয়া যাবে না। মানবতাকে সামনে রেখে রাজনৈতিক চিন্তা, ধর্ম, বর্ণ ঊর্ধ্বে রেখে মানবতার মাধ্যমেই এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।
করোনায় আক্রান্ত থেকে সুস্থ হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, করোনাভাইরাসের প্রধান লক্ষণ- জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গায়ে ব্যথা। এই সং'ক্রমণ সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতোই। এতে জ্বর আসে, শুকনো কাশি হয়। এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। করোনা আক্রা'ন্ত হলেই সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি নয়। বাসায় থেকে সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিচর্চার মাধ্যমে বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় এমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, জিং ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ খাবার। এর মধ্যে আমড়া, পেয়ারা, লেবু, কমলা, মাল্টা, আপেল এবং দেশি মৌসুমি ফল। 
তিনি বলেন, আক্রা'ন্ত ব্যক্তিকে প্রতিদিন একাধিক ডিম খেতে হবে। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ রয়েছে তাদের ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়াই ভালো। মনে রাখতে হবে অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার ও শাকসবজি খাওয়াও প্রয়োজন। প্রচুর পরিমাণে গরম পানি খেতে হবে। গরম পানিতে গড়গড়া করা এবং গরম পানির ভাপ নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কালোজিরা মধুর সঙ্গে খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। রসুন, আদা, দারুচিনি, লবঙ্গ ইত্যাদি করোনাভাইরাসের প্রতিরো'ধের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা রয়েছে। মনে রাখতে হবে কখনই ঠা া লাগানো যাবে না। ভাইরাস যদি ফুসফুসে বেশ চেপে বসে তাহলে আপনার শ্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়া হতে পারে। যাদের হাঁপানি আছে তাদের জন্য এই ভাইরাস ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’। কারণ যাদের হাঁপানি আছে তাদের করোনাভাইরাসের মতো জীবাণুর সং'ক্রমণ হলে তাদের হাঁপানির লক্ষণগুলো বেড়ে যাবে। আর সে কারণেই হাঁপানির সমস্যা যাদের আছে তারা ঘর থেকে বের হবেন না। বেশি লোকের সঙ্গে মেলামেশা এ ধরনের ঝুঁ'কিতে থাকা লোকদের জন্য ভ'য়ের কারণ। কেননা আপনি জানেন না কে এই জীবাণু শরীরে বহন করছে। এ জন্য সবার উচিত সামাজিক মেলামেশা কমিয়ে দেওয়া। এর একটা উপায় হলো বাাড়িতে থাকা, যতটা সম্ভব বাইরে না বেরুনো। আর যদি বেরুতেই হয় তাহলে অন্য মানুষের চাইতে অন্তত দুই মিটার বা ৬ ফিট দূরে থাকা প্রয়োজন।
আর করোনাভাইরাস বাসা বাঁধে তার শরীরের আর কোথাও নয়, এই ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রেই। সুতরাং যদি এই কাশি দেওয়া লোকটি ইতিমধ্যেই সং'ক্রমিত হয়ে থাকেন- তাহলে জানবেন, তার প্রতিটি কাশি হাঁচির সঙ্গে নির্গমন হয়। এই ভাইরাসের বাহন হলো কাশির সঙ্গে বেরিয়ে আসা অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির বিন্দুগুলোই- যাকে ইংরেজিতে বলে ড্রপলেট। এই ড্রপলেটগুলোর বেশিরভাগই দুই মিটারের বেশি যেতে পারে না। মনে রাখতে হবে করোনাভাইরাস ফুসফুস ও নাক ও শ্বাসনালির অংশকে আক্রা'ন্ত করে। 

এটা কখনো খাদ্যনালি বা অন্যান্য অঙ্গকে আক্রা'ন্ত করে না। সাধারণত করোনা অন্যান্য অঙ্গকে আক্রা'ন্ত করে না। নিঃশ্বাসে সমস্যা হলে বা বুকে ব্যথা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। সঠিক খাবার, স্বাভাবিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার মাধ্যমে করোনা রোগী সেরে উঠতে পারেন। ভীত না হয়ে সব সময় সচেতন হয়ে নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ রাখুন। আক্রা'ন্ত ব্যক্তি যদি বাসায় থাকেন, তাহলে আলাদা রুমে থাকবেন। একাধিক আক্রা'ন্ত ব্যক্তি এক রুমে থাকতে পারেন। কিন্তু সুস্থ ব্যক্তিকে আলাদা রুমে থাকতে হবে।

