












সিয়াম বা রোজার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
(আরবি: رمضان রমাদ্বন ইসলামী বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাস, ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ত্রিশ দিনে হয়। রমাদ্ব-ন বা রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয় দ্বিতীয় হিজরী সনে । এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন এর সূরাহ বাক্বরাহ'র ১৮২নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,”
হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের উপর সিয়াম (রোজা)
ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববরতীদের
উপর। ফলে আশা করা যায় যে, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণ ও
বৈশিষ্ট্য জাগ্রত হবে।”
মাওলানা সৈয়দ সুলায়মান নদভী রহিমাহুল্লাহ তাঁর সুবিখ্যাত সীরাত
গ্রন্হের ৫ ম খন্ডে এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা এর বরাত দিয়ে লিখেছেন, প্রাচীন মিশরীয়দের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রোজার প্রচলন পাওয়া যায়। গ্রীক ও
পারসিক ধর্মেও রোজা পালনের কথা উল্লেখ আছে। ইসলামের পূর্বে বিভিন্ন ধর্মে রোজা
পালনের প্রচলন থাকলেও মানুষ খুশীমত রোজা পালন করত, যা
অন্তঃসারশূন্য।
সিয়াম বা সওম এর পরিভাষিক অর্থ
আরবী "সওম" শব্দের
আভিধানিক অর্থ হল, যে কোন খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ
নৈকট্য লাভের জন্যে যাবতীয় পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও সকল
পাপাচার থেকে বিরত থাকাকে "সওম" বা "সিয়াম" যা ফার্সিতে বলা
হয় "রোজা"।
রোজা
ফারসী শব্দ। আরবীতে সওম আর বাংলায় উপবাস বলা হয়। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান
দীর্ঘদিন যাবত মুঘল শাসনের অধীনে ছিল। মুঘলরা এদেশে ফারসীকে রাষ্ট্র ভাষা ঘোষণা করেন। তারই ফলশ্রুতিতে
রোজা শব্দটি বাংলা ভাষায় স্থান লাভ করে। তাই আরবী সওম বা বাংলা উপবাস শব্দদ্বয় প্রচলিত
না হয়ে রোজা শব্দটি বহুল প্রচলিত হয়।
যাদের জন্য সিয়াম বা রোজা শিথিলঃ এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির উপর সাওম পালন ফরয, কিন্তু গুরুতর অসুস্থ, ঋতুবতী নারী, মুসাফিরের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে।
সিয়াম বা রোজার সময়কালঃ রোজা বা সাওম হল সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং সহবাস ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা।
সাহরী
সাহরী
সাহরী খানেওয়ালাদের প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষিত হয় (তিরমিজী শরিফ)।
ইসলামী শারীয়াত মতে, সুবহে সাদিকের পূর্বে সিয়াম, সওম বা রোজার নিয়তে যেকোন হালাল খাবার গ্রহণ-কে সাহরী বলা হয়। সুবহে কাজেমের (সুবহে সাদিকের পূর্বে) শেষ দিকে সাহরী গ্রহণ-কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু অআলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎসাহিত করেন।
ইফতার
সূর্যাস্তের পর পরই ইসলামী শারীয়াত সম্মত হালাল যেকোন খাদ্য কিংবা পানীয় দ্বারা রোজা ভঙ্গ করা-কে ইফতার বলা হয়।
মুমিন মুসলমানরা সহীহ হাদিসে ইফতার তাড়াতাড়ি এবং সাহরী বিলম্বিত করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইহুদীরা ইফতার বিলম্বিত এবং সাহরী তাড়াতাড়ি করে থাকে।
অপর এক হাদীসে বলা হয়েছে, মুমিনের জন্য আনন্দ ২টিঃ যার একটি হচ্ছে ইফতারীর সময়।
সারা দিনের ক্ষুৎপিপাসার অবসানে এবং দৈহিক-মানসিক শক্তি ফিরে পেতে এবং মেহনতসাধ্য কিয়ামুল লাইল এর জন্য দেহ-মনকে উপযোগী করার ক্ষেত্রে ইফতার মহান আল্লাহতায়ালার এক অশেষ রহমত, ফয়েজ, বরকত।
এ মাসে মুসলিমগণ অধিক ইবাদত করে থাকেন। এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মাসে দিনের বেলায় সওম বা রোজা এবং রাতের বেলায় কিয়ামুল লাইল তথা তারাবী নামে বিশেষ সালাত বা নামায তিলাওয়াতে ক্বুরঅআনের মাধ্যমে আদায় করা হয়।
সিয়ামের
মৌলিক শিক্ষা
সওম, সিয়াম বা রোজার মৌলিক শিক্ষা হচ্ছেঃ ক্ষতিকারক সকল প্রবণতা থেকে দেহ-মনকে মুক্ত করে
আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা । মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, রমজান তাদেরকে
স্ব-শৃঙ্খলা, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ, [২৭] ত্যাগ ও গরীব-দুঃখীদের প্রতি সহানুভূতি অনুশীলন করতে শেখায়।
আল কুরআনের
আলোকে সিয়াম বা রোজা
: হে মোমিনগণ! তোমাদের
উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমনি ফরজ
করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের
উপর-যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।
[সূরা বাকারা : ১৮৩]
“
|
রমজান মাস হচ্ছে সেই মাস- যে মাসে
কুরআন নাজিল হয়েছিল; মানবজাতির জন্য কোরান একটি হেদায়েত এবং হেদায়েতের সুস্পষ্ট প্রমাণ
এবং মানদণ্ড (সঠিক ও ভুলের)। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ বেঁচে থাকে তবে এই মাসে রোজা
রাখ এবং আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ
করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য চান; তিনি তোমাদের
জন্য কষ্ট না চান; আর এটাই যে, তোমার সময়কাল পূর্ণ হবে এবং তোমার হেদায়েতের জন্য আল্লাহকে
মহিমান্বিত করতে হবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।[কুরআন 2:185]
দুই. রমজান হল কোরআন নাজিলের মাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন :
রমজান মাস,
এতে নাজিল হয়েছে আল-কোরআন, যা মানুষের
দিশারি এবং স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী। [ সূরা বাকারা : ১৮৪ ]
|
”
|
পবিত্র হাদীসের আলোকে সওম বা
রোজা
১. আল্লাহ
হাদীসে কুদসীতে সওম বা রোজার ফজিলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ ফরমান, "রোজা আমারই জন্যে আর আমিই এর প্রতিদান দেব"।
২.রাসূল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, রোজা হচ্ছে ঢাল স্বরুপ অর্থাৎ জাহান্নাম
হতে রক্ষাকারী (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)।
৩. যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনল, সালাত
কায়েম করল, জাকাত আদায় করল, সিয়াম
পালন করল রমজান মাসে, আল্লাহ তাআলার কর্তব্য হল তাকে
জান্নাতে প্রবেশ করানো। [ বোখারি ]
৪. ঐ ব্যক্তির নাক ধুলায় ধূসরিত হোক যার কাছে রমজান মাস এসে চলে
গেল অথচ তার পাপগুলো ক্ষমা করা হয়নি। [ তিরমিজি ]
৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : রমজান
মাসের প্রথম রজনীর যখন আগমন ঘটে তখন শয়তান ও অসৎ জিনগুলোকে বন্দি করা হয়। জাহান্নামের
দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, এ মাসে আর তা খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাসমূহ
খুলে দেয়া হয়, এ মাসে তা আর বন্ধ করা হয় না। প্রত্যেক
রাতে একজন ঘোষণাকারী এ বলে ঘোষণা দিতে থাকে যে, হে
