আ’ম্মা বা’দ।
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيم
بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ
দ্বীন আল ইসলামঃ দু’আ-কালামের অফুরন্ত ভান্ডার
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার জন্য দোয়ার দ্বার খোলা হয়েছে (অর্থাৎ যার দোয়া করার তাওফিক হয়েছে), তার জন্য রহমতের দ্বার খোলা হয়েছে। আল্লাহর কাছে যেসব দোয়া চাওয়া হয়, তন্মধ্যে তাঁর কাছে সর্বাধিক পছন্দীয় হলো আফিয়াত; অর্থাৎ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করা।’ (জামে তিরমিজি, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৫৫২, হাদিস নম্বর: ৩৫৪৮)।
দোয়ার মধ্যে মাসনূন দোয়াসমূহের শব্দাবলি অবলম্বন করা। নিজের ছোট-বড় সব প্রয়োজন একমাত্র আল্লাহর কাছে চাওয়া। আসমাউল হুসনারঅছিলা দিয়ে দোয়া করা মুস্তাহাব। (আরাফ: ১৮০)। ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করা। (তিরমিজি, ৫: ৩৪৭৫)। ‘আমিন’ বলে দোয়া শেষ করা। (আবু দাউদ, ১: ৯৩৮)।

দোয়ার
গুরুত্ব ও ফাজিলাত
আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং
তোমারই সাহায্য চাই’ কথাটি কোরআন কারিমে সূরা ফাতিহার চতুর্থ আয়াতের মাধ্যমে তিনিই আমাদের
শিখিয়েছেন। রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দোয়া ইবাদতের মগজ। তিনি আরও
বলেছেন, দোয়াই ইবাদত। (বুখারি ও মুসলিম)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কিছু চায় না, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।’ (তিরমিজি, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৪৫৬, হাদিস নম্বর: ৩৩৭৩)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কিছু চায় না, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।’ (তিরমিজি, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৪৫৬, হাদিস নম্বর: ৩৩৭৩)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার জন্য দোয়ার দ্বার খোলা হয়েছে (অর্থাৎ যার দোয়া করার তাওফিক হয়েছে), তার জন্য রহমতের দ্বার খোলা হয়েছে। আল্লাহর কাছে যেসব দোয়া চাওয়া হয়, তন্মধ্যে তাঁর কাছে সর্বাধিক পছন্দীয় হলো আফিয়াত; অর্থাৎ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করা।’ (জামে তিরমিজি, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৫৫২, হাদিস নম্বর: ৩৫৪৮)।
হজরত
সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দোয়া
ব্যতীত অন্য কোনো বস্তু তাকদিরের লিখনকে ফেরাতে পারে না এবং নেক আমল ছাড়া অন্য
কোনো বস্তু হায়াত বৃদ্ধি করতে পারে না।’ (তিরমিজি,
খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ৪৪৮, হাদিস নম্বর: ২১৩৯)। তিনি আরও বলেন, ‘তাকদিরের
ফয়সালাকে কেবল দোয়াই পরিবর্তন করতে পারে।’
যাদের দোয়া
কবুল হয়
পিতা-মাতার
দোয়া সন্তানের জন্য। সন্তানের দোয়া পিতা-মাতার জন্য। মুসাফিরের দোয়া।
বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া। মজলুম (অত্যাচারিত-নির্যাতিত-নিপীড়িত) ব্যক্তির
দোয়া। (আবু দাউদ, ১: ১৫৩৬)। হাজির দোয়া (হজের সময় ও হজ সম্পাদনের পর ৪০ দিন পর্যন্ত)।
মুজাহিদের দোয়া। রোগীর দোয়া। মুসলমান ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে অন্য
মুসলমানের দোয়া। (মিশকাত, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২২৬০; মুসলিম, ৪: ২৭৩৩)। রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময়। (তিরমিজি, ৪: ২৫২৬)। অসহায় ও দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া। (সূরা নামল, আয়াত: ৬২)। ইমামে আদিলের (সুশাসক ও ন্যায়বিচারক) দোয়া। (তিরমিজি,
৪: ২৫২৬)। বন্ধুর জন্য বন্ধুর দোয়া। নেককার ব্যক্তির দোয়া।
দোয়ার আদব
বিভিন্ন
হাদিসে বর্ণিত দোয়ার আদবসমূহ: দোয়ার শুরু ও শেষে আল্লাহর প্রশংসা (হামদ-সানা)
এবং রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ পাঠ করা। (তিরমিজি, ৫: ৩৪৭৬)। দোয়ার
আগে কোনো নেক আমল (নামাজ, সদকা ইত্যাদি) করে নেওয়া অথবা
সালাতুল হাজত পড়ে নেওয়া। নিজ নেক আমলের অছিলা দিয়ে দোয়া করা। (বুখারি, ৮: ৫৯৭৪)। শুধু দুনিয়ার জন্য দোয়া না করা। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২০১)। কাকুতি-মিনতিসহ গোপনে দোয়া করা। (আরাফ, আয়াত: ৫০)। অন্তরে ভয় ও আশা নিয়ে দোয়া করা। (সূরা আরাফ, আয়াত: ৫৬)। শুধু মুসিবতের সময়কেই দোয়ার জন্য নির্দিষ্ট না করা। (সূরা
ইউনুস, আয়াত: ১২, তিরমিজি,
৫: ৩৩৮২)।
স্বাভাবিক
ভাব ও সাধারণ দোয়া করা,
অর্থাৎ ভাষায় ইচ্ছাকৃত ছন্দ ও মাধুর্যতা না আনা। (বুখারি,
৮: ৬৩৩৭)। দোয়ায় হঠকারিতা না করা, কারণ
দোয়া হলো আবেদন, দাবি নয়। নিজের অকল্যাণ আর অপরের
অমঙ্গলের দোয়া না করা। (বুখারি, ৮: ৬০১০)। পাপের শাস্তি
দুনিয়াতে না চাওয়া; বরং ক্ষমা চাওয়া। (মুসলিম)। জান-মাল ও
সন্তানসন্ততির জন্য বদদোয়া (অভিশাপ) না করা। (মুসলিম)। নিজের মৃত্যুর জন্য দোয়া
না করা। (বুখারি, ৭: ৫৬৭২)। একই দোয়া বারবার (অন্তত
তিনবার) করা। ক্রন্দন করা কিংবা ক্রন্দনের অবস্থা আনয়ন করা। গুনাহসমূহ থেকে তওবা
করে দোয়া করা।
নিজের দীনতা-হীনতা ও অসহায়ত্ব প্রকাশ
করা। দোয়ার মধ্যে ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করা। দোয়ায় সব মুসলমানকে শামিল করা। প্রথমে নিজের জন্য, অতঃপর
পিতা-মাতা, অতঃপর স্ত্রী-সন্তান, অতঃপর সব মুমিন নর-নারীর জন্য দোয়া করা। সম্মিলিত দোয়ার ক্ষেত্রে