করোনা প্রতিরোধে ফুসফুস সুস্থ রাখতে যেসব খাবার বেশি করে খাবেন

করোনা প্রতিরোধে  ফুসফুস সুস্থ রাখতে যেসব খাবার বেশি করে খাবেন
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে মহামা'রি রূ'প নিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রা'ন্ত ও মৃ'তের সংখ্যা। করোনাভাইরাসের সাধারণ উপস'র্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি বা গলাব্য'থা। শেষ পর্যন্ত এই ভাইরাস ফুসফুসে আঘা'ত হা'নে। এতে রোগীর শ্বাসক'ষ্ট দেখা দেয়। এমনকি এতে রোগীর মৃ'ত্যু পর্যন্ত হতে পারে।নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করার পাশাপাশি কয়েকটি বিশেষ খাবার খেলে ফুসফুসের রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতা বাড়ে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে যাদের ফুসফুস একটু দুর্বল। করোনা প্রতিরোধে  ফুসফুস সুস্থ রাখতে যেসব খাবার বেশি করে খাবেন।
পিয়াজ ও রসুন: প্রদাহের প্রবণতা কমায়। রোগ উপশমে শ'ক্তি জোগায়। ‘জার্নাল অব ক্যানসার এপিডেমিওলজি’ ও ‘বায়োমার্কারস অ্যান্ড প্রিভে'নশন’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে সব ধূমপায়ী কাঁচা রসুন খান ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখে আক্রা'ন্ত হওয়ার আশ'ঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায় তাদের। আদা: প্রদাহ কমায়। অল্প করে আদা কুচি নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
হলুদ: হলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমায়। বেঙ্গালুরুতে ৭৭ জন হাঁপানি ও সিওপিডি রোগীকে ৩০ দিন ধরে কারকিউমিন ক্যাপসুল খাইয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, তাঁদের ক'ষ্ট অনেক কমে গেছে।ফল ও সবজি: আপেল, পেয়ারা, শসা, সবেদা এই সব ফল ফুসফুসের যত্নের জন্য খুবই ভাল। আপেল ও বাতাবি লেবুর ফ্ল্যা'ভে'নয়েড ও ভিটামিন সি নিশ্চি'তভাবে কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের। গাজর, কুমড়ো, বেল পেপারে থাকে অ্যা'ন্টিঅক্সি'ডেন্ট ও ভিটামিন সি। সারা শরীরের পাশাপাশি ফুসফুসের রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতা বাড়ায় এই সব সবজি। কাজেই এদেরও রাখতে হবে পাতে।
বিভিন্ন ধরনের বিন ও বীজ: এই সব খাবারে অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি আছে প্রচুর ম্যা'গনেশিয়াম। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে এর ভূমিকা আছে। তিষির বীজে আছে ভিটামিন ই, বাড়ায় রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতা। আখরোটের ওমেগা থ্রি কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনার এই সময়ে শিশুর টিকা

স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন ১১ শিশুর মৃত্যুর পর
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন ঘরে থাকছেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু এই অবরুদ্ধ সময়ের মধ্যেই পেরিয়ে যাচ্ছে অনেক শিশুর টিকা দেওয়ার নির্ধারিত সময়। এতে বাবা–মায়েরা উদ্বিগ্ন রয়েছেন।
বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা বেশি। কারণ, তাদের টিকা এখনো শুরুই করা যায়নি। শিশুর জীবনের প্রথম টিকাটি হলো বিসিজি বা যক্ষ্মার টিকা। জন্মের ১৪ দিনের মধ্যে এই টিকা দেওয়ার কথা। তা না হলে অন্তত দেড় মাস বয়সে। তবে নবজাতকের টিকা যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, ততই ভালো।
আমাদের দেশে দেড় মাস থেকে ১৫ মাস পর্যন্ত মোট পাঁচবার টিকাকেন্দ্রে যেতে হয়। প্রথম তিনটি টিকা দিতে হয় দেড় মাস, আড়াই মাস ও তিন মাস ১৫ দিনে। যক্ষ্মার টিকা ছাড়া এই টিকাগুলো মোটামুটি একই ধরনের। শেষ দুটি হলো এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকা। এটি দিতে হয় ৯ মাস শেষ হলে এবং ১৫ মাসে। একই ধরনের দুটি টিকার মধ্যে ন্যূনতম এক মাস সময়ের ব্যবধান থাকতে হয়। এ কারণে আপনার টিকার কার্ডে পরবর্তী যে তারিখে টিকা দেওয়ার কথা লেখা আছে, তার আগে দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরে দিতে বাধা নেই। কত দিন পর দেবেন বা কত দিন দেরি করা যাবে, সেটি কোথাও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই।
তবে শিশুর ২ বছর বয়সের মধ্যে আপনাকে সবগুলো টিকা শেষ করার কথা। তাই প্রথম তিনটি টিকা দেওয়ার বেলায় আপনার শিশুর বয়স এই মুহূর্তে ২ মাস বা ৪ মাস, যা–ই হোক না কেন, আপনি ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতেই পারেন। আবার আপনার শিশুর বয়স যদি ৯ মাসের বেশি হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ৯ মাসে যে টিকাটি দেওয়ার কথা ছিল, সেটি ১৩ বা ১৪ মাস বয়সে দিলে ক্ষতি হবে না। কারণ, ১৫ মাসে আপনার বাচ্চার যে টিকা দেওয়ার কথা, তার এক মাস আগে বাকিগুলো দিয়ে ১৫ মাসে শেষ এমআর টিকা দিলেই সরকারি সবগুলো টিকা দেওয়া সম্পন্ন হবে। আবার যাদের বাচ্চার বয়স ১৫ মাস বা তার বেশি, তাদের ক্ষেত্রে ১৫ মাসের টিকাটি ২ বছর বয়সের মধ্যে যেকোনো সময় দিতে পারেন।
অনেক এলাকায় বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়ারও ব্যবস্থা আছে, সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়িতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন।
করোনার এই দুর্যোগের মধ্যেও আমাদের দেশে টিকাদান কর্মসূচি চালু আছে। অনেক এলাকায় বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়ারও ব্যবস্থা আছে। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়িতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর্মী যেন মাস্ক পরা থাকেন এবং টিকা দেওয়ার আগে তিনি যেন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আপনার এলাকার টিকাদান কেন্দ্র কত দূরে কিংবা সেখানে লোকসমাগম কেমন হয়, সেটি বিবেচনা করেও টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। অর্থাৎ টিকাদান কেন্দ্র যদি অনেক দূরে হয় এবং সেখানে গেলে যদি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে না যাওয়াই ভালো।

লেখক:ডা. আবু সাঈদ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশের যে সকল হাসপাতালে মিলছে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা

ঢাকায় মোট ১১টি হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হলো- উত্তরায় অবস্থিত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালকমলাপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালমতিঝিলের মহানগর জেনারেল হাসপাতালমিরপুর রোডে অবস্থিত মিরপুর মেটারনিটি হাসপাতাললালবাগে কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালসাভারের আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকেরানীগঞ্জে জিঞ্জিরা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালজুরাইনে অবস্থিত সাজিদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালশেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
এই কয়েকটি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা সহ সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষার ব্যাবস্থাও রয়েছে। পাশাপাশি আইডিসিআরসহ প্রায় ১৭টি ল্যাবে রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্ট পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য বুলেটিনের মঙ্গলবার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বাইরে এই ছয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজকুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজকুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজদিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজবগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ।
এছাড়াও ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজশহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজমুগদা মেডিক্যাল কলেজশেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটকুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই আরটি-পিসিআর পরীক্ষা পদ্ধতি শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা চালু শুরু হতে যাচ্ছে।

উল্লেখ্যঢাকা মহানগরীতে মোট ৯টি প্রতিষ্ঠানে সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৩১টি ও ঢাকার বাইরে আটটি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে মোট তিন হাজার ৫৯৭টি।

