أَعُوذُ
بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيم
بِسْمِ
الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ
সহজ সালাত বা
নামায শিক্ষা
ভূমিকা: আল্লাহ তা'আলার মানুষ
সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্যঃ
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ফরমানঃ
٥٦- وَمَا خَلَقْتُ
الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
“আর জ্বিন
ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদাত
করবে।” [সূরা আয যারিয়াত: ৫৬]
সর্ব প্রকার ইবাদাতের মূল উদ্দেশ্যঃ
بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ
الرَحِيْمِ
١-
يَا
أَيُّهَا
الْمُدَّثِّرُ ◯
٢- قُمْ
فَأَنذِرْ ◯
٣- وَرَبَّكَ
فَكَبِّرْ ◯
(ইয়া
আইয়্যুহাল মুদদাসীর, কুম ফাআনজ্বির, ওয়ারব্বাকা ফাকাব্বির)।
অর্থঃ (১) হে বস্ত্রাচ্ছাদিত (২) উঠুন ও সতর্কবাণী
প্রচার করুন এবং (৩) আপন রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন (সূরাহ মুদদাসির, আয়াত ১-৩,
তাফসীর ইবনু কাসীর)।
উল্লেখ্য, উম্মতে মুহাম্মাদি (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহিহ ওয়াসাল্লাম) তথা বিশ্ববাসীর
জন্য "ওয়ারব্বাকা ফাকাব্বির" (আপন রবের
শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন)-মহান রব্বুল 'আলামীন আল্লাহ
তায়ালা এই আদেশে বস্তুতঃ একমাত্র তাঁরই শ্রেষ্ঠত্ব-মহানত্ব
প্রচার করার জন্যই উপরোক্ত আয়াতের মাধ্যমে নবুয়াত-রিসালাত
তথা দাওয়াতুল ইসলামের সূচনা করেছিলেন।
সালাত বা নামাযঃ
শ্রেষ্ঠ দুআ, শ্রেষ্ঠ ইবাদাত এবং শ্রেষ্ঠঃ ওয়াকাব্বিরহু তাকবীরা এবং ওয়ারব্বাকা
ফাকাব্বির
إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার
স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৪ ]
ওয়াকাব্বিরহু তাকবীরাঃ আযান-ইকামাতে
আযান-কে বলা যেতে পারে সালাত বা নামাযের সূচক। এই আযানেই
দিনে অন্ততঃ ৫বার আমাদেরকে সালাত বা নামায সম্পর্কে সজাগ-সচেতন করে তোলে ওয়াকাব্বিরহু
তাকবীরার মাধ্যমে এই বলেঃ
উচ্চারণ
সংখ্যা
|
আরবি
|
প্রতিবর্ণীকরণ
|
অনুবাদ
|
৪ বার
|
الله اكبر
|
আল্লাহু আকবার
|
আল্লাহ সর্বশক্তিমান
|
২ বার
|
اشهد ان لا اله الا الله
|
আশহাদু-আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ
|
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্
ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই
|
২ বার
|
اشهد ان محمد الرسول الله
|
আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
|
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ
আল্লাহর প্রেরিত দূত
|
২ বার
|
حي على الصلاة
|
হাইয়া আলাস স্বলাহ
|
নামাজের জন্য এসো
|
২ বার
|
حي على الفلاح
|
হাইয়া 'আলাল ফালাহ
|
সাফল্যের জন্য এসো
|
২ বার
|
الصلاة خير من النوم
|
আস স্বলাতু খ্বইরুম মিনান নাউম
|
ঘুম হতে নামাজ উত্তম
** (কেবলমাত্র ফজরের আযানের জন্য)
|
২ বার
|
الله اكبر
|
আল্লাহু আকবার
|
আল্লাহ্ মহান
|
১ বার
|
لا اله الا الله
|
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
|
আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই
|
ভিজিট করে আজান শুনিঃ
https://youtu.be/mUHDYlJHaOQ
সহজ সালাত বা নামায শিক্ষা
১.তাকবীরে
তাহরীমাঃ প্রথমে অযুর
মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে নামাজের এরাদা করে ক্বিবলামুখি হয়ে তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ আল্লাহু
আকবার বলে প্রথমে উভয় হাত উঠয়ে পরে হাত বেঁধে তারপর নিম্নোক্ত ছানা পড়বেনঃ
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
২.ছানাপড়াঃ সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা
ওয়াবিহামদিকা ওয়াতাবারাকা-ছমুকা ওয়াতা‘আলাজাদ্দুকা ওয়ালা-ইলা-হা গইরুক।
অর্থঃ আয় আল্লাহ! আমি আপনারই পবিত্রতা বর্ণনা