শুধু নিজের জন্য দোয়া না করে সব মুসল্লিকে দোয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা। অর্থাৎ ‘আমি’-এর পরিবর্তে ‘আমরা’
এবং ‘আমার’ এর
পরিবর্তে ‘আমাদের’ শব্দ ব্যবহার
করা। (তিরমিজি, ২: ৩৫৭)। দোয়াকারী ও দোয়া শ্রবণকারী
উভয়ের জন্য ‘আমিন’ বলা।
দোয়ার মধ্যে মাসনূন দোয়াসমূহের শব্দাবলি অবলম্বন করা। নিজের ছোট-বড় সব প্রয়োজন একমাত্র আল্লাহর কাছে চাওয়া। আসমাউল হুসনারঅছিলা দিয়ে দোয়া করা মুস্তাহাব। (আরাফ: ১৮০)। ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করা। (তিরমিজি, ৫: ৩৪৭৫)। ‘আমিন’ বলে দোয়া শেষ করা। (আবু দাউদ, ১: ৯৩৮)।
সুখে-দুঃখে
দোয়া সব সময়ের দোয়ার ফজিলতঃ
দোয়া
দ্বারা যেমন মুসিবত দূর হয়,
তেমনি মুসিবত আসাও বন্ধ হয়। তাই দোয়া কেবল বিপদ-আপদের সময় নয়,
সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের সময়ও করা উচিত। অর্থাৎ শোকর গোজারি করা
উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তির কাছে এটা পছন্দ
হয় যে আল্লাহ তাআলা বিপদ-আপদের সময় তার দোয়া কবুল করবেন, তবে সে যেন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের সময়ও দোয়া করে। তিনি আরও বলেন, দোয়া মুমিনের হাতিয়ার বা অস্ত্র, দীনের খুঁটি
এবং আসমান ও জমিনের নূর। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘যে
ব্যক্তি পছন্দ করে যে দুঃখের সময় যেন আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন, তবে সে যেন সুখের সময় অধিক পরিমাণে দোয়া করে।’ (জামে তিরমিজি, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৪৬২, হাদিস নম্বর: ৩৩৮২)।
মুমিনের কোনো দোয়া বিফলে যায় না
আল্লাহ
তাআলার কাছে দোয়া করলে তা কখনো বিফলে যায় না। কখনো দোয়ায় প্রার্থিত জিনিসটি
পাওয়া যায়, আবার কখনো তা জমা করে রাখা হয় পরকালের জন্য; কখনো
দোয়ার বরকতে বিপদ কেটে যায় বা অন্য কিছু লাভ হয়। দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে খুবই
আশাবাদী হয়ে দোয়া করতে হবে, নিরাশ বা হতাশ হওয়া যাবে না।
হাদিস শরিফে আছে, ‘যখন কোনো মুসলমান দোয়া করে, যদি তার দোয়ায় গুনাহের কাজ কিংবা সম্পর্কচ্ছেদের আবেদন না থাকে,
তাহলে আল্লাহ তাআলা তিনটি প্রতিদানের যেকোনো একটি অবশ্যই দান
করেন। সঙ্গে সঙ্গে দোয়া কবুল করেন এবং তার কাঙ্ক্ষিত জিনিস দিয়ে দেন। দোয়ার
কারণে কোনো অকল্যাণ বা বিপদ থেকে হেফাজত করেন। তার আখিরাতের কল্যাণের জন্য তা
জমা করে রাখেন।’ (আহমাদ, ৩: ১৮,
হাদিস: ১১১৪৯)
হাদিস শরিফে আছে, কিয়ামতের দিনে
হাশরের ময়দানে কোনো সাধারণ মুসলমান দেখতে পাবে তার অঢেল নেকি জমা আছে; কিন্তু সে বুঝতে পারছে না এসব নেকি কোথা থেকে এসেছে। তখন সে
ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করবে: আমার এসব নেকি কোথা থেকে এসেছে? ফেরেশতাগণ উত্তর দেবেন, আপনি বিভিন্ন সময়ে
যেসব দোয়া করেছেন, তার কিছু কিছু আল্লাহ নগদে দিয়েছেন আর
কিছু জমা রেখেছেন, সেগুলো নেকিরূপে আপনার আমলনামায় যোগ করা হয়েছে। তখন সেই ব্যক্তি বলবে, কতই না উত্তম হতো যদি আমার কোনো দোয়াই দুনিয়ার জন্য কবুল না হয়ে আখিরাতের জন্য জমা থাকত। (মুসলিম, তিরমিজি)।
সূরাহতুল ফাতিহাকিছু জমা রেখেছেন, সেগুলো নেকিরূপে আপনার আমলনামায় যোগ করা হয়েছে। তখন সেই ব্যক্তি বলবে, কতই না উত্তম হতো যদি আমার কোনো দোয়াই দুনিয়ার জন্য কবুল না হয়ে আখিরাতের জন্য জমা থাকত। (মুসলিম, তিরমিজি)।
দোয়া-ই জিকির এবং জিকিরই
দোয়া
দৈনন্দিন
আমলের মধ্যে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কোরানে ইরশাদ হচ্ছে - وقال ربكم ادعونى استجب لكم ان الذين يستكبرون عن
عبادتى سيدخلون جهنم داخرين - (আল মুমিন-৬০) অর্থ : তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সারা দিব। যারা
অহংকারে আমার উপাসনা বিমুখ, ওরা
লাঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরে মাআরেফুল কোরানে
বলা হয়েছে, দোয়ার
শাব্দিক অর্থ ডাকা, অধিকাংশ
ক্ষেত্রে বিশেষ কোন প্রয়োজনে ডাকার অর্থে ব্যবহৃত হয়। কখনও
যিকিরকেও দোয়া বলা হয়।
সকাল
সন্ধ্যায় জিকির প্রসংঙ্গে পবিত্র কোরানে ইরশাদ হয়েছে, يا ايها الذين آمنوا اكروا الله ذكرا كثيرا ، وسبحوه بكرة واصيلا. (احزاب অর্থ : হে মুমিনগণ ! তোমরা
আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।
(আহযাব-৪১)
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা জিকির ব্যতীত এমন
কোন ফরজই আরোপ করেননি যার পরিসীমা ও পরিমাণ নির্দিষ্ট নেই। নামাজ দিনে পাঁচবার এবং
প্রত্যেক নামাজের রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট। রমজানের রোজা নির্দিষ্টকালের জন্য।
হজ্বও বিশেষ স্থানে বিশেষ অনুষ্ঠানাদি ও সুনির্দিষ্ট কর্ম-ক্রিয়ার নাম। যাকাতও
বছরে একবারই ফরজ হয়। পক্ষান্তরে আল্লাহর জিকির এমন এবাদত, যার কোন সীমা বা সংখ্যা নির্ধারিত
নেই। বিশেষ সময়কালও নির্ধারিত নেই অথবা এর জন্য দাঁড়ানো বা বসার কোন বিশেষ অবস্থাও
নির্ধারিত নেই। এমনকি পবিত্র এবং অযু সহ থাকারও কোন শর্ত আরোপ করা হয়নি। সফরে
থাকুক বা বাড়ীতে অবস্থান করুক, সুস্থ
থাকুক বা অসুস্থ, স্থলভাগ
হোক বা জলভাগ, রাত হোক
বা দিন সর্বাবস্থায় আল্লাহর জিকিরের হুকুম রয়েছে। (মাআরেফুল কোরান) অন্যত্র ইরশাদ
হয়েছে, فاصبر ان وعد الله حق و استغفر لذنبك و سبح بحمد ربك بالعشى و الابكار.
(المؤمن অর্থ : অতএব, আপনি সবর করুন। নিশ্চয় আল্লাহর
ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার গোনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করুন এবং সকাল-সন্ধ্যায়
আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন। (মুমিন-৫৫) আরো ইরশাদ হয়েছে, يسبحون الليل و النهار ولا يفترون . (الانبياء অর্থ : তারা (ফেরেশতারা) রাতদিন তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, তারা শৈথিল্য করে না। (আম্বিয়া-২০)
অন্যত্র মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, فاصبر على ما يقولون و سبح بحمد ربك قبل طلوع
الشمس وقبل غروبها ومن آناء الليل فسبح و اطراف النهار لعلك ترضى . (طه) অর্থ
: সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্যধারণ করুন। এবং আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস
পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং তাসবীহ পাঠ করুন রাতের কিছু
অংশে এবং দিবা ভাগে; সম্ভবত
তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন। হাদিসের আলোকে জিকির দোয়ার গুরুত্ব : হজরত জাবির ইবনে
সামুরাহ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি
বলেন, كان النبى صلى الله عليه وسلم اذا صلى الفجر قعد فى مصلاه حتى تطلع الشمس .
مسلم অর্থ : নবি
(সা.) ফজরের সালাত আদায়ের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত নিজের সালাতের জায়গায় বসে থাকতেন
(এবং তাসবিহ- জিকিরে রত থাকতেন)। (মুসলিম) অন্য এক হাদিসে এসেছে عن ابى موسى الاشعرى رضى الله عنه قال : قال
النبى صلى الله عليه وسلم : مثل المؤمن الذى يذكر ربه والذى لا يذكر ربه مثال الحي
والميت رواه البخارى و رواه مسلم ، فقال : مثل البيت الذى يذكر الله فيه والبيت
الذى لا يذكر الله فيه مثل الحي والميت. অর্থ : হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার রবের জিকির করে আর
যে ব্যক্তি তার রবের জিকির করে না তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে জীবিত ও মৃতের ন্যায়। (বুখারি)
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, অতপর
তিনি বলেছেন, যে ঘরে
আল্লাহর জিকির হয় আর যে ঘরে আল্লাহর জিকির হয় না তাদের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত ও
মৃতের সমতুল্য।(মুসলিম) রাসুল (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ان الدعاء هو العبادة হাদিসবিশারদগণ বলেণ, ان الدعاء هو العبادة বাক্যের অর্থ এরুপ হতে পারে যে, প্রত্যেক ইবাদাতই দুআ। এখানে অর্থ এই যে, শাব্দিক অর্থের দিক দিয়ে দোয়া ও
ইবাদাত যতিও পৃথক পৃথক। কিন্তু উভয়ের ভাবর্থ এক। অথাৎ প্রত্যেক দোয়াই এবাদত এবং
প্রত্যেক ইবাদতই দোয়া। কারণ এই যে, দোয়া
বলা হয় কারো সামনে চুড়ান্ত দীনতা অবলম্বন করাকে। বলা বাহুল্য, নিজেকে কারও মুখাপেক্ষী মনে করে
তার সামনে সওয়ালের হাত প্রসারিত করা বড় দীনতা, যা এবাদাতের অর্থ । এমনি ভাবে প্রত্যেক এবাদাতের
সারমর্মও আল্লাহর কাছে মাগফেরাত ও জান্নাত তলব করা এবং ইহকাল ও পরকালের নিবাপত্তা
প্রার্থনা করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর
কাছে দোয়া অপেক্ষা অধিক সম্মানিত কোন কিছুই নাই। (তিরমিজি)
আল-ফাতিহা
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।
অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।
অনুবাদ : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণ : আররহমা-নির রাহি-ম।
অনুবাদ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
উচ্চারণ : মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।
অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
উচ্চারণ : ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন
অনুবাদ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ : ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম
অনুবাদ : আমাদের সরল পথ দেখাও।
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
উচ্চারণ : সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।
অনুবাদ : সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।




মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা ও
অন্যান্য দোয়ার স্থানে পড়ার দোয়া।
১. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আসআলুকাল ‘আফওয়া
ওয়াল ‘আফিয়াতা
ফীদ দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল
আফিয়াতা ফী দীনী ওয়া দুনইয়াইয়া ওয়া আহলী, ওয়া মালী’।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ষমা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে
নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ষমা এবং আমার দ্বীন ও দুনিয়া, পরিজন ও সম্পত্তির ব্যাপারে নিরাপত্তা চাচ্ছি।
২. ‘আল্লাহুম্মাসতুর
‘আওরাতী ওয়া আমিন
রাও‘আতী, আল্লাহুম্মাহ ফিযনী মিম বাইনি ইয়াদায়্যা, ওয়া
মিন খালফী, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী, ওয়া ‘আন
শিমালী,
ওয়া মিন ফাওকী, ওয়া আউযু বিআযমাতিকা আন
উগতালা মিন তাহতী’।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার গোপন দোষসমূহ ঢেকে রাখো। আমার
ভয়ভীতিকে নিরাপত্তায় পরিণত করো। আমার অগ্রপশ্চাৎ, ডান-বাম
এবং ঊর্ধ্ব হতে পতিত বিপদ থেকে আমাকে হেফাজত করো। নিম্নদিক হতে মৃত্যুমুখে পতিত
হওয়া থেকে তোমার মাহাত্মে্যর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
৩. ‘আল্লাহুম্মা ‘আফিনী ফী বাদানী, আল্লাহুম্মা ‘আফিনী
ফী সাম‘য়ী, আল্লাহুম্মা ‘আফিনী
ফী বাসারী, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে দৈহিক নিরাপত্তা দাও, আমার শ্রবণেন্দ্রীয় ও দৃষ্টিশক্তিকে নিরাপদ রাখো। তুমি ছাড়া আর
কোনো প্রকৃত মা’বুদ
নেই।
৪. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আ‘উযু
বিকা মিনাল কুফরি, ওয়াল ফাকরি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ‘আযাবিল কাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি কুফুরি, দারিদ্র্য
ও কবরের আজাব থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি ছাড়া আর কোনো প্রকৃত
মা’বুদ
নেই।
৫. ‘আল্লাহুম্মা
আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাকতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতা’তু, আ‘উযু
বিকা মিন শার্রি মা সানা’তু, আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা আলায়্যা, ওয়া আবূউ লাকা
বিযাম্বী ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া আর কোনো
সত্যিকার মা’বুদ
নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি সাধ্য অনুসারে তোমার সঙ্গে কৃত
ওয়াদার ওপর রয়েছি। আমি যা করেছি, তার অপকারিতা হতে তোমার কাছে
আশ্রয় চাচ্ছি। তুমি আমাকে যেসব নেয়ামত দান করেছ আমি তার স্বীকৃতি প্রদান করছি। আমি
আমার সমুদয় গুনাহ স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ছাড়া আর
কেউ আমার গুনাহসমূহ মাফ করতে পারবে না।
৬. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আ‘উযু
বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিনাল ‘আজযি ওয়াল
কাসালি,
ওয়া মিনাল বুখলি ওয়াল জুবুনি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন
গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজালি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি চিন্তা ও উদ্বেগ, অক্ষমতা ও অলসতা, কৃপণতা ও কাপুরুষতা, ঋণের গুরুভার ও মানুষের অধীনতা হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
৭. ‘আল্লাহুম্মাজ‘আল আউওয়ালা
হাযাল ইয়াওমি সালাহান, ওয়া আউসাতাহু ফালাহান, ওয়া আখিরাহু নাজাহান, ওয়া আসআলুকা খাইরাইদ
দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি, ইয়া আরহামার রাহিমীনা’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আজকের দিনের প্রথম অংশকে সততা, মধ্যভাগকে কল্যাণ এবং শেষভাগকে সফলতায় ভরে দাও। হে পরম দয়ালু! আমি তোমার কাছে দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ কামনা করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আজকের দিনের প্রথম অংশকে সততা, মধ্যভাগকে কল্যাণ এবং শেষভাগকে সফলতায় ভরে দাও। হে পরম দয়ালু! আমি তোমার কাছে দুনিয়া-আখিরাতের কল্যাণ কামনা করছি।
৮. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আসআলুকার রিদা বা’দাল
কাদাই,
ওয়া বারাদাল ‘আইশি বা’দাল মাওতি, ওয়ালায্যাতান নাযারি
ইলা ওয়াজহিকাল কারীমি, ওয়াশ শাওকা ইলা লিকাইকা ফি গাইরি
দাররাই মুদিররাতিন ওয়া লা ফিতনাতিন মুদিল্লাতিন, ওয়া আ‘উযু বিকা আন
আযলিমা আউ উযলামা, আউ আ’তাদী আউ ইউ’তাদা আলাইয়্যা, আউ আকতাসিবা খাতীয়াতান আউ যাম্বান লা তাগফিরহু, ওয়া আ‘উযু
বিকা আন উরাদ্যা ইলা আরযালিল উমুরি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি তোমার
ফয়সালার পর খুশি থাকার মনোবৃত্তি, মৃত্যুর পর সুখময় জীবন,
তোমার চেহারা মোবারক দর্শনের স্বাদ গ্রহণ, তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রবল আকাঙ্ক্ষা-কোনো ক্ষতিকর স্বাচ্ছন্দ্য ও
বিভ্রান্তিকর ফেতনা ছাড়াই। কারও প্রতি জুলুম করা কিংবা কেউ আমার প্রতি জুলুম করা
থেকে আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাচ্ছি কারও প্রতি সীমা লঙ্ঘন করা থেকে বা
কেউ আমার ওপর সীমা লঙ্ঘন করা থেকে, ক্ষমার অযোগ্য কোনো
ভুল বা পাপকাজ থেকে। বার্ধক্যের শেষ পর্যায়ে উপনীত হওয়া থেকে তোমার কাছে আশ্রয়
চাই।
৯. ‘আল্লাহুম্মা
আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনি মিনান্নার’ (৩বার)।
‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে
জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও।’
১০. ‘আল্লাহুম্মা
আসলিহ লি দীনী, ওয়া ওয়াসসি’ লি ফি দারি, ওয়া বারিক লি ফি রিযকি’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার দ্বীনকে সংশোধন করে দাও। আমার বাসস্থানকে প্রশস্ত করে দাও এবং আর রুজিতে বরকত দাও।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার দ্বীনকে সংশোধন করে দাও। আমার বাসস্থানকে প্রশস্ত করে দাও এবং আর রুজিতে বরকত দাও।
১১. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আ’উযু
বিকা মিনাল কাসওয়াতি ওয়াল গাফলাতি ওয়ায যিল্লাতি ওয়াল মাসকানাতি, ওয়া আ’উযু
বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফুসূকি ওয়াশ শিকাকি ওয়ান নিফাকি ওয়াস সুম’আতি ওয়ার রিয়ায়ী, ওয়া আ’উযু
বিকা মিনাস সামামি, ওয়াল বুকমি, ওয়াল
জুযামি ওয়া সায়য়িল আসকামি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি অন্তরের পাষণ্ডতা, গাফিলতি, অবমাননা ও অভাব-অভিযোগ হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি কুফুরি, ফাসেকি, সত্যের বিরুদ্ধাচরণ এবং লোক শোনানো ও দেখানো হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আরও আশ্রয় প্রার্থনা করছি বধিরতা, বাকশক্তিহীনতা, কুষ্ঠ ও অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধি হতে।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি অন্তরের পাষণ্ডতা, গাফিলতি, অবমাননা ও অভাব-অভিযোগ হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি কুফুরি, ফাসেকি, সত্যের বিরুদ্ধাচরণ এবং লোক শোনানো ও দেখানো হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আরও আশ্রয় প্রার্থনা করছি বধিরতা, বাকশক্তিহীনতা, কুষ্ঠ ও অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধি হতে।
১২. ‘আল্লাহুম্মা আতি