সৎকর্মের অনুসন্ধানকারী তুমি অগ্রসর হও ! হে অসৎ কাজের অনুসন্ধানকারী তুমি থেমে
যাও ! এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে
থাকেন। [ তিরমিজি ]
৬. রমজান মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা
বন্ধ করে দেয়া হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় শয়তানদের।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যখন রমজান মাসের আগমন ঘটে
তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে
দেয়া হয় এবং শয়তানদের আবদ্ধ করা হয়। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে-শয়তানের শিকল পড়ানো হয়। [মুসলিম]
৭. রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন : রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়। [মুসনাদ আহমদ]
৮. অন্য হাদিসে এসেছে : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমজানের প্রতি রাতে
ও দিনে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে থাকেন এবং প্রতি রাত ও দিবসে মুসলিমের দোয়া-প্রার্থনা
কবুল করা হয়। [ সহি আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব]
আসন্ন সওম (রোজা) সম্পর্কে রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজঃ
হজরত সালমান ফারসী (রাঃ) বর্ণিত তিনি বর্ণনা করেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা শাবান মাসের ২৯ তারিখে সাহাবীদের এক সমাবেশে ভাষণে বলেন, হে বিশ্বাসীগন, তোমাদের সামনে একটি বরকতময় মাস উপস্থিত। এ মাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত আছে, যে রাতের ইবাদাত হাজার মাসের ইবাদাতের চেয়েও উত্তম। মহান আল্লাহ এ মাসে রোজা ফরজ করেছেন। এ মাসের রাতে ইবাদাত করলে অন্য মাসের ৭০ গুন সওয়াব পাওয়া যায়। এ মাসের নফল ইবাদত অন্য মাসের ফরজের সমতুল্য। এ মাস সবর, ধৈর্য ও তিতিক্ষার মাস। ধৈর্যের প্রফল হিসেবে আল্লাহ জান্নাত দিবেন। এ মাসে কোন ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করালে এবং নিজের অধীন লোকদের শ্রম-মেহনত হ্রাস করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন ( বায়হাকী: শুযুবিল ঈমান)।
পবিত্র রমজানের আগমনে মহানবী সাল্লাল্লাহু অআলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুভূতি মুবারক
সহিহ মুসলিমের হাদীস দ্বারা এটা প্রমাণিত। যখন রমজানের আগমন হত তখন রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অতিশয় আনন্দিত হতেন এবং স্বীয় সাহাবায়ে কেরাম (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু)দেরকে বলতেন, তোমাদের দ্বারে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। এরপর তিনি এ মাসের কিছু ফযীলত বর্ণনা করে বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য সিয়াম পালন ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। অভিশপ্ত শয়তানকে বন্দি করা হয়। এ মাসে রয়েছে একটি রাত যা হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে মূলতঃ সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল। (আল হাদীস: নাসায়ী)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সকল মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় দানশীল। যখন রমাদান আসত, জিবরাইল (আ.) প্রতি রাতে আসতেন, কোরআনের তালিম করতেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রবাহিত বায়ু অপেক্ষা অধিক হারে দান খয়রাত ও নেক আমল করতেন।’ অন্য বর্ণনায় রয়েছে: ‘রমাদান এলে রাসুল (সা.) এত বেশি দান–খয়রাত করতেন, যেন তা প্রবাহিত বায়ু।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৭১১; মুসলিম, হাদিস: ২৩০৮)। আল্লাহর রহমত পেতে সৃষ্টির প্রতি দয়াশীল হতে হবে। নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘তোমরা দুনিয়াবাসীর প্রতি রহম কর, আসমানওয়ালা খোদা তোমাদের প্রতি রহম করবেন।’ (বুখারি)।
তারাবির নামাজ আদায়
এই মাসের
প্রধান দুইটি আমল হলো সিয়াম ও কিয়াম। সিয়াম বা রোজা হলো, আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, সহবাস ও রোজা ভঙ্গ হওয়ার সব বিষয় থেকে বেঁচে থাকা। আর কিয়াম হলো রাতের
তারাবির নামাজ। তারাবিহ শব্দটি আরবি তারভিহাতুন থেকে এসেছে। এর অর্থ বিশ্রাম করা,
প্রশান্তি লাভ করা।
তারাবি
নামাজে যেহেতু প্রতি চার রাকাত পরপর একটু বিশ্রাম নিয়ে আদায় করতে হয় তাই এই
নামাজকে সালাতুত তারাবিহ বা তারাবি নামাজ বলা হয়। তারাবির নামাজ এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর
এবং বিতিরের আগে আদায় করা হয়। তারাবির নামাজ সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। :
তারাবির
ফজিলত সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসুল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি
ঈমানের সঙ্গে নেকীর আশায় কিয়ামুল লাইল তথা তারাবি আদায় করবে তার পূর্ববর্তী সব
গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (বুখারী ও মুসলিম)
রাসুল (সা:) তারাবি কে কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন এবং তারাবি যেন
ফরজ না হয়ে যায় যেটা আদায় উম্মতের কষ্ট হতে পারে। সেটা রাসূল (সা:) এর একটি হাদিসে
থেকেই বোঝা যায়।
তারাউই
বা তারাবী মানেই খতমে কুরআন-এটা অনেকটা তারাবী সালাত বা নামাযের ঐতিহ্য হয়ে গেছে
বিশেষ করে ইসলামের দ্বিতীয় মহান খলিফা আমিরুল মুমিনিন হযরত ওমর ইবনু খাত্তাব
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর আমল থেকে।
তারাবী নামাযের ইতিকথা
হজরত আয়েশা
((রদ্বিয়াল্লাহু আনহা)) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম) একবার রমজান মাসে রাত্রিবেলায়
মসজিদে নববীতে নামাজ (তারাবি) আদায় করলেন। উপস্থিত লোকজনও তাঁর সঙ্গে নামাজ আদায়
করলেন। একইভাবে তাঁরা দ্বিতীয় দিনেও নামাজ আদায় করলেন এবং লোকসংখ্যা অনেক বেশি
হলো। অতঃপর তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনেও মানুষ একত্রিত হলো কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হুজরা থেকে বেরিয়ে তাদের কাছে এলেন না। অতঃপর সকাল হলে তিনি
এলেন এবং বললেন, তোমাদের অপেক্ষা করার বিষয়টি আমি লক্ষ্য
করেছি। কিন্তু শুধু এ ভয়ে আমি তোমাদের কাছে আসা থেকে বিরত থেকেছি যে, আমার আশঙ্কা হচ্ছিলো, না জানি তোমাদের ওপর উহা
(তারাবি) ফরজ করে দেওয়া হয়। (বুখারী)
(রমজানঃ পবিত্র কুরআন তিলায়াতের মাস)
আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রদ্বিয়াল্লাহু
আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের
দিন কুরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাক এবং
উপরে চড়তে (উঠতে) থাক। তুমি তাকে ধীরে সুস্থে পাঠ করতে থাক, যেরূপ তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান
(জান্নাত) ঐটিই যেখানে তোমার কুরআনের আয়াত শেষ হবে। [কিতাবুস সালাত](হাদীস
নং-১৪৬৪).