করিতেছি আপনার প্রশংসার সহিত, বরকতময় আপনার নাম।
সুউচ্চ আপনার মহিমা এবং আপনি ভিন্ন কোন মা‘বুদ নাই।
৩.আউযুবিল্লাহ
পড়াঃ 'আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্ব-নির
রাঝিম। অর্থঃ আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
৪.বিসমিল্লাহ
পড়াঃ বিসমিল্লাহির রহমা-নির্ রহী-ম। অর্থঃ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
৫.সূরাহ
ফাতিহা পড়াঃ (১)আলহামদুলিল্লা-হি রব্বিল 'আলামী-ন,
(২)আর রহমা-নির রহী-ম, (৩)মা-লিকি
ইয়াওমিদ্দী-ন, (৪)ইয়্যা- কানা‘বুদু
ওয়াইয়্যা কানাসতা'ঈ-ন, (৫)ইহদিনাসসিরা-ত্বল মুসতাক্বী-ম,
(৬)সিরাতল্লাযি-না আন'আমতা 'আলাইহিম, (৭)গইরিল
মাগদু-বি 'আলাইহিম ওয়ালাদ্বদ্ব—ল্লী---ন।(আ-মীন)।
৬. ক্বিরত পড়া(ফরয): প্রথম রাকায়াতেঃ ١-
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ ◯সূরাহ
লাহাবঃ
তৃতীয় রাকায়াতেঃ সূরাহ ফালাক্বঃ ١- قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ◯
পবিত্র কুরআনের যে কোন সূরাহ কিংবা সূরাহর যে কোন আয়াত থেকে শারীয়াত নির্ধারিত পরিমাণ তিলাওয়াত ফরয। যাঁরা সূরাহ-ক্বিরাত এখনও ভালভাবে শেখেন নি; তাঁদের সূরাহ ফাতিহা (ওয়াজিব) এবং ক্বিরাতের (ফরয) পরিবর্তে কি তিলাওয়াত করতে হবে-তা নিকটস্থ মুফতিয়ে ক্বিরাম, ওলামায়ে কিরাম থেকে জেনে নেয়া যেতে পারে।
ওয়ামা তাওফীক্বী ইল্লা বিল্লাহ।
٢-
مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ ◯
٣-
سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ ◯
٤-
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ ◯
٥- فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن
مَّسَدٍ
দ্বিতীয় রাকায়াতেঃ সূরাহ
ইখলাসঃ
১.তাব্বাত
ইয়াদা- আবী- লাহাবিউ ওয়াতাব্ব
২.
মা-আগনা-'আনহু মা-লুহু-ওয়ামা-কাসাব
৩.সাইয়াস্বলা-না-রান
জ্বা-তা লাহাবিউ
৪.
ওয়াম্ রাআতুহু হাম্মা-লাতাল হাত্বব্
৫.ফী জী-দিহা-হাব্লুম মিম্ মাসাদ।
৫.ফী জী-দিহা-হাব্লুম মিম্ মাসাদ।
١- قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ◯
٢- اللَّـهُ الصَّمَدُ ◯
٣- لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ◯
٤- وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ◯
১. ক্বুলহু ওয়াল্লা-হু আহাদ
২.আল্লাহুস্ব স্বমাদ
৩.লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউ-লাদ
৪. ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
বিঃদ্রঃ (৪ রাকায়াত বিশিষ্ট ফরয সালাত বা নামাযের তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকায়াতে ক্বিরাত পড়া লাগবে না, কেবল
সূরাহ ফাতিহা পড়ে রুকু এবং সিজদাহ করতে হবে)।
পক্ষান্তরে ৪ রাকায়াত বিশিষ্ট সূন্নাত নামাযে ৪টি সূরাহ তিলাওয়াত করতে হবে।
٢- مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ◯
٣- وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ◯
٤- وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ ◯
٥- وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ◯।
১. ক্বুল আ'উযু
বিরাব্বিল ফালাক্ব।
২. মিন্ শাররি
মা-খ্বলাক্ব।
৩. ওয়ামিন শাররি গ-সিক্বিন ইযা- ওয়াক্বাব।
৪. ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাসাতি ফিল্
উকাদ।
৫.ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা-হাসাদ।
চতুর্থ রাকায়াতেঃ সূরাহ
না-সঃ
١. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ ◯
٢. مَلِكِ النَّاسِ ◯
٣. إِلَـٰهِ النَّاسِ ◯
٤. مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ◯
٥. الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ ◯
٦. مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
১.
ক্বুল আ'উযু বিরাব্বিন না-স।
২.
মালিকিন্না-স।
৩.
ইলা-হিন্না-স।
৪.
মিন্ শাররীল ওয়াস্ ওয়া-সিল খন্না-স।
৫.