নাফসী তাকওয়াহা, ওয়া যাক্কিহা আনতা খাউরু মান যাক্কাহা, আনতা ওয়ালিয়্যুহা ওয়া মাওলাহা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে তাকওয়া দান করো এবং একে পবিত্র করো। তুমি তো সর্বোত্তম পবিত্রকারী। তুমিই এর অভিভাবক ও প্রভু।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে তাকওয়া দান করো এবং একে পবিত্র করো। তুমি তো সর্বোত্তম পবিত্রকারী। তুমিই এর অভিভাবক ও প্রভু।
১৩. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আ‘উযু
বিকা মিন ‘ইলমিন
লা ইয়ানফা‘উ, ওয়া কালবিন লা ইয়াখশাউ, ওয়া নাফসিন লা তাশবা‘উ, ওয়া দাওয়াতিন লা ইউসতাজাবু লাহা’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে উপকারহীন জ্ঞান, নির্ভর অন্তর, অতৃপ্ত আত্মা এবং কবুল হয় না এমন দোয়া হতে আশ্রয় চাই।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে উপকারহীন জ্ঞান, নির্ভর অন্তর, অতৃপ্ত আত্মা এবং কবুল হয় না এমন দোয়া হতে আশ্রয় চাই।
১৪. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আ’উযু
বিকা মিন শাররি মা ‘আমিলতু, ওয়া মিন শাররি মা লাম আ’মাল, ওয়া আ’উযু বিকা মিন শাররি
মা ‘আমিলতু, ওয়া মিন শাররি মা লাম আ’লাম’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! যে কাজ আমি করেছি এবং যা করিনি, তার অমঙ্গল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। যে বিষয় আমি জেনেছি এবং যা জানিনি, এতদূভয়ের অমঙ্গল থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! যে কাজ আমি করেছি এবং যা করিনি, তার অমঙ্গল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। যে বিষয় আমি জেনেছি এবং যা জানিনি, এতদূভয়ের অমঙ্গল থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
১৫. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আ’উযু
বিকা মিন যাওয়ালি নি’মাতিকা
ওয়া তাহাওউলি ‘আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামি’ই সাখতিকা’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের অবক্ষয়, অনাবিল শান্তির অপসারণ, শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ এবং তোমার সব অসন্তোষ হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের অবক্ষয়, অনাবিল শান্তির অপসারণ, শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ এবং তোমার সব অসন্তোষ হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
১৬. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আ‘উযু
বিকা মিনাল হাদমি ওয়াত তারাদ্দী ওয়া মিনাল গারকি ওয়াল হারকি ওয়াল হারামি, ওয়া আ‘উযু
বিকা মিন আই ইয়াতাখাব্বাতানিশ শায়তানু ‘ইনদাল মাউতি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন আন
আমূতা লাদীগান, ওয়া আ’উযু বিকা মিন তামা‘ইন ইয়াহদি ইলা
তাব’ইন’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার মাথার ওপর কিছু ধসে পড়ার কারণে অথবা অন্য যেকোনো কারণে আমি ধ্বংস হয়ে যাই, অথবা পানিতে ডুবে কিংবা আগুনে জ্বলে মৃত্যুবরণ করি-এ থেকে এবং বার্ধক্যজনিত কষ্টের হাত হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় চাচ্ছি শয়তান যেন মৃত্যুর সময় আমাকে গোমরাহ না করে। আশ্রয় চাচ্ছি দংশিত হয়ে মারা যাওয়া এবং লোভ-লালসা হতে যা মানুষকে কুপ্রবৃত্তির দিকে নিয়ে যায়।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার মাথার ওপর কিছু ধসে পড়ার কারণে অথবা অন্য যেকোনো কারণে আমি ধ্বংস হয়ে যাই, অথবা পানিতে ডুবে কিংবা আগুনে জ্বলে মৃত্যুবরণ করি-এ থেকে এবং বার্ধক্যজনিত কষ্টের হাত হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় চাচ্ছি শয়তান যেন মৃত্যুর সময় আমাকে গোমরাহ না করে। আশ্রয় চাচ্ছি দংশিত হয়ে মারা যাওয়া এবং লোভ-লালসা হতে যা মানুষকে কুপ্রবৃত্তির দিকে নিয়ে যায়।
১৭. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নি আ’উযু
বিকা মিন মুনকারাতিল আখলাকি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি ওয়াল আদওয়ায়ি, ওয়া আ‘উযু
বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি, ওয়া কাহরিল আদুয়্িয, ওয়া
শামাতাতিল আ’দায়ি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি ঘৃণিত স্বভাব এবং অবাঞ্ছিত আচরণ হতে, আর আমাকে রক্ষা করো কুপ্রবৃত্তির তাড়না এবং দৈহিক রুগ্ণতা হতে এবং আশ্রয় চাচ্ছি ঋণের গুরুভার, শত্রুর দুর্দম অপপ্রভাব ও উপহার হতে।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি ঘৃণিত স্বভাব এবং অবাঞ্ছিত আচরণ হতে, আর আমাকে রক্ষা করো কুপ্রবৃত্তির তাড়না এবং দৈহিক রুগ্ণতা হতে এবং আশ্রয় চাচ্ছি ঋণের গুরুভার, শত্রুর দুর্দম অপপ্রভাব ও উপহার হতে।
১৮. ‘আল্লাহুম্মা
আসলিহ লি দীনী আল্লাযী হুয়া ‘ইসমাতু
আমরী,
ওয়া আসলিহ লি দুনইয়া আল্লাতী ফিহা মা’আশি, ওয়া আসলিহ লি আখিরাতি আল্লাতি ফিহা মা’আদি, ওয়াজ‘আলিল
হায়াতা যিয়াদাতাল লি ফি কুল্লি খায়রিন, ওয়াল মাউতা রাহাতাল
লি মিন কুল্লি শাররিন।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার দ্বীনকে আমার জন্য পরিশুদ্ধ করে দাও যার মধ্যে রয়েছে আমার সমুদয় কার্যাদির আত্মরক্ষার নিশ্চিত উপায়। আর সংশোধন করে দাও আমার পার্থিব জীবনকে যার মধ্যে রয়েছে আমার জীবিকা। আর আমার আখিরাতকে তুমি করে দাও বিশুদ্ধ, যেখানে আমাকে অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আমার দীর্ঘ জীবনকে অধিকতর মঙ্গল কাজের অসিলা করে দাও। আর আমার মৃত্যুকে প্রত্যেক অনিষ্ট হতে আমার জন্য শান্তির অসিলা করে দাও।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার দ্বীনকে আমার জন্য পরিশুদ্ধ করে দাও যার মধ্যে রয়েছে আমার সমুদয় কার্যাদির আত্মরক্ষার নিশ্চিত উপায়। আর সংশোধন করে দাও আমার পার্থিব জীবনকে যার মধ্যে রয়েছে আমার জীবিকা। আর আমার আখিরাতকে তুমি করে দাও বিশুদ্ধ, যেখানে আমাকে অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আমার দীর্ঘ জীবনকে অধিকতর মঙ্গল কাজের অসিলা করে দাও। আর আমার মৃত্যুকে প্রত্যেক অনিষ্ট হতে আমার জন্য শান্তির অসিলা করে দাও।
১৯. ‘রাব্বি আ’ইন্নি ওয়া লা তু‘ইন ‘আলাইয়্যা, ওয়ানসুরনি ওয়া লা তানসুর ‘আলাইয়্যা, ওয়াহদিনী ওয়া
ইয়াস্সিরিল হুদা আলাইয়্যা’
অর্থাৎ হে প্রভু! আমাকে সাহায্য করো, আমার প্রতিপক্ষকে সাহায্য করো না। আমাকে সফলতা দান করো, আমার প্রতিপক্ষকে দান করো না। আমাকে হেদায়াত দাও এবং হেদায়াত লাভ আমার জন্য সহজ করে দাও।
অর্থাৎ হে প্রভু! আমাকে সাহায্য করো, আমার প্রতিপক্ষকে সাহায্য করো না। আমাকে সফলতা দান করো, আমার প্রতিপক্ষকে দান করো না। আমাকে হেদায়াত দাও এবং হেদায়াত লাভ আমার জন্য সহজ করে দাও।
২০. ‘আল্লাহুম্মাজ‘আলনি যাক্কারান
লাকা,
শাক্কারান লাকা, মিতওয়া‘আন লাকা, মুখবিতান ইলাইকা, আউওয়াহান মুনীবান, রাব্বি তাকাব্বাল তাউবাতী, ওয়াগসিল হাউবাতী,
ওয়া আজিব দাওয়াতী, ওয়া সাব্বিত হুজ্জাতী,
ওয়াহদি কালবী, ওয়া সাদ্দিদ লিসানী,
ওয়া আসলুল সাখীমাতা সাদরী।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে এমন তাওফীক দান করো যাতে আমি তোমার খুব বেশি স্মরণকারী, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারী ও অনুগত হতে পারি এবং তোমারই কাছে বিনম্র হই এবং তোমারই কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে শিখি। হে আমার প্রতিপালক! আমার তাওবাকে তুমি কবুল করো। আমার গুনাহরাশি ধুয়ে মুছে দাও। আমার দোয়া কবুল করো। আমার প্রমাণ দৃঢ় করো। আমার অন্তরকে হেদায়েত দাও। আমার জিহ্বাকে ঠিক রাখো। আমার অন্তরের কলুষ কালিমাকে বিদূরিত করে দাও।
২১. ‘আল্লাহুমা ইন্নী
আসআলুকাস সাবাতা ফিল আমরি, ওয়াল ‘আযীমাতা ‘আলার রুশদি, ওয়া আসআলুকা শুকরা নি’মাতিকা, ওয়া হুসনা ইবাদাতিকা,
ওয়া আসআলুকা কালবান সালীমান, ওয়া
লিসানান সাদিকান, ওয়া আসআলুকা মিন খায়রি মা তা’লামু, ওয়া আ‘উযু
বিকা মিন শাররি মা তা’লামু, ইন্নাকা ‘আল্লামাল
গুয়ূব।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি কর্মে অবিচলতা, সৎ
পথে দৃঢ় নিষ্ঠা, তোমার নেয়ামতের শুকরগুজারী ও তোমার
ইবাদাতকে সুষ্ঠু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার তাওফীক তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। আমি
তোমার কাছে প্রার্থনা করি নির্ভেজাল ও প্রশান্ত হৃদয় এবং সত্যনিষ্ঠ রসনা। আমি সেই
মঙ্গলের প্রার্থনা জানাই যা তুমি আার জন্য ভাল মনে কর। আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই
সে অমঙ্গল হতে যে সম্পর্কে তুমি সুবিদিত। আর আমি মাগফিরাত চাই যে অন্যায় অপকর্ম
হতে যা একমাত্র তুমিই জান। নিশ্চয়ই তুমি গায়েব সম্পর্কে সুবিদিত।
২২. ‘আল্লাহুমা আল
হিমনী রুশদী ওয়া আ‘ইযনী
মিন শাররি নাফসী’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে তুমি হেদায়াত দ্বারা অনুগৃহীত করো। আর আমার প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে আমাকে রক্ষা করো।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে তুমি হেদায়াত দ্বারা অনুগৃহীত করো। আর আমার প্রবৃত্তির অনিষ্ট হতে আমাকে রক্ষা করো।
২৩. ‘আল্লাহুমা ইন্নী
আসআলুকা ফি’লাল
খায়রাতি ওয়া তারকাল মুনকারাতি, ওয়া হুব্বাল মাসাকীনা, ওয়া আন তাগফির লী ওয়া তারহামনী, ওয়া ইযা
আরাদতা বি‘ইবাদিকা
ফিতনাতান, ফাতাওয়াফ্ফানী ইলায়কা গাইরা মাফতূনিন, আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা হুব্বাকা ওয়া হুব্বা মাই ইউহিব্বুকা,
ওয়া হুব্বা কুল্লি ‘আমালিন ইউকাররিবুনী ইলা হুব্বিকা।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ভাল কাজ সম্পাদন, মন্দকাজ পরিহার এবং গরীবদেরকে ভালবাসার তাওফীক কামনা করছি। তুমি আমাকে
ক্ষমা কর। আমার প্রতি রহমত বর্ষণ করো। তোমার বান্দাদেরকে কোনো পরীক্ষায় নিপতিত
করতে ইচ্ছা করলে আমাকে ফেতনামুক্ত অবস্থায় উঠিয়ে নিও। হে আল্লাহ! আমি তোমার
ভালোবাসা প্রার্থনা করি, আর ওই ব্যক্তির ভালবাসা যে
তোমাকে ভালবাসে এবং এমন কাজের ভালোবাসা যা আমাকে তোমার ভালোবাসার নিকটবর্তী
করে দেয়।
২৪. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকা খায়রাল মাসআলাতি, ওয়া খায়রাদ দোয়ায়ি, ওয়া খায়রান নাজাহি, ওয়া খায়রাস সাওয়াবি,
ওয়া সাব্বিতনী ওয়া ছাক্কিল মাওয়াযীনী, ওয়া
হাক্কিক ঈমানী, ওয়ারফা‘ দারাজাতী, ওয়াতাকাব্বাল সালাতী ওয়া ‘ইবাদাতী, ওয়াগফির খাতিয়াতী,
ওয়া আসআলুকাদ দারাজাতিল ‘উলা মিনাল জান্নাতি’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুন্দরতম প্রতিদান, উত্তম প্রার্থনা, ফলপ্রসু সফলতা এবং শ্রেষ্ঠ পুরস্কার কামনা করছি। তুমি আমাতে দৃঢ়তা দান করো। আমার নেকীর পাল্লা ভারী করো। আমার ঈমানকে মজবুত করো। আমার সম্মান ও মর্যাদা বর্ধিত করো। আমার নামাজ ও ইবাদত কবুল করো। আমার গুনাহ মার্জনা করো। হে আল্লাহ! বেহেশতে আমার পদ মর্যাদা বৃদ্ধি করো।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুন্দরতম প্রতিদান, উত্তম প্রার্থনা, ফলপ্রসু সফলতা এবং শ্রেষ্ঠ পুরস্কার কামনা করছি। তুমি আমাতে দৃঢ়তা দান করো। আমার নেকীর পাল্লা ভারী করো। আমার ঈমানকে মজবুত করো। আমার সম্মান ও মর্যাদা বর্ধিত করো। আমার নামাজ ও ইবাদত কবুল করো। আমার গুনাহ মার্জনা করো। হে আল্লাহ! বেহেশতে আমার পদ মর্যাদা বৃদ্ধি করো।
২৫. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকা ফাওয়াতিহাল খায়রি, ওয়া খাওয়াতিমাহু, ওয়া জাওয়ামি‘আহু, ওয়া আউওয়ালাহু, ওয়া আখিরাহু, ওয়া যাহিরাহু ওয়া বাতিনাহু, ওয়াদ দারাজাতিল ‘উলা মিনাল
জান্নাতি’
অর্থাৎ আল্লাহ! আমি তোমার কাছে মঙ্গলের সূচনা, তার পরিসমাপ্তি, তার ব্যাপকতা, তার প্রথম ও শেষ, তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং বেহেশতের উচ্চ মর্যাদা যাত্রা করছি।
অর্থাৎ আল্লাহ! আমি তোমার কাছে মঙ্গলের সূচনা, তার পরিসমাপ্তি, তার ব্যাপকতা, তার প্রথম ও শেষ, তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং বেহেশতের উচ্চ মর্যাদা যাত্রা করছি।
২৬. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকা আন তারফা‘আ
যিকরী,
ওয়া তাদা‘আ উইয্রী, ওয়া তুতাহহিরা কালবী,
ওয়া তুহাসসিনা ফারজী, ওয়া তাগফির লী
যুনূবী, ওয়া আসআলুকাদ দারাজাতিল ‘উলা মিনাল
জান্নাতি’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার স্মরণকে গৌরবময়, আমার বোঝা অপসারিত, আমার অন্তরকে পবিত্র, আমার গুপ্ত অঙ্গকে সংরক্ষিত, আমার গুনাহগুলোকে মার্জনা এবং বেহেশতে উচ্চ মর্যাদা প্রদানের জন্য আমি তোমার কাছে আবেদন করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমার স্মরণকে গৌরবময়, আমার বোঝা অপসারিত, আমার অন্তরকে পবিত্র, আমার গুপ্ত অঙ্গকে সংরক্ষিত, আমার গুনাহগুলোকে মার্জনা এবং বেহেশতে উচ্চ মর্যাদা প্রদানের জন্য আমি তোমার কাছে আবেদন করছি।
২৭. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকা আন তুবারিকা ফী সাম‘য়ী, ওয়া ফী বাসরী, ওয়া ফী খালকী, ওয়া ফী খুলুকী, ওয়া ফী আহলী, ওয়া ফী মাহইয়াইয়া, ওয়া ফী ‘আমালী, ওয়া তাকাব্বাল হাসানাতী, ওয়া আসআলুকাদ
দারাজাতিল ‘উলা
মিনাল জান্নাতি’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার কাছে আমার শ্রবণশক্তিতে, দৃষ্টিশক্তিতে, চেহারা ও আকৃতিতে, স্বভাব ও চরিত্রে, পরিবার-পরিজনে এবং জীবনে বরকত প্রদানের জন্য আবেদন করছি। আমার সৎকর্মগুলো কবুল করতে এবং বেহেশতে উচ্চ মর্যাদা প্রদানের প্রার্থনা করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার কাছে আমার শ্রবণশক্তিতে, দৃষ্টিশক্তিতে, চেহারা ও আকৃতিতে, স্বভাব ও চরিত্রে, পরিবার-পরিজনে এবং জীবনে বরকত প্রদানের জন্য আবেদন করছি। আমার সৎকর্মগুলো কবুল করতে এবং বেহেশতে উচ্চ মর্যাদা প্রদানের প্রার্থনা করছি।
২৮. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আ‘উযু
বিল্লাহি মিন জাহদিল বালায়ি, ওয়া দারাকিশ্ শিকায়ি, ওয়া সূইল কাদায়ি, ওয়া শামাতাতিল আ’দায়ি’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিপদের কষ্ট, দুর্ভোগের আক্রমণ, মন্দ ফয়সালা ও বিপদে শত্রুর উপহাস হতে।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিপদের কষ্ট, দুর্ভোগের আক্রমণ, মন্দ ফয়সালা ও বিপদে শত্রুর উপহাস হতে।
২৯. ‘আল্লাহুম্মা
মুকাল্লিবাল কুলূবি, সাব্বিত কালবী ‘আলা দীনিকা, আল্লাহুমা মুসাররিফাল কুলূবি, সারি্যফ
কুলূবানা ‘আলা
তা‘আতিকা’
অর্থাৎ অন্তরসমূহের বিবর্তনকারী হে আল্লাহ্! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত রাখ। অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী হে আল্লাহ্! তুমি আমার অন্তরকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।
অর্থাৎ অন্তরসমূহের বিবর্তনকারী হে আল্লাহ্! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত রাখ। অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী হে আল্লাহ্! তুমি আমার অন্তরকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।
৩০. ‘আল্লাহুম্মা
যিদনা ওয়ালা তানকুসনা, ওয়া আকরিমনা ওয়া লা তুহনা, ওয়া আ’তিনা
ওয়া লা তাহরিমনা, ওয়া আসিরনা ওয়া লা তুউসির ‘আলাইনা’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে বাড়িয়ে দিও, কমিয়ে দিও না। সম্মানিত কর, অসম্মানিত করো না। আমাদেকে দাও, বঞ্চিত করো না। আমাদেরকে অগ্রাধিকার দাও, আমাদের উপর কাউকে অগ্রাধিকার দিও না।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে বাড়িয়ে দিও, কমিয়ে দিও না। সম্মানিত কর, অসম্মানিত করো না। আমাদেকে দাও, বঞ্চিত করো না। আমাদেরকে অগ্রাধিকার দাও, আমাদের উপর কাউকে অগ্রাধিকার দিও না।
৩১. ‘আল্লাহুম্মা
আহসিন ‘আকিবাতানা
ফিল উমূরি কুল্লিহা, ওয়া আজিরনা মিন খিযইদ দুনইয়া ওয়া আযাবিল
আখিরাতী’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের সবার কাজের পরিণতি শুভ কর, আমাদেরকে ইহজগতে লজ্জা ও অপমান এবং আখিরাতের আযাব হতে রক্ষা কর।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের সবার কাজের পরিণতি শুভ কর, আমাদেরকে ইহজগতে লজ্জা ও অপমান এবং আখিরাতের আযাব হতে রক্ষা কর।
৩২. ‘আল্লাহুম্মা
আকসিম লানা মিন খাশইয়াতিকা মা তাহূলু বিহি বাইনানা ওয়া বাইনা মা’সিয়াতিকা, ওয়া মিন তা‘আতিকা
মা তুবাল্লিগনা বিহি জান্নাতাকা, ওয়া মিনাল ইয়াকীনি মা তুহাওয়্িযনু
বিহি ‘আলাইনা
মাসাইবাদ দুনইয়া, ওয়া মাত্তি’না বি আসমা‘ইনা ওয়া
আবসারিনা ওয়া কুউয়্যাতিনা মা আহ্ইয়াতানা, ওয়াজ‘আলহাল ওয়ারিসা
মিন্না,
ওয়াজ‘আল
সা’রানা ‘আলা মান
যালামানা, ওয়ান সুরনা ‘আলা মান ‘আদানা, ওয়ালা তাজ‘আলিদ
দুনইয়া আকবারা হাম্মানা, ওয়া লা মাবলাগা ‘ইলমিনা, ওয়া লা তাজ‘আল
মুসীবাতানা ফি দীনিনা, ওয়া লা তুসাল্লিত ‘আলাইনা মান লা
ইয়াখাফুকা ওয়া লা ইয়ারহামনা’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের অন্তরে এমন ভীতির সঞ্চার করে দাও যা আমাদের ও পাপ কাজের মধ্যে প্রতিবন্ধক হতে পারে। আমাদের এমন আনুগত্য প্রদান কর যা আমাদের বেহেশতে পৌঁছে দেওয়ার উপকরণ হয়। আর আমাদের অন্তরে এমন বিশ্বাস উদয় করে দাও যা আমাদের বাস্তব জীবনের অনিষ্ঠতা ও ক্ষতির প্রতিষেধক হতে পারে। আর তুমি যত দিন আমাদের জীবিত রাখবে, তত দিন আমাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি অক্ষত রাখবে। যাতে আমরা লাভবান হতে সমর্থ হই। এ কল্যাণ আমাদের পরেও জারি রেখো। অধিকন্তু যে আমাদের প্রতি অত্যাচার করবে, আমাদের প্রতিশোধ তুমি তাদের ওপর গ্রহণ করা। আর আমাদের আমাদের শত্রুদের ওপর সাহায্য কর। এই পার্থিব জীবনকে আমাদের একমাত্র লক্ষ্যে পরিণত করো না এবং সেটাকে জ্ঞানের শেষ পরিণতি করো না। দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের বিপদে নিক্ষেপ করো না। আমাদের পাপের কারণে আমাদের ওপর এমন শাসক চাপিয়ে দিও না, যার অন্তরে তোমার ভয়ভীতি নেই এবং যে আমাদের প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন করবে না।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের অন্তরে এমন ভীতির সঞ্চার করে দাও যা আমাদের ও পাপ কাজের মধ্যে প্রতিবন্ধক হতে পারে। আমাদের এমন আনুগত্য প্রদান কর যা আমাদের বেহেশতে পৌঁছে দেওয়ার উপকরণ হয়। আর আমাদের অন্তরে এমন বিশ্বাস উদয় করে দাও যা আমাদের বাস্তব জীবনের অনিষ্ঠতা ও ক্ষতির প্রতিষেধক হতে পারে। আর তুমি যত দিন আমাদের জীবিত রাখবে, তত দিন আমাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি অক্ষত রাখবে। যাতে আমরা লাভবান হতে সমর্থ হই। এ কল্যাণ আমাদের পরেও জারি রেখো। অধিকন্তু যে আমাদের প্রতি অত্যাচার করবে, আমাদের প্রতিশোধ তুমি তাদের ওপর গ্রহণ করা। আর আমাদের আমাদের শত্রুদের ওপর সাহায্য কর। এই পার্থিব জীবনকে আমাদের একমাত্র লক্ষ্যে পরিণত করো না এবং সেটাকে জ্ঞানের শেষ পরিণতি করো না। দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের বিপদে নিক্ষেপ করো না। আমাদের পাপের কারণে আমাদের ওপর এমন শাসক চাপিয়ে দিও না, যার অন্তরে তোমার ভয়ভীতি নেই এবং যে আমাদের প্রতি অনুকম্পা প্রদর্শন করবে না।
৩৩. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা, ওয়া ‘আযাইমা
মাগফিরাতিকা, ওয়াল গানীমাতা মিন কুল্লি বাররিন, ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন, ওয়াল ফাউযা
বিল জান্নাতি, ওয়ান নাজাতা মিনান নারি’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার রহমতের কারণসমূহ, তোমার ক্ষমালাভের দৃঢ় ইচ্ছা, প্রত্যেক সৎকাজের গণিমত এবং পাপকাজ হতে নিরাপত্তা, জান্নাত লাভের সৌভাগ্য এবং জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ লাভের প্রার্থনা করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার রহমতের কারণসমূহ, তোমার ক্ষমালাভের দৃঢ় ইচ্ছা, প্রত্যেক সৎকাজের গণিমত এবং পাপকাজ হতে নিরাপত্তা, জান্নাত লাভের সৌভাগ্য এবং জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ লাভের প্রার্থনা করছি।
৩৪. ‘আল্লাহুম্মা লা
তাদা‘ লানা যাম্বান ইল্লা গাফারতাহু, ওয়া লা ‘আইবান ইল্লা
সাতারতাহু, ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফার্যাজতাহু, ওয়া লা দাইনান ইল্লা কাদাইতাহু, ওয়া লা হাজাতাম
মিন হাওয়াইজিদ দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি হিয়া লাকা রিদান ওয়ালানা সালাহুন ইল্লা
কাদাইতাহা ইয়া আরহামার রাহিমীনা’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সর্বপ্রকার অপরাধ মার্জনা কর। সর্বপ্রকার দোষত্রুটি গোপন কর। সব দুশ্চিন্তা অপসারিত কর। সব ঋণ পরিশোধ করে দাও। দুনিয়া ও আখিরাতের সব প্রয়োজন পূর্ণ কর, যাতে তুমি সন্তুষ্ট থাক এবং যার মধ্যে আমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে হে পরম দয়ালু!
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সর্বপ্রকার অপরাধ মার্জনা কর। সর্বপ্রকার দোষত্রুটি গোপন কর। সব দুশ্চিন্তা অপসারিত কর। সব ঋণ পরিশোধ করে দাও। দুনিয়া ও আখিরাতের সব প্রয়োজন পূর্ণ কর, যাতে তুমি সন্তুষ্ট থাক এবং যার মধ্যে আমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে হে পরম দয়ালু!
৩৫. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকা রাহমাতাম মিন ইনদিকা, তাহদী বিহা কালবী,
ওয়া তাজমা‘উ বিহা আমরী, ওয়া তা’লামু বিহা শা’ছী, ওয়া তাহফাযু বিহা গাইবী, ওয়া তারফা‘উ বিহা শাহিদী, ওয়া তুবায়্িযদা বিহা ওয়াজহী, ওয়া তুযাক্কী
বিহা ‘আমালী, ওয়া তুলহিমুনী বিহা রুশদী, ওয়া তারাদ্দু বিহাল
ফিতানা ‘আন্নী, ওয়া তা’সিমুনী
বিহা মিন কুল্লি সুউইন’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এমন রহমত যাচঞা করছি যা দ্বারা আমার হৃদয় সৎপথে পরিচালিত হয়, আমার কার্যাদি যথাযথভাবে সুসম্পন্ন হয়, অন্তরের অশান্তি বিদূরীত হয়, গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে, লোকসমাজে মান উন্নত হয়, আমার চেহারা উজ্জল হয়, আমার আমল নিষ্কলুষ হয়, আমি সুপথের দিশারী হতে পারি। আমার থেকে ফেতনা ফাসাদ দূরে থাকে এবং সর্বপ্রকার অমঙ্গল থেকে আমাকে বাঁচিয়ে রাখে।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এমন রহমত যাচঞা করছি যা দ্বারা আমার হৃদয় সৎপথে পরিচালিত হয়, আমার কার্যাদি যথাযথভাবে সুসম্পন্ন হয়, অন্তরের অশান্তি বিদূরীত হয়, গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে, লোকসমাজে মান উন্নত হয়, আমার চেহারা উজ্জল হয়, আমার আমল নিষ্কলুষ হয়, আমি সুপথের দিশারী হতে পারি। আমার থেকে ফেতনা ফাসাদ দূরে থাকে এবং সর্বপ্রকার অমঙ্গল থেকে আমাকে বাঁচিয়ে রাখে।
৩৬. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকাল ফাউযা ইয়াউমাল কাদাই, ওয়া আইশাস সু‘আদায়ি, ওয়া মানযিলাশ্ শুহাদায়ি, ওয়া মুরাফাকাতিল
আম্বিয়ায়ি, ওয়ান নাছরা আলাল আ’দায়ি’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে শেষ বিচার দিনের সফলতা, সুখী সজ্জনের ন্যায় জীবন যাপন, শহীদদের মর্যাদা, নবীদের সাহচর্য এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য কামনা করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে শেষ বিচার দিনের সফলতা, সুখী সজ্জনের ন্যায় জীবন যাপন, শহীদদের মর্যাদা, নবীদের সাহচর্য এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে সাহায্য কামনা করছি।
৩৭. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকা সিহ্হাতান ফী