আয়িশা(রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং কুরআনে অভিজ্ঞও- সে ব্যক্তি অতিসম্মানিত ফেরেশতাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠের সময় আটকে যায় এবং কষ্ট করে পড়ে, তার জন্য দু’টি বিনিময় অবধারিত। [কিতাবুস সালাত](হাদীস নং-১৪৫৪)
হাদিসের আলোকে আল কুরআনের ফাজিলাতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, সর্বোত্তম
বাণী আল্লাহর কিতাব । [সহীহ
মুসলিম]
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কুরআনকে আঁকড়ে ধরো , তাহলে কখনো বিপথগামী হবেনা। [মিশকাত]
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে আল্লাহর কিতাবের পথ ধরে সে দুনিয়াতে বিপথগামী হয়না এবং পরকালে হয়না দুর্ভাগা । [মিশকাত]
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমার উম্মতের সম্মানিত লোক হলো কুরআনের বাহক আর রাতের সাথীরা। [বায়হাকী]
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, কুরআন উচ্চস্বরে পাঠকারী প্রকাশ্যে দান-খয়রাতকারীর অনুরূপ এবং গোপনে কুরআন পাঠকারী গোপনে দানকারীর মত। [কিতাবুস সালাত]
সিয়াম বা রোজামুখে
তিলাওয়াতে ক্বুরঅআন অবস্থায় ইন্তিকাল এক পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। মহান আল্লাহতায়ালা
মরহুম হাজি আলি সুলফিক-কে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।
পবিত্র কুরআনের শানে নজুলের
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশের বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র আল-কোরআন একবারে নাজিল হয়েছিল। সেখান হতে আবার রমজান মাসে অল্প অল্প করে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি নাজিল হতে শুরু করে। কোরআন নাজিলের দুটি স্তরই রমজান মাসকে ধন্য করেছে। শুধু আল-কোরআনই নয় বরং ইবরাহিম আ.-এর সহিফা, তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল সহ সকল ঐশী গ্রন্থ এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে বলে তাবরানী বর্ণিত একটি সহি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। (সহি আল-জামে)
রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশের বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র আল-কোরআন একবারে নাজিল হয়েছিল। সেখান হতে আবার রমজান মাসে অল্প অল্প করে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি নাজিল হতে শুরু করে। কোরআন নাজিলের দুটি স্তরই রমজান মাসকে ধন্য করেছে। শুধু আল-কোরআনই নয় বরং ইবরাহিম আ.-এর সহিফা, তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল সহ সকল ঐশী গ্রন্থ এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে বলে তাবরানী বর্ণিত একটি সহি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। (সহি আল-জামে)
প্রতি বছর রমজান মাসে জিবরাইল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-কে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ও তাঁকে
পূর্ণ কোরআন শোনাতেন। আর জীবনের শেষ রমজানে আল্লাহর রাসূল দু বার পূর্ণ কোরআন
তিলাওয়াত করেছেন। সহি মুসলিমের হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত।
এ মাসের লাইলাতুল কদর নামক রাতে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছিল, এ রাতকে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলেছেন। রমজান মাসের ২৯ অথবা ৩০ তারিখ
সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে ঐ রাত-কে বলা হয় চাঁদ রাত এবং দিন-কে বলা হয়
ইয়ামুল ঈদ অর্থাৎ ঈদের দিন। এই ঈদ মুসলমানদের প্রধান দুটি ঈদের প্রথম ঈদ।
ঈদ -উল ফিতর
শব-ই-ক্বদরঃ হাজার
মাসের চেয়ে উত্তম রাত লাইলাতুল কদর বা সন্মানিত রাত। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ
দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত-কে লাইলাতুল কদর বলা হয়।
এটি এমন
একটি রাত,
যে রাতে সৃষ্টজীবের পূর্ণ এক বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়।
প্রত্যেক প্রাণির পানাহার, জীবিকাসহ সর্বপ্রকার কাজ-কর্ম
নির্ধারণ করা হয় বলে এই রাতকে লাইলাতুল কদর বা তাকদীর বা ভাগ্য পরিমাপ নির্ধারণী রাত
বলা হয়।
আরবী ভাষায়
লাইলাতুল শব্দের অর্থ রাত্রী বা রজনী। আর কদর শব্দের অর্থ পরিমাপ বা নির্ধারণ। কারো
মতে, সম্মান, মর্যাদা, সুমহান
প্রভৃতি।
এ রাতে
বান্দার প্রতি আল্লাহর নূর বর্ষিত হয়। ফেরেশতাগণ এবং হযরত জিবরাঈল (আ.) এ রাতে
যমীনে অবতরণ করেন।
৬১০ সালে
শবে কদরের রাতে মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত অবস্থায় মুহাম্মদ (সা.) এঁর
নিকট সর্বপ্রথম কোরআন নাজিল হয়। এই রাতে সুরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাজিল হয়।
তারপর দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বিভিন্ন প্রয়োজন এবং ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজিল করা হয় পবিত্র
আল কোরআন।
রমজানের
শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর হওয়ার ব্যাপারে রাসুল (সা.) এঁর অনেক হাদিস
রয়েছে। শবে কদর হচ্ছে একটি মহিমান্বিত, বরকতময় এবং বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত
রজনী। এ রজনীতে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবর্তীণ হয়েছে।
আল্লাহ
তায়ালা সুরা কদরের ১-৫ নং আয়াতে বলেছেন, নিশ্চয় আমি কোরআন অবতীর্ণ
করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জান? কদরে
রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে
তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, বিরাজ
করে উষার আবির্ভাব পর্যন্ত।
হা-মীম!