আল্লাযী- ইউওয়াস্ উইসু ফী- সুদু-রিন্না-স।
৬.
মিনাল্ জিন্নাতি ওয়ান্ না-স।
পবিত্র কুরআনের যে কোন সূরাহ কিংবা সূরাহর যে কোন আয়াত থেকে শারীয়াত নির্ধারিত পরিমাণ তিলাওয়াত ফরয। যাঁরা সূরাহ-ক্বিরাত এখনও ভালভাবে শেখেন নি; তাঁদের সূরাহ ফাতিহা (ওয়াজিব) এবং ক্বিরাতের (ফরয) পরিবর্তে কি তিলাওয়াত করতে হবে-তা নিকটস্থ মুফতিয়ে ক্বিরাম, ওলামায়ে কিরাম থেকে জেনে নেয়া যেতে পারে।
ওয়ামা তাওফীক্বী ইল্লা বিল্লাহ।
৭. রুকুর তাসবীহ পড়াঃ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ
সুবহা-না রব্বি'য়াল 'আযী-ম। অর্থঃ
আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি।
৮. রুকু
হইতে উঠিবার সময়ের তাসবীহ পড়াঃ সামি'আল্লাহুলিমান হামিদাহ অর্থঃ যে
আল্লাহর প্রশংসা করিয়াছে, আল্লাহ তাহার প্রশংসা কবুল
করিয়াছেন।
৯. রুকু থেকে উঠে দাড়িয়ে থেকে পড়তে হবেঃ
উচ্চারণঃ রব্বানা লাকাল হামদ, হামদান কাছীরান
ত্বইয়্যেবান মুবারাকানফিহ। অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক অধিক অধিক প্রশংসা ও
পবিত্রতা আপনারই। (এখানে রাব্বানা লাকাল হামদ পর্যন্ত পড়লেও হবে।)
এরপর
রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে সেজদায় যাবেন ।
সেজদায় যাওয়ার সময় দুই হাতে হাটু ধরে সর্বপ্রথম উভয় হাটু একত্রে জমীনে রাখবে।
তারপর হাতের আঙ্গুলগুলো মিলানো অবস্থায় দুই হাত জমীনে একত্রে রাখবেন। তারপর দুই
হাতের মাঝে খালি জায়গায় সেজদা করবেন। প্রথমে নাক, তারপর কপাল রাখবেন। উভয় হাতের মধ্যখানে
বৃদ্ধ আঙ্গুলদ্বয়ের বরাবরে নাক রাখবে । নজর নাকের উপর রাখবেন । পেট রান থেকে, বাহু পাজর থেকে, হাতের কনুই জমীন
থেকে পৃথক রাখবেন। পায়ের আঙ্গুল সমূহকে কিবলামুখী করে রাখবেন এবং দুই পায়ের গোড়ালি
মিলিয়ে না রেখে বরং টাকনু কাছাকাছি রাখবেন। যথা সম্ভব পায়ের আঙ্গুলগুলো মাটির সাথে
চেপে ধরে আঙ্গুলের অগ্রভাগ ক্বিবলার দিকে রাখবেন।
১০. সিজদাহ'য় তাসবীহ পড়াঃ সিজদার
মধ্যে সুবহা-না রাব্বিয়াল আ‘লা তিন বার পড়বেন। তবে পাঁচ বার , সাত বারও পড়তে পারবেন। সুবহা-না রাব্বিয়াল এর অর্থঃ আমার মহান প্রতিপালকের
পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি।
তারপর আল্লাহু আকবার বলে সেজদা থেকে উঠে বসবেন। প্রথমে কপাল, তারপর নাক,
তারপর হাত উঠাবেন। তারপর বাম পা জমীনে বিছিয়ে তার উপর বসবেন। আর ডান পা দাঁড় করিয়ে
রাখবেন । পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী করে জমীনে রাখবেন। দুই হাত উভয় রানের উপর
রাখবেন। হাতের আঙ্গুলগুলো সামান্য ফাঁকা রেখে আঙ্গুলের মাথার অগ্রভাগ হাটুঁর
কিনারা বরাবর রাখবেন।
তারপর আল্লাহু আকবার বলে দ্বিতীয় সেজদা করবে। দ্বিতীয় সেজদা শেষ করে আবার আল্লাহু আকবার বলে সেজদা থেকে সোজা দাঁড়িয়ে যাবেন। তারপর দ্বিতীয়
রাকাতেও ঠিক প্রথম রাকাতের মতই । প্রথমে সূরাহ ফাতেহা পড়বেন । তারপর بسم الله الرحمن الرحيم পড়ে যে কোন একটি সূরা মিলাবে।
তারপর প্রথম রাকাতের মতই রুকু সেজদা করবে। দুটি সেজদা শেষ করে দুই সেজদার মাঝে
বসার ন্যায় বসবে এবং দুই হাত রানের উপর হাটু বরারব রাখবেন। আর দৃষ্টি থাকবে কোলের
দিকে। তারপর তাশাহ্হুদ পড়বেন।
১১. উভয়
বৈঠকে(বসা অবস্থায়) তাশাহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়াঃ
উচ্চারণঃ আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সলাওয়াতু ওয়াত্ব ত্বয়্যিবাতু আসসালা-মু 'আলাইকা আয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়ারহমাতুল্লা-হি ওয়াবারাকা-তুহু আসসালা-মু 'আলাইনা ওয়া‘লা- ঈবাদিল্লা-হি সসলিহিন। আশহাদু আন লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াশহাদু আন্নাঁ মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়ারাসূলুহ।