এই সময়ে বাড়িতে কারও জ্বর হলে যা করবেন

ডা. রাশেদুল হাসান
১৭ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৫৯
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০১
প্রিন্ট সংস্করণ

































































প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবিদেশে দিনে দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক হওয়ার সময় এখনই। কিন্তু এর মধ্যেই যদি বাড়িতে কারও জ্বর আসে কিংবা গলাব্যথা, কাশি দেখা দেয় তাহলে করণীয় কী, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন। বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে, করোনার সংক্রমণের পরীক্ষা হোক বা না-হোক এখন প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তিকে সবার থেকে আলাদা করে ফেলা। কিন্তু সেটা কীভাবে করবেন? আসুন এ সম্পর্কে নিয়মকানুনগুলো জেনে নিই।
১. অসুস্থ ব্যক্তিকে এমন একটি ঘরে রাখতে হবে, যা অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। ওই ঘরের সঙ্গে আলাদা টয়লেট থাকলে খুবই ভালো। খাওয়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা ছাড়া বাকি সময় কক্ষটি বন্ধই থাকবে। প্রয়োজনীয় খাবার ও জিনিস দরজার কাছে রেখে দূরে সরে যেতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি দরজা খুলে তা সংগ্রহ করবেন।
২. অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের দেশে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা সম্ভব না–ও হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি বা দুটি ঘরে অনেক মানুষ বসবাস করে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে এমনভাবে থাকতে হবে, যেন অসুস্থ ব্যক্তির সঙ্গে কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার দূরত্ব বজায় থাকে। সেবাদানকারী ব্যক্তি একটানা ১৫ মিনিটের বেশি অসুস্থ ব্যক্তির কাছাকাছি অবস্থান করবেন না।
৩. রোগীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র, জামাকাপড়, তোয়ালে-গামছা সব আলাদা করে ফেলতে হবে। এগুলো আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই পরিষ্কার করবেন এবং পরিষ্কার করার সময় কমপক্ষে ৩০ মিনিট ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হবে। পরিষ্কার করার সময় গ্লাভস ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়।
৪. রোগী এবং ঘরে অবস্থানকারী প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করবেন।
৫. যদি আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে ব্যবহারের পর রোগী নিজেই টয়লেট জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, কমোডের ঢাকনা বন্ধ করে ফ্ল্যাশ করবেন এবং টয়লেটের একজস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখবেন। রোগীর ব্যবহারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর অন্যরা টয়লেট ব্যবহার করবেন।
৬. আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢাকবেন এবং নিজের সব বর্জ্য একটা পলিথিনের ব্যাগে মুড়ে ঢাকনা দেওয়া বিনে ফেলবেন। পলিথিনের ব্যাগটি রোজ মুখ বন্ধ করে নিজেই ঘরের বাইরে রেখে দেবেন। অন্যরা সেই ব্যাগটি বাইরে ময়লার বালতিতে ফেলার সময় গ্লাভস ব্যবহার করবেন ও স্পর্শ করার পর হাত ধুয়ে ফেলবেন।
৭. আক্রান্ত ব্যক্তিকে পরিচর্যা করার আগে-পরে হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুতে হবে। যতটা সম্ভব কাছে না গিয়ে পরিচর্যা করতে হবে।
বাড়িতে পর্যাপ্ত ঘর না থাকলে অথবা পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে কিংবা পরিবারে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি থাকলে জ্বরের রোগীকে সরকার নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে রাখা যেতে পারে। রোগী বাড়িতে থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে লক্ষণ অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র নিন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ

সাবান–পানিই ভালো

অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম
১৮ এপ্রিল ২০২০, ০৮:০৫
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৩৪

































































অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম। ছবি: সংগৃহীত।অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম। ছবি: সংগৃহীত।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে সাবান–পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কোন ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন, তা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি ও দ্বিধায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া যাঁদের ত্বকের রোগ আছে, তাঁরাও বারবার সাবান–পানি দিয়ে হাত ধোয়ার কারণে সমস্যায় রয়েছেন। সাবান–পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমরা ই–মেইলে যোগাযোগ করেছিলাম ঢাকার হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিমের সঙ্গে।

প্রথম আলো: ভাইরাস দূর করার জন্য স্রেফ সাবান–পানি যথেষ্ট, নাকি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বেশি ভালো।

আফজালুল করিম: সাবান–পানি আর অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার—দুটোই হাত জীবাণুমুক্ত করে। তবে সাবান–পানি ভাইরাসটির আবরণ ভেঙে ফেলতে সক্ষম। তাই সাবান–পানিই ভালো। হাতে সাবান নিয়ে পানি দিয়ে ফেনা করে ঘষে ঘষে ধুতে হবে। এতে জীবাণু বা ভাইরাস চলে যায়। তবে সব সময় সব জায়গায় সাবান–পানির ব্যবস্থা নাও থাকতে পারে। তাই ছোট হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল সঙ্গে রাখা যায়। যখন সাবান–পানি পাওয়া যাচ্ছে না, যেমন, পথে চলার সময়, গণপরিবহনে বা বাজারে, মার্কেটে বা ব্যাংকে, তখন এটি ব্যবহার করলেন।
প্রথম আলো: বারবার হাত ধোয়ার জন্য কোন ধরনের সাবান ভালো? সাধারণ বার সাবান, তরল হ্যান্ডওয়াশ, নাকি যেকোনো ডিটারজেন্টমিশ্রিত তরল? গরম পানি দিয়ে হাত ধুলে কি কোনো বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে?
আফজালুল করিম: করোনাভাইরাসের বাইরের আবরণটি চর্বি বা লিপিড দিয়ে তৈরি। আর ক্ষারযুক্ত যেকোনো সাবান এই লিপিড লেয়ারকে ভেঙে ফেলতে পারে। তাই যেকোনো ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে হাত ধোয়ার জন্য। দামি হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। এমনকি কাপড় কাচার সাবানও কার্যকর। গোসল করার বার সাবান বা তরল হ্যান্ডওয়াশ যেকোনো কিছু হতে পারে।
অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে হাত ধুলে ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও আছে। তাই হালকা গরম পানি বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে। কতবার বা কতক্ষণ পরপর ধুতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে খাওয়ার আগে ও পরে, খাবার প্রস্তুত বা পরিবেশনের আগে, বাইরে থেকে এসে বা বাইরে থেকে আনা যেকোনো জিনিস স্পর্শ করার পর, টয়লেটের আগে ও পরে, অসুস্থ মানুষের পরিচর্যা করার পর, যেকোনো তল বা বস্তু পরিষ্কার করার পর বা নোংরা–আবর্জনা হাতে লেগে গেলে অবশ্যই হাত ধুতে হবে। এর বাইরে যখনই মনে পড়বে হাত ধুয়ে নিন।
প্রথম আলো: বারবার হাত ধোয়ার কারণে কারও কারও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ছে বেশি। বিশেষ করে যাদের আগে থেকে শুষ্ক ত্বক আর ত্বকের সমস্যা আছে, তারা এ সমস্যা পড়ছে বেশি। কারও হাতে চুলকানি হচ্ছে, চামড়া উঠছে, লাল হয়ে যাচ্ছে, ফেটে যাচ্ছে ইত্যাদি। এসব সমস্যার প্রতিকার কী?
আফজালুল করিম: হাত ধোয়ার কিছুক্ষণ পর হাত শুকিয়ে গেলে হালকা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করা যাবে। এতে হাত বেশি শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাবে। রাতে ঘুমানোর আগে হাত ভালো করে অনেকক্ষণ ধরে ধোয়ার পর পুরু করে ময়েশ্চারাইজার বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। কারণ, রাতে তো আর হাত ধোয়া হবে না। সারা রাতে ত্বক আর্দ্র হবে।
প্রথম আলো: কোভিড–১৯ সংক্রমণের এই সময়ে অনেক বাড়িতেই গৃহকর্মী নেই। তাই সবাই মিলে কাপড় কাচা, বাসনকোসন ধোয়া, রান্নাবান্নার কাজ করতে হচ্ছে। এ কারণে হাতের ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে পড়ছে। কারও আবার ছত্রাক সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?
আফজালুল করিম: অতিরিক্ত পানি, বিশেষ করে ডিটারজেন্টমিশ্রিত পানি ব্যবহারে অনেকেরই ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে। পানির কাজ করার পর হাত ভালো করে পরিষ্কার করে হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেওয়া ভালো। এ ছাড়া ধোয়ামোছার কাজের সময় দরকার হলে কিচেন গ্লাভস হাতে পরে নিতে পারেন। তবে কাজ শেষে গ্লাভস খুলে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ডিসপোজেবল গ্লাভস হলে ভালো করে মুড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। রিইউজেবল গ্লাভস হলে ওটা সাবান–পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
প্রথম আলো: করোনাভাইরাস তৈলাক্ত আবরণ দিয়ে তৈরি। তাই ক্ষারযুক্ত সাবান–পানিতে এটি দূর হয়। কিন্তু হাতে তৈলাক্ত ময়েশ্চারাইজার, লোশন, ক্রিম, ভ্যাসলিন ইত্যাদি ব্যবহার করলে কি ভাইরাস লেগে থাকার ঝুঁকি বাড়বে?
আফজালুল করিম: প্রথমে ভালো করে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত, নখ, আঙুলের ফাঁক, কবজি ইত্যাদি ধুয়ে নিলে হাত জীবাণমুক্ত হবে। এবার শুকিয়ে যাওয়ার পর পরিষ্কার হাতে নিশ্চিন্তে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এই হাত দিয়ে আবার নিজের অজান্তেই অনেক কিছু স্পর্শ করে ফেলবেন। তাই আবারও কিছুক্ষণ পর হাত ধুতে হবে। বারবার হাত ধোয়ার বিকল্প নেই।
প্রথম আলো: যাঁরা বাইরে যাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদকর্মী, পুলিশ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রায় সবাই এখন হাতে গ্লাভস পরছেন। দীর্ঘ সময় গ্লাভস পরে থাকলেও হাতের ত্বকে কিছু সমস্যা হয়। গ্লাভস খোলার পর হাতে গুঁড়া লেগে থাকে, শুষ্ক মনে হয়। এ ব্যাপারে করণীয় কী?
আফজালুল করিম: গ্লাভস কিন্তু সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে পারবে না। কারণ, গ্লাভস পরা হাত দিয়ে আপনি নিজের নাক–মুখ স্পর্শ করলে জীবাণু প্রবেশের ঝুঁকি তো রয়েই গেল। আবার অনেকক্ষণ গ্লাভস পরে থাকলে হাত ঘামে। বাইরে গেলে বা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সময় গ্লাভস পরলেও বিশেষভাবে লক্ষ রাখবেন, এই গ্লাভস পরা হাত যেন নিজের নাক–মুখ স্পর্শ না করে। আর কাজ শেষে যত দ্রুত সম্ভব গ্লাভস সঠিকভাবে খুলে সঠিক জায়গায় ফেলতে হবে এবং এরপর হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রথম আলো: ত্বকের কিছু রোগে, যেমন: সোরিয়াসিস এ, কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমাতে পারে। এই সময়ে এই রোগীদের কি বাড়তি কোনো ঝুঁকি আছে? তাঁরা কি এসব ওষুধ চালিয়ে যাবেন?
আফজালুল করিম: ত্বকের অনেক রোগের জন্য এমন কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যা দীর্ঘদিন সেবন করার কারণে রোগ উপশম ক্ষমতা কমে যেতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনো ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করবেন না। এতে রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। বরং যাঁরা এ ধরনের ওষুধ সেবন করেন, তাঁরা একটু বিশেষ সতর্ক থাকুন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। বারবার হাত ধোয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে বা টেলিমেডিসিনের সাহায্য নিন।

যা খেলে রোগ উপশম ক্ষমতা বাড়ে

লাজিনা ইসলাম চৌধুরী
১৮ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৫৩
আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৫৪
প্রিন্ট সংস্করণ

































































করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে নানা ধরনের ভিটামিন-মিনারেল বড়ি খাওয়ার হিড়িক পড়েছে। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, এমন কোনো জাদুকরি খাবার বা বড়ি নেই, যা খেলে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সামাজিক দূরত্ব, বারবার হাত ধোয়া আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এ ক্ষেত্রে মূলমন্ত্র। তবে এটাও ঠিক যে, সঠিক সুষম ও পুষ্টিকর খাবার যেকোনো রোগ, বিশেষ করে সংক্রামক রোগের প্রতিকূলে শক্তি জোগায়।
• বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই নানা ধরনের ফ্লু আর নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়ার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। ভিটামিন সি, ডি, ই এবং খনিজের মধ্যে জিংক, সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরের রোগ উপশম ব্যবস্থা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজে লাগে। তার মানে এই নয় যে এগুলোর সাপ্লিমেন্ট খেলে আপনি নিরাপদ থাকবেন।
• যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন বলছে, রোগ প্রতিরোধ করতে বাজারের সাপ্লিমেন্ট কাজে আসবে—এমন দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ভিটামিন সি নিয়ে ইতিমধ্যে চীনে দুটি গবেষণা হয়েছে আর জিংক নিয়ে গবেষণা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ইনস্টিটিউটে (এনআইএইচ)। এসব গবেষণায় কিছুটা উপকার দেখা গেলেও এগুলো রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে কতটা কার্যকর, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 
• তবে গবেষকেরা এ-ও বলছেন, সাপ্লিমেন্ট বা বড়ির বদলে এই মুহূর্তে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর ভিটামিন, খনিজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত সবার। তাই বলে কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া চলবে না।  
• বয়োবৃদ্ধ, রোগী, হজমের গোলমাল রয়েছে কিংবা কিডনি জটিলতা আছে, এমন ব্যক্তিরা ভিটামিন বা মিনারেল সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। যারা এ মুহূর্তে ঘরবন্দী এবং ঘরে রোদ পান না, তাঁরা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।
এবার জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবারে কোন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়।
ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন: মিষ্টিকুমড়া, স্কোয়াশ, গাজর, মিষ্টি আলু, পাতাওলা শাক এবং আম।
ভিটামিন সি: সাইট্রাস ফল (লেবু বা টকজাতীয় ফল), স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ, টমেটো।
ভিটামিন ই: উদ্ভিজ্জ তেল, বাদাম, শস্যজাতীয় খাবার।
সেলেনিয়াম: ডিম, মাশরুম, পালংশাক, মুরগির মাংস।
ভিটামিন ডি: কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার, যেমন দই। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, যেমন স্যামন, টুনা, সার্ডিন মাছেও ভিটামিন ডি রয়েছে। সূর্যরশ্মিতে শরীরে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। তাই ঘরবন্দী থাকলেও বারান্দায় বা উঠোনে গিয়ে ত্বকে রোদ লাগানোর চেষ্টা করুন।
লেখক: পুষ্টিবিদ পিপলস হাসপাতাল, খিলগাঁও, ঢাকা

ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকেন, আল্লাহ নিশ্চয় শুনবেন’- প্রধানমন্ত্রী

  • সময়: শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এরকম একটা ঝড় উঠবে তা কল্পনার অতীত ছিল। আসলে ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগের কোনো পূর্বের অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে গাইড লাইন অনুসরন করে আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা থেকে আমরা কতগুলো পদক্ষেপ সঙ্গে সঙ্গে নিতে থাকি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা স্কুল, কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিই। প্রত্যেকের যাতায়াত আমরা সীমিত করে দিই। আমরা বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর বন্ধ করে দিই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন সব জায়গায় আমরা বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই করোনা নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। অনেক চিন্তা হচ্ছে। অনেকেই বলছে শীত হলে বেশি হয়, গরম হলে কমে। আবার বলে গরম হলেও থাকবে। এর স্থায়িত্ব কী, অদ্ভুত একটা অবস্থা সারাবিশ্বে। কত শক্তিশালী দেশ, কত তাদের শক্তিশালী অস্ত্র। কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। একটা ভাইরাস যা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তার কারণে সারাবিশ্ব স্থবির। সারাবিশ্বের মানুষ ঘরে বন্দী। এরকম অদ্ভুত পরিস্থিতি বোধ হয় আর কখনো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেনঃ ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকুন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন। 








No comments:

Post a Comment

Designed By Published.. Blogger Templates