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। নিশ্চয়ই আমি কোরআন এক মুবারকময় রজনীতে অবর্তীণ করেছি।
নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। (সুরা: আদ
দুখান, আয়াত: ১-৪)
লাইলাতুল
কদর সম্পর্কে মহানবী বলেন, যে ব্যক্তি এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত
করবে, আল্লাহ তাঁর পূর্বেকৃত সবগুনাহখাতা মাফ করে দেবেন।
(বুখারী)
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড়
রাতের মধ্যে কোনো একদিন লাইলাতুল কদর। তবে হাদিসে রয়েছে আবহাওয়া বা ঝলমলে একটি
প্রাশান্তির রাত হবে সেদিন। এই রাতটি হবে খুবই শান্ত ও শান্তিময়। এই রাত শেষে
সকালটি হবে প্রশান্তির। এ রাতে প্রত্যেক বস্তুকে সেজদারত অবস্থায় দেখা যাবে।
প্রতিটি স্থান হবে স্বর্গীয় আলোয় আলোকিত।
ঈদ -উল ফিতর
ঈদ -আল-ফিতর (আরবি: عيد الفطر) দশম চন্দ্র মাসের শাওয়াল নামক বাঁকা চাঁদ ২৯ কিংবা ৩০ শে রমজানের সমাপ্তির পর সূর্যাস্তের
সাথে সাথে সাধারণতঃ দক্ষিণ এশিয়ায় পশ্চিম আকাশে উদিত হওয়ার মুহুর্ত থেকে এর সূচনাকাল। চাঁদ দেখে সিয়াম, সওম বা রোজা রাখা এবং চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ার
নির্দেশনা সহীহ হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। চাঁদ দেখার ব্যাপারে শারীয়াত সম্মত কিছু
নির্দেশনা রয়েছে। নির্ভরযোগ্যসূত্রে
চাঁদ দেখা এবং হুকুমাত (সরকার) কর্তৃক সিদ্ধান্তের উপর ঈদ উদযাপন
নির্ভরশীল। এ জন্য মুসলিম বিশ্বের দেশে দেশে রয়েছে সরকার নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয়
হেলাল কমিটি বাংলাদেশ এ কমিটির নাম জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সাধারণতঃ ধর্ম
মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রি কিংবা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার
নেতৃত্বে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি চাঁদ দেখা বা না দেখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
এবং সে মোতাবেক ঘোষণা মিডিয়ার মাধ্যমে জাতিকে অবহিত করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের অআকাশে
কেউ যদি চাঁদ দেখে থাকেন তা উক্ত কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।


ইস্তানবুল, তুরস্ক এর সুলতান আহমেদ মসজিদ ইফতার প্রস্তুত করার দৃশ্যে

গ্রেগরিয়ান বছর ১৯৩৮ - ২০৩৮ এর মধ্যে রমজান শুরু হয়।
কলকাতা ও ঢাকার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচী
# সময়সূচী দুটো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সৌদি আরবে রোযা শুরু শুক্রবার
·

সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুযায়ী শুক্রবার থেকে দেশটিতে রমজান মাস শুরু হচ্ছে।
সেখানে বুধবার মাহে রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বৃহস্পতিবার ৩০
দিন পূর্ণ হলো শাবান মাসের।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বলেছে, সৌদি আরবে অর্ধচন্দ্র দেখা গেছে। এর অর্থ
শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে।খবর-আল আরাবিয়া
রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তরে সুদাইর এবং কাসিমের
মাঝখানে একটি ছোট্ট গ্রামে দেশটির হাওতাত সুদাইরের জ্যোতিবিজ্ঞান পর্যবেক্ষকদের একটি
দল চাঁদ দেখেছে।
মুসলিমরা লুনার ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে। যেখানে ১২ মাসে এক
বছর ধরা হয়। ৩৫৪ অথবা ৩৫৫ দিনে এক বছর গণনা করা হয়। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯
মাস পরে রোযার অর্ধচন্দ্র দেখা গেছে।
এদিকে, মক্কা ও মদিনার প্রধান দুই মসজিদে রোজার সময় জামাতে নামাজ আদায় বন্ধের
সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। রমজানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে তারাবির
নামাজ আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। বুধবার পবিত্র এই দুই মসজিদের প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে এ
ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে কেবল মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্টরা জামায়াতে শরীক হতে পারবেন।
ইসমাঈল
আযহার: আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দার সকল আমল একরকম আর রোযার হিসাব ভিন্ন রকম।
আল্লাহ্র নিকট বান্দা আমলের প্রতিদান লাভ করবে। তবে রোযার প্রতিদান আল্লাহ নিজে
বান্দাকে দান করবেন। আল্লাহ কেমন প্রতিদান দেবেন তা আল্লাহ্ই ভালো জানেন। আমরা
শুধু বুঝি, যে প্রতিদান আল্লাহ বিশেষভাবে দেবেন তা
তাঁর শান মোতাবেক দেবেন। রোযার ক্ষেত্রে বান্দার জন্য আল্লাহ্র তরফ থেকে এত বড়
সম্মান ও পুরস্কার এ জন্য যে, রোযা সাধারণত আল্লাহ্র
জন্যই হয়ে থাকে। অন্যান্য আমলের তুলনায় রোযার ক্ষেত্রে রিয়ার আশঙ্কাও কম থাকে।
সেজন্যই আল্লাহ বলেছেন, রোযা আমার জন্য। আর এজন্যই আল্লাহ
নিজে এর প্রতিদান দান করবেন।
দ্বিতীয়ত
রোযাদারের জন্য এত বড় পুরস্কার এজন্যও যে, আল্লাহ তাআলা অন্যান্য সময় তার জন্য যা হালাল করেছেন রোযা অবস্থায়
দিনের বেলা কেবল আল্লাহ্র হুকুমের কারণে সে তা থেকে বিরত থাকছে। সে পানাহার ও বৈধ
জৈবিক চাহিদা দমন করছে কেবল আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের লক্ষ্যে এবং একমাত্র তাঁর
সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। অথচ এগুলো এমন বিষয়, একমাত্র
আল্লাহ্র ভয়, তাঁর প্রতি বিশ্বাস এবং তাঁর সন্তুষ্টি
অর্জনের প্রত্যাশা ব্যতীত এ থেকে নিবৃত্ত থাকা সম্ভব নয়।
প্রচন্ড
গরম। খুব তৃষ্ণা। নামাযের জন্য অযু করছি। কুলি করার জন্য মুখে পানি দিলাম। এ পানি
মুখ থেকে বের না করে গিলে ফেললেও দেখার ও বলার কেউ নেই। তবুও মুখের পানি গলার ভেতর
না নিয়ে বাইরে ফেলে দিচ্ছি। কারণ? আমার এ
বিরত থাকা একমাত্র আল্লাহর জন্য। এজন্য আল্লাহ নিজেই এর বিনিময় দান করবেন।
সহীহ
মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তাআলা বলেন,
সকল আমলের সওয়াব তো (একরকম) নির্ধারিত। অর্থাৎ প্রতিটি নেকী দশ
থেকে সাতশ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে রোযার বিষয়টি এর ব্যতিক্রম। কেননা রোযা
একমাত্র আল্লাহ্র জন্যই হয়ে থাকে। আর তাই এর প্রতিদান আল্লাহ নিজেই দেবেন।
তো
যে আমলের প্রতিদান মহান রাব্বুল আলামীন নিজে দান করবেন সেই প্রতিদান কেমন মহান হতে
পারে! আর এমন আমলের প্রতি একজন মুমিনের আগ্রহ
শনিবার,
২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০:৪১
রাসূল (সা.) যেভাবে ইফতার ও সাহরি করতেন
ইসলাম
ডেস্ক : বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ তিরমিজি শরিফে বর্ণিত- রোজার মাসে রাসুল সা. মাগরিবের
আগে কয়েকটি ভেজা খেজুরের মাধ্যমে ইফতার করতেন। ভেজা খেজুর না থাকলে সাধারণ শুকনো
খেজুর। এর ব্যতিক্রম হলে কয়েক ঢোক পানিই ছিল রাসুল সা.-এর ইফতার। হজরত আব্দুল্লাহ
বিন আবি আউফা র. সূত্রে বর্ণিত- তিনি বলেন, রোজায় আমরা রাসুল সা.-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে
ডেকে বললেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন কর।
(মুসলিম শরীফ, ১০৯৯)।
বিশ্বনবি
মুহাম্মদ সা.-এর ইফতার কত সাদাসিদে ছিল। খেজুর ছাতু আর পানির ইফতার। সাদাসিদে এই
ইফতারে রয়েছে তৃপ্তি। আছে অপরকে ইফতার করানোর সওয়াব।
ইফতারের
ফজিলত সম্পর্কে হজরত রাসুল সা. বলেন, কেউ যদি রমজান মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ মাফ করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন।
ইফতার প্রদানকারী একটি রোজার সওয়াব পাবে অথচ রোজা পালনকারীর সওয়াব সামান্য কমানো
হবে না। সাহাবিরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল সা., আমাদের এমন সামর্থ নেই যা দিয়ে আমরা কাউকে ইফতার করাতে পারি?
তিনি
বলেন, আল্লাহ তাকেও এই সওয়াব দিবেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজা পালনকারীকে এক ঢোক দুধ অথবা একটা শুকনো খেজুর
কিংবা এক চুমুক পানি দিয়েও ইফতার করাবে আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্তি
সহকারে খাওয়াবে আল্লাহ তাকে আমার হাউজে কাওসার থেকে এমনভাবে পানি পান করাবেন যার
ফলে, সে জান্নাতে না পৌঁছানো পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।
(বায়হাকি, মেশকাত : ১৭৪)
হজরত
সালমান ইবনে আমের আদ-দাব্বি রা. সূত্রে বর্ণিত, মহানবি সা. বলেন, তোমরা খুরমা-খেজুর দিয়ে
ইফতার করবে। তবে যদি সে খুরমা-খেজুর না পাও, তাহলে পানি
দিয়ে ইফতার করবে। কারণ, পানি পবিত্র। (আবু দাউদ, তিরমিজি)
হজরত
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা.
ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয়ে যায় না। এক.
ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া। দুই. ন্যায়বিচারক বাদশাহের দোয়া। তিন. মজলুমের দোয়া।
(আহমদ)
রাসুল
সা.-এর সেহরির কথা হজরত আব্দুলা বিন হারেস এভাবে বলেন- একরাতে রাসুল সা. সেহরি
খাচ্ছিলেন, আমি তখন হুজুর সা.-এর নিকট পৌঁছলাম। তিনি
বলেন, তোমরাও সেহরি খাও। এতে আল্লাহ বিশেষ বরকত রেখেছেন।
সেহরি পরিত্যাগ কর না। (নাসায়ি: ২১৬২)।
রাসুল
সা. সেহরিতে কী খেতেন? হজরত আনাস বলেন,
সেহরির সময় রাসুল সা. বললেন- আমি রোজা রাখব, খাবার দাও। আমি রাসুল সা.-এর সামনে খেজুর ও পানি পরিবেশন করলাম।
সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি হজরত আবু হুরাইয়া রা. বলেন, মুমিনের উত্তম সেহরি শুকনো খেজুর। (আবু দাউদ, ২৩৪৫)।
রাসুল সা. বলেন, পানি মিশ্রিত এক চুমক দুধ বা একটি শুকনা
একটি খেজুর অথবা এক ঢোক পানির মাধ্যমে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে
আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবে। এবং রোজাদারের সমপরিমাণ
সওয়াব দিবে। আর যে ব্যক্তি রোজাদারকে তৃপ্তিসহ খাবার খাওয়াবে আল্লাহ তাকে হাউজে
কাউসার হতে এমন পানীয় খাওয়াবেন সে জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত তৃষ্ণিত হবে না।
রোজায় ইফতার-সেহরির মাধ্যমে মানব জাতিকে পরোপকারে অনুপ্রাণিত
করা হয়েছে। উৎসাহিত করা হয়েছে নিঃস্বদের দানে। প্রকৃত রোজাদার নিজে ইফতার করবে,
অন্যকেও করাবে। অসহায় দুঃখিদের মুখে হাসি ফোটাবে।
লেখক
: মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব

শুক্রবার, ০১ মে, ২০২০, ১২:১৮:২৫
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে রমজানের রোজার তাৎপর্য ও উপকারিতা

ডাক্তার সারফারাজ আহমদ নূর : রমজানের রোজা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন উত্তম, তেমন শারীরিক সুস্থতার জন্য কার্যকরী একটি ব্যবস্থাপনা। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সাহরি এবং ইফতারে পরিমিত খাবার খান। অতি ভোজন এড়িয়ে চলেন, তারা রোজা রাখার ফলে শুধু শারীরিকভাবেই উপকৃত হন না, বরং মানসিকভাবেও প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা অনুভব করতে থাকেন।
বিশ্বজগতের মহান চিকিৎসক হজরত মোহাম্মদ মুস্তফা (সা.) বলেছেন, প্রতিটি বস্তুর জাকাত আছে; শরীরের জাকাত রোজা। অতএব, আমাদের রোজা রাখা উচিত। রোজা রাখার ক্ষেত্রে কয়েকটি সহজ ফর্মূলা যদি অনুসরণ করা হয়, তাহলে রোজার সমস্ত উপকার এবং কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব।
আমরা জানি, শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং শিরা-উপশিরাগুলো সচল রাখতে খাবারের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এই খাবারই যদি নিয়মিত এবং পরিমিত না হয়, তাহলে শরীরে শক্তি জোগানোর পরিবর্তে রোগ সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, অসময়ে, অসম ভক্ষণ, হজম প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে একমত যে, শরীরের অধিকাংশ রোগ সৃষ্টি হয় অস্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের কারণে।
আশ্চর্যের বিষয় হল, এই রোগের উপসর্গ ও কারণগুলো নবীজী (সা.) বহু শতাব্দী পূর্বেই বলে গেছেন। তিনি বলেন, রোগের কেন্দ্রবিন্দু হল পেট, অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাস এড়িয়ে চলা রোগের আরোগ্যতা। এই বিবেচনায় রোজা আমাদের আধ্যাত্মিক ও শারীরিকভাবে কিছু বিষয় পরিত্যাগ করার শিক্ষা দেয়।
এইচডিএল এমন ফ্যাট, যা বহু রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে এবং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ক্ষ'তিকারক নয়। রোজা রাখার ফলে এইচডিএলের পরিমাণ বহুগুণে বেড়ে যায়। বিপরীতে এলডিএল, যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে চরম ক্ষতিকারক। রোজা রাখার ফলে এটা হ্রাস পেতে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালনের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকত্ব এবং উচ্চ র'ক্তচাপের মতো বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের র'ক্ষা করে।
রোজা রাখার ফলে ইউরিক অ্যাসিড এবং র'ক্তের ইউরিয়ার ঝুঁ'কিও হ্রাস পায়। যা শরীরে অধিক পরিমাণে বিদ্যমান থাকলে স্ট্রোক, হৃ'দরোগ, কিডনি রো'গ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের কারণ হয়ে থাকে। আসল কথা হল রোজা কেবল সারাদিন উপোস থেকে নির্ধারিত সময়ে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণের নাম নয়। বরং এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালা শারীরিক বহুবিধ রোগব্যা'ধি থেকেও আমাদের র'ক্ষা করেন।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মতে ১৬-১৭ ঘণ্টা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকার ফলে শরীরের অঙ্গগুলো স্বাভাবিক হতে থাকে এবং পাচনতন্ত্রের উন্নতি হয় এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগ, যেমন- গ্যাস, বদহজম, লিভারের রোগ, জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁ'কি ইত্যাদি কমে যায়।কিন্তু আমাদের দেশের মানুষেরা না জানার কারণে কিংবা অসতর্কতাবসত সাহরি ও ইফতারে অপরিমিত খাবার খেয়ে থাকেন।
যা রো'গব্যা'ধি হ্রা'সের পরিবর্তে বাড়ার দিকে ধাবিত করে। সাহরি ও ইফতার রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আমরা যদি এটিকে সুন্নাত অনুসারে পালন করি তবে তা কেবল শারীরের পক্ষেই ভালো নয় বরং প্রভূত কল্যাণ ও পুরস্কার লাভের কারণও হয়ে থাকে। সময় মতো সাহরি খাওয়া যেমন সুন্নত তেমন সময় মতো ইফতার করাও সুন্নত।
নবীজী (সা.) এমনই করতেন। তিনি বলেন, তোমরা সাহরি খাও; কারণ এতে বরকত রয়েছে। খেজুর দিয়ে ইফতার করা নবীজীর (সা.) সুন্নত। আধুনিক গবেষণা অনুসারে, খেজুরে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ডির পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, স্টিল, ফসফরাস এবং আরও অনেক দরকারী খনিজ রয়েছে যা কেবল হৃদ, মস্তিষ্ক, লিভার, পেট এবং স্নায়ুকেই মজবুত করে না, বরং শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তিও সঞ্চার করে।
গ্রীষ্মকালের রোজায় আপনি যদি তৃষ্ণা'র্ত বোধ করেন, তাহলে প্রাচীন চিকিৎসকদের গবেষণা অনুসারে আপনি যদি সাহরির সময় ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দু'চামচ খাঁটি মধু পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন তাহলে আপনি সারা দিন প্রশান্ত থাকবেন। পানির তৃষ্ণা কম হবে। কারণ মধুর মতো বরকতময় খাবার এবং চিকিৎসা মাল্টিভিটামিনের খনিজ হওয়ার কারণে এটি রোজার সময় শারীরিক শক্তি পুনরু'দ্ধার করে থাকে। সূত্র : জিয়ো উর্দু নিউজ

শনিবার, ০২ মে, ২০২০, ১২:৪০:০৯
রোজা অবস্থায় তিলাওয়াত করতে করতে কোরআনের ওপরই বৃদ্ধ হাফেজের মৃ'ত্যু!

ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র রমজানে তিলাওয়াতরত অবস্থায় কোরআনের ওপরই মৃ'ত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তুরস্কের এক বৃদ্ধ হাফেজ। রোজা অবস্থায় কোরআন তিলাওয়াত করতে করতে এমন মৃ'ত্যুর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আলজাজিরা আরবি জানিয়েছে, হাজি আলি সুলফিক নামের ওই বৃদ্ধ হাফেজ তুরস্কের আইদান প্রদেশে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দিনে মৃ'ত্যুবরণ করেন।
তিনি পবিত্র কোরআনের হাফেজ ছিলেন। তার হাতে শত শত শিক্ষার্থী কোরআন মুখস্ত করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। কোরআনের পাখি এই তুর্কি বৃদ্ধের মৃ'ত্যুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা সৌভাগ্যের বিদায় আখ্যায়িত করে তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করছেন।
একজন লিখেছেন, কোরআনের সঙ্গে বসবাস করে কোরআনের ওপর মৃ'ত্যু- সত্যি তিনি প্রকৃত সৌভাগ্যবান। আরেকজন লিখেছেন, তিলাওয়াত করতে করতে মহিমান্বিত রমজান মাসে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়েছেন।
‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে
রমজানের শুভেচ্ছা ট্রুডোর
·
সময়:
শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০
শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস। এ উপলক্ষে সালাম দিয়ে
বিশ্বের মুসলমানদের রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন
ট্রুডো। শুভেচ্ছা এবং সম্মান প্রদর্শনে তিনি একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। মহামারি
করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।
শুক্রবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং টুইটার আইডিতে ভিডিও
বার্তাটি প্রকাশ করেন জাস্টিন ট্রুডো।
ভিডিওটিতে সালাম দিয়ে এভাবেই শুরু করেন ট্রুডো: ‘আসসালামু আলাইকুম। কানাডা ও বিশ্বের মুসলিমদের
জন্য রমজান মাস শুরু হয়েছে। পরিবার-স্বজনরা একসঙ্গে প্রার্থনা করবেন। দিনে রোজা
রাখবেন। আর ইফতার করার মাধ্যমে সন্ধ্যায় তাদের সিয়াম সাধনা শেষ হবে।’
রমজান মাসের মহত্ব কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মুসলিমদের হৃদয়ে ধারণ করা মূল্যবোধকে
সম্মান করে। এটা আমাদেরকে অন্যদের প্রতি উদার হতে শেখায় এবং এই মাসে আমরা নিজের
প্রয়োজনের আগে অন্যের প্রয়োজনকে বেশি গুরুত্ব দেই, যার
রেশ থাকে গোটা বছরজুড়ে।’
কানাডার মুসলিম অভিবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন কানাডার মুসলিমরা আরো উন্নত একটি
কানাডা নির্মাণের জন্য চেষ্টা করেন। চলুন তাদের অবদানকে আমরা উদযাপন করি এবং
যৌথভাবে আমাদের এই প্রয়াস চালিয়ে যাই।’
জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় একসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষ ও ঘৃণার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো। আর এই
কাজের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি ধর্মের মুক্তমনা বৈশিষ্ট, বিচিত্রতা,
ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো।
রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমার পরিবার, সোফি
(তার স্ত্রী) এবং আমি আশা করি, প্রত্যেকেই যেন
শান্তিপূর্ণ ও পবিত্রতার সঙ্গে রমজান মাস উদযাপন করতে পারে। রমজান মোবারক।’
বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০,
১১:১৫:২৫
ক্রমাগত ইসলাম ধর্মের প্রতি ঝুঁ'কে পড়েছেন পুতিনের প্রেস সেক্রেটারির মেয়ে!
রোজা রাখার ঘোষণা
আন্তর্জাতিক
ডেস্ক : বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান, হিন্দু বা মুসলিম, শিখ বা জৈন সবারই নিজস্ব
ধর্ম চর্চার অধিকার রয়েছে, তবে কাউকে আঘা'ত না দিয়ে। সেই কথাতেই বিশ্বাসী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের
একদম খাস লোকের মেয়ে। এবার রমজানের ছোঁয়া লাগল রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন
ক্রেমলিনেও।
তার কারণ রুশ
প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভের মেয়ে এলিজাবেথা ক্রমাগত ঝুঁ'কে পডেছেন ইসলামের প্রতি। ইসলামের প্রত্যেক
দিকনির্দেশনা মেনে চলার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন তিনি।
নিজের
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এলিজাবেথা জানান, চলতি রমজান মাসে তিনি একটিও রোজা বাদ দিতে চান না। তিনি আরো জানিয়েছেন,
ছোট থেকেই তার বাবা-মা তাকে স্বাধীনভাবে বাঁচার সুযোগ দিয়েছেন,
কখনো কোনো ধর্ম পালনে জোর করেননি।
রুশ প্রেস
সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ চেয়েছিলেন, এলিজাবেথা বুঝতে শিখলে নিজেই যেকোনো একটি ধর্ম বেছে নেবে। সেইমতোই
এলিজাবেথা তার ইসলামের প্রতি ঝোঁ'কের কথা জানিয়েছেন।
বাল্যকালের প্রথম ভাগে এলিজাবেথা বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি নিজেকে ইসলাম ধর্মের সঙ্গেই একাত্ম করতে পেরেছেন। তাই গোটা
বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সঙ্গে তিনিও এবছর সবগুলো রোজা করবেন বলে জানিয়েছেন।
'চীন বরাবরই মুসলিম বিশ্বের পরীক্ষিত এবং
বিশ্বস্ত বন্ধু'
নিউজ ডেস্ক : ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
বলেছেন, চীন বরাবরই মুসলিম বিশ্বের
পরীক্ষিত এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে (করোনা) মহামা'রি মো'কাবেলার জন্য চীন দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশ এবং
অন্যান্য মুসলিম দেশগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে। রোববার ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ফেসবুক
পেজে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
লি জিমিং বলেন,
রমজান ইসলামী জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। কেননা সারা পৃথিবী
ব্যাপী মুসলমানরা এই পবিত্রতম মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেদের শরীর, হৃদয় ও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার প্রচেষ্টা করেন। আর এভাবেই রমজান ইসলাম
বিশ্বাসীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণের মাস, যা তাদেরকে
শিক্ষা দেয় কিভাবে শান্তি, সহানুভূতি, ও সম্প্রীতির সাথে বছরের বাকি মাসগুলোতে জীবন যাপন করতে হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রীতির সাথে একত্রে বসবাস করা বিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের অনুসারী
৫৬টি নৃগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এক গর্বিত জাতির সদস্য হিসেবে চীনের বিশাল মুসলিম
সম্প্রদায়ও রমজান পালন শুরু করেছে। এ বছর রমজান আমাদের কাছে এসেছে এক শতাব্দীর
মধ্যে মানবজাতির জন্য অন্যতম ক'ঠিন সময়ে। গত ডিসেম্বরে
কোভিড-১৯ এর প্রথম সং'ক্র'মণ
নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পৃথিবীব্যাপী ২৭ লাখ করোনা সং'ক্র'মণ এবং এক লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৭ জন মানুষের এই
সং'ক্র'মণে মৃত্যুর খবর পাওয়া
গেছে।

বাংলাদেশে
মাহে রমাদ্ব-ন-১৪৪১ হিজরী


বছর ঘুরে আবারও শান্তির বার্তা নিয়ে বাংলাদেশের অআকাশে উদিত হয়েছে এসেছে পবিত্র রমজান মাসের হেলাল বা চাঁদ। আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে এবছর শুরু হচ্ছে রোজা। রমজান মাসে সাওম বা রোজা পালন ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেখে নিন:

রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫১:৫১
রোযার প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে দান করবেন

ইসমাঈল আযহার: আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দার সকল আমল একরকম আর রোযার হিসাব ভিন্ন রকম। আল্লাহ্র নিকট বান্দা আমলের প্রতিদান লাভ করবে। তবে রোযার প্রতিদান আল্লাহ নিজে বান্দাকে দান করবেন। আল্লাহ কেমন প্রতিদান দেবেন তা আল্লাহ্ই ভালো জানেন। আমরা শুধু বুঝি, যে প্রতিদান আল্লাহ বিশেষভাবে দেবেন তা তাঁর শান মোতাবেক দেবেন। রোযার ক্ষেত্রে বান্দার জন্য আল্লাহ্র তরফ থেকে এত বড় সম্মান ও পুরস্কার এ জন্য যে, রোযা সাধারণত আল্লাহ্র জন্যই হয়ে থাকে। অন্যান্য আমলের তুলনায় রোযার ক্ষেত্রে রিয়ার আশঙ্কাও কম থাকে। সেজন্যই আল্লাহ বলেছেন, রোযা আমার জন্য। আর এজন্যই আল্লাহ নিজে এর প্রতিদান দান করবেন।
দ্বিতীয়ত রোযাদারের জন্য এত বড় পুরস্কার এজন্যও যে, আল্লাহ তাআলা অন্যান্য সময় তার জন্য যা হালাল করেছেন রোযা অবস্থায় দিনের বেলা কেবল আল্লাহ্র হুকুমের কারণে সে তা থেকে বিরত থাকছে। সে পানাহার ও বৈধ জৈবিক চাহিদা দমন করছে কেবল আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের লক্ষ্যে এবং একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। অথচ এগুলো এমন বিষয়, একমাত্র আল্লাহ্র ভয়, তাঁর প্রতি বিশ্বাস এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রত্যাশা ব্যতীত এ থেকে নিবৃত্ত থাকা সম্ভব নয়।
সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, সকল আমলের সওয়াব তো (একরকম) নির্ধারিত। অর্থাৎ প্রতিটি নেকী দশ থেকে সাতশ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তবে রোযার বিষয়টি এর ব্যতিক্রম। কেননা রোযা একমাত্র আল্লাহ্র জন্যই হয়ে থাকে। আর তাই এর প্রতিদান আল্লাহ নিজেই দেবেন।
তো যে আমলের প্রতিদান মহান রাব্বুল আলামীন নিজে দান করবেন সেই প্রতিদান কেমন মহান হতে পারে! আর এমন আমলের প্রতি একজন মুমিনের আগ্রহ
শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০:৪১
রাসূল (সা.) যেভাবে ইফতার ও সাহরি করতেন

ইসলাম ডেস্ক : বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ তিরমিজি শরিফে বর্ণিত- রোজার মাসে রাসুল সা. মাগরিবের আগে কয়েকটি ভেজা খেজুরের মাধ্যমে ইফতার করতেন। ভেজা খেজুর না থাকলে সাধারণ শুকনো খেজুর। এর ব্যতিক্রম হলে কয়েক ঢোক পানিই ছিল রাসুল সা.-এর ইফতার। হজরত আব্দুল্লাহ বিন আবি আউফা র. সূত্রে বর্ণিত- তিনি বলেন, রোজায় আমরা রাসুল সা.-এর সফরসঙ্গী ছিলাম। সূর্যাস্তের সময় তিনি একজনকে ডেকে বললেন, ছাতু ও পানি মিশিয়ে ইফতার পরিবেশন কর। (মুসলিম শরীফ, ১০৯৯)।
বিশ্বনবি মুহাম্মদ সা.-এর ইফতার কত সাদাসিদে ছিল। খেজুর ছাতু আর পানির ইফতার। সাদাসিদে এই ইফতারে রয়েছে তৃপ্তি। আছে অপরকে ইফতার করানোর সওয়াব।
ইফতারের ফজিলত সম্পর্কে হজরত রাসুল সা. বলেন, কেউ যদি রমজান মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহ মাফ করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। ইফতার প্রদানকারী একটি রোজার সওয়াব পাবে অথচ রোজা পালনকারীর সওয়াব সামান্য কমানো হবে না। সাহাবিরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল সা., আমাদের এমন সামর্থ নেই যা দিয়ে আমরা কাউকে ইফতার করাতে পারি?
হজরত সালমান ইবনে আমের আদ-দাব্বি রা. সূত্রে বর্ণিত, মহানবি সা. বলেন, তোমরা খুরমা-খেজুর দিয়ে ইফতার করবে। তবে যদি সে খুরমা-খেজুর না পাও, তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কারণ, পানি পবিত্র। (আবু দাউদ, তিরমিজি)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ব্যর্থ হয়ে যায় না। এক. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া। দুই. ন্যায়বিচারক বাদশাহের দোয়া। তিন. মজলুমের দোয়া। (আহমদ)
রাসুল সা.-এর সেহরির কথা হজরত আব্দুলা বিন হারেস এভাবে বলেন- একরাতে রাসুল সা. সেহরি খাচ্ছিলেন, আমি তখন হুজুর সা.-এর নিকট পৌঁছলাম। তিনি বলেন, তোমরাও সেহরি খাও। এতে আল্লাহ বিশেষ বরকত রেখেছেন। সেহরি পরিত্যাগ কর না। (নাসায়ি: ২১৬২)।
রাসুল সা. সেহরিতে কী খেতেন? হজরত আনাস বলেন, সেহরির সময় রাসুল সা. বললেন- আমি রোজা রাখব, খাবার দাও। আমি রাসুল সা.-এর সামনে খেজুর ও পানি পরিবেশন করলাম। সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি হজরত আবু হুরাইয়া রা. বলেন, মুমিনের উত্তম সেহরি শুকনো খেজুর। (আবু দাউদ, ২৩৪৫)। রাসুল সা. বলেন, পানি মিশ্রিত এক চুমক দুধ বা একটি শুকনা একটি খেজুর অথবা এক ঢোক পানির মাধ্যমে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবে। এবং রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব দিবে। আর যে ব্যক্তি রোজাদারকে তৃপ্তিসহ খাবার খাওয়াবে আল্লাহ তাকে হাউজে কাউসার হতে এমন পানীয় খাওয়াবেন সে জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত তৃষ্ণিত হবে না।
রোজায় ইফতার-সেহরির মাধ্যমে মানব জাতিকে পরোপকারে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। উৎসাহিত করা হয়েছে নিঃস্বদের দানে। প্রকৃত রোজাদার নিজে ইফতার করবে, অন্যকেও করাবে। অসহায় দুঃখিদের মুখে হাসি ফোটাবে।
লেখক : মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব
লেখক : মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব
‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে রমজানের শুভেচ্ছা .
‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে রমজানের শুভেচ্ছা ট্রুডোর
- সময়: শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০

- শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস। এ উপলক্ষে সালাম দিয়ে বিশ্বের মুসলমানদের রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুভেচ্ছা এবং সম্মান প্রদর্শনে তিনি একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। মহামারি করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।
শুক্রবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং টুইটার আইডিতে ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করেন জাস্টিন ট্রুডো।
ভিডিওটিতে সালাম দিয়ে এভাবেই শুরু করেন ট্রুডো: ‘আসসালামু আলাইকুম। কানাডা ও বিশ্বের মুসলিমদের জন্য রমজান মাস শুরু হয়েছে। পরিবার-স্বজনরা একসঙ্গে প্রার্থনা করবেন। দিনে রোজা রাখবেন। আর ইফতার করার মাধ্যমে সন্ধ্যায় তাদের সিয়াম সাধনা শেষ হবে।’
রমজান মাসের মহত্ব কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মুসলিমদের হৃদয়ে ধারণ করা মূল্যবোধকে সম্মান করে। এটা আমাদেরকে অন্যদের প্রতি উদার হতে শেখায় এবং এই মাসে আমরা নিজের প্রয়োজনের আগে অন্যের প্রয়োজনকে বেশি গুরুত্ব দেই, যার রেশ থাকে গোটা বছরজুড়ে।’
কানাডার মুসলিম অভিবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন কানাডার মুসলিমরা আরো উন্নত একটি কানাডা নির্মাণের জন্য চেষ্টা করেন। চলুন তাদের অবদানকে আমরা উদযাপন করি এবং যৌথভাবে আমাদের এই প্রয়াস চালিয়ে যাই।’
জাস্টিন ট্রুডো আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় একসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষ ও ঘৃণার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো। আর এই কাজের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি ধর্মের মুক্তমনা বৈশিষ্ট, বিচিত্রতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো।
রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমার পরিবার, সোফি (তার স্ত্রী) এবং আমি আশা করি, প্রত্যেকেই যেন শান্তিপূর্ণ ও পবিত্রতার সঙ্গে রমজান মাস উদযাপন করতে পারে। রমজান মোবারক।’
বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:১৫:২৫
বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:১৫:২৫
ক্রমাগত ইসলাম ধর্মের প্রতি ঝুঁ'কে পড়েছেন পুতিনের প্রেস সেক্রেটারির মেয়ে! রোজা রাখার ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান, হিন্দু বা মুসলিম, শিখ বা জৈন সবারই নিজস্ব ধর্ম চর্চার অধিকার রয়েছে, তবে কাউকে আঘা'ত না দিয়ে। সেই কথাতেই বিশ্বাসী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একদম খাস লোকের মেয়ে। এবার রমজানের ছোঁয়া লাগল রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিনেও।
তার কারণ রুশ প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভের মেয়ে এলিজাবেথা ক্রমাগত ঝুঁ'কে পডেছেন ইসলামের প্রতি। ইসলামের প্রত্যেক দিকনির্দেশনা মেনে চলার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন তিনি।
রুশ প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ চেয়েছিলেন, এলিজাবেথা বুঝতে শিখলে নিজেই যেকোনো একটি ধর্ম বেছে নেবে। সেইমতোই এলিজাবেথা তার ইসলামের প্রতি ঝোঁ'কের কথা জানিয়েছেন। বাল্যকালের প্রথম ভাগে এলিজাবেথা বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি নিজেকে ইসলাম ধর্মের সঙ্গেই একাত্ম করতে পেরেছেন। তাই গোটা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সঙ্গে তিনিও এবছর সবগুলো রোজা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান, হিন্দু বা মুসলিম, শিখ বা জৈন সবারই নিজস্ব ধর্ম চর্চার অধিকার রয়েছে, তবে কাউকে আঘা'ত না দিয়ে। সেই কথাতেই বিশ্বাসী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একদম খাস লোকের মেয়ে। এবার রমজানের ছোঁয়া লাগল রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিনেও।
তার কারণ রুশ প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভের মেয়ে এলিজাবেথা ক্রমাগত ঝুঁ'কে পডেছেন ইসলামের প্রতি। ইসলামের প্রত্যেক দিকনির্দেশনা মেনে চলার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন তিনি।
রুশ প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ চেয়েছিলেন, এলিজাবেথা বুঝতে শিখলে নিজেই যেকোনো একটি ধর্ম বেছে নেবে। সেইমতোই এলিজাবেথা তার ইসলামের প্রতি ঝোঁ'কের কথা জানিয়েছেন। বাল্যকালের প্রথম ভাগে এলিজাবেথা বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি নিজেকে ইসলাম ধর্মের সঙ্গেই একাত্ম করতে পেরেছেন। তাই গোটা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সঙ্গে তিনিও এবছর সবগুলো রোজা করবেন বলে জানিয়েছেন।
'চীন বরাবরই মুসলিম বিশ্বের পরীক্ষিত এবং বিশ্বস্ত বন্ধু'
নিউজ ডেস্ক : ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীন বরাবরই মুসলিম বিশ্বের পরীক্ষিত এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে (করোনা) মহামা'রি মো'কাবেলার জন্য চীন দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য মুসলিম দেশগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে। রোববার ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ফেসবুক পেজে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
লি জিমিং বলেন, রমজান ইসলামী জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। কেননা সারা পৃথিবী ব্যাপী মুসলমানরা এই পবিত্রতম মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেদের শরীর, হৃদয় ও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার প্রচেষ্টা করেন। আর এভাবেই রমজান ইসলাম বিশ্বাসীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণের মাস, যা তাদেরকে শিক্ষা দেয় কিভাবে শান্তি, সহানুভূতি, ও সম্প্রীতির সাথে বছরের বাকি মাসগুলোতে জীবন যাপন করতে হয়।
সম্পাদনায়ঃ শেখ মুহাম্মাদ রমজান হোসেন, কদমতলী, চট্টগ্রাম-৪১০০, বাংলাদেশ।