অর্থঃ সমস্ত মৌখিক ইবাদাত, সমস্ত শারীরিক ইবাদাত এবং সমস্ত পবিত্র বিষয় আল্লাহ তা‘আলার জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি ও তাহার বরকতসমূহ নাযিল হউক।
আমাদের প্রতি ও আল্লাহ তা‘আলার নেক বান্দাদের প্রতি
তাঁহার শান্তি বর্ষিত হউক। আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ
তা‘আলা ব্যতীত আর কোন মা‘বুদ
নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহার বান্দা ও রাসূল।
নামাজ যদি দুই রাকায়াত বিশিষ্ট হয়, তাহলে তাশাহ্হুদের পরে দুরুদে ইব্রাহীম পড়তে হবে। আর
যদি ৩ রাকায়াত (মাগরিবের ফরয হলে) কিংবা ৪ রাকায়াত বিশিষ্ট (যোহর+আসর+এশায়
ফরয+সুন্নাতে ৪ রাকায়াত বিশিষ্ট নামায় রয়েছে) হলে আত্তাহিয়্যাতু পড়ে আল্লাহু আকবার বলে আবারও
দাঁড়িয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় রাকায়াতের মতই সূরাহ ফাতিহা+ক্বিরাত পড়া+রুকু সিজদাহ
করে শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পরেই দুরুদে ইব্রাহীম পড়তে
হবে।
১২.দুরুদ পড়া(দুরুদে ইব্রাহীম):
১২.দুরুদ পড়া(দুরুদে ইব্রাহীম):
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ‘লা- মুহাম্মাঁদিও ওয়া‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ। কামা সল্লাইতা ‘আলা- ইবরা-হিমা ওয়া‘আলা- আ-লি ইবরা-হিমা, ইন্নাকা হামিদুম্মাজী-দ।
আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা- মুহাম্মাদিও ওয়া‘আলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা
বা-রাকতা ‘আলা- ইবরা-হিমা ওয়া‘লা
আ-লি ইবরা-হিমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজী-দ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন
মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের
প্রতি, যেমন রহমত বর্ষণ করিয়াছেন ইবরাহীম ('আলাইহিমুস
সালাম)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও
সন্মানিত।
হে
আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল কর মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতি
ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি, যেমন বরকত নাযিল
করিয়াছেন ইবরাহীম('আলাইহিমুস সালাম)-এঁর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি।
নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সন্মানিত।
১৩. দু‘আয়ে
মাসূরা পড়াঃ তারপর দোয়ায়ে মাছুরা পড়বে। আল্লাহুম্মা ইন্নি জ্বলামতু নাফসি
যুলমান কাসিরাও ওয়ালা- ইয়াগফিরুজ্জুনু-বা ইল্লা আনতা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিনইনদিকা
ওয়ারহামনি ইন্নাকা আনতাল গফু-রুর রহী-ম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মার উপর অসংখ্য
জুলুম করিয়াছি এবং আপনি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করিবার আর কেহই নাই। অতএব আমাকে
ক্ষমা করুন আপনার নিজের পক্ষ হইতে এবং আমাকে দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়াবান।
১৪. সালাম ফিরানোঃ তারপর "আসসালা-মু 'আলাইকুম
ওয়ারহমাতুল্লা-হ" বলে ডানদিকে ১(এক) বার ও বামদিকে "আসসালা-মু 'আলাইকুম
ওয়ারহমাতুল্লা-হ" বলে আরেকবার সালাম দিয়ে সালাত বা নামায শেষ করতে হবে।
(বিঃদ্রঃ বাংলা অর্থ নামাযে সশব্দে উচ্চারণ
করে পড়া যাবে না মর্মে মুহাক্কিক ফুকাহা কেরামদের অভিমত)
سبحان ربك رب
العزة عما يصفون. وسلام على المرسلين. والحمد لله رب العلمين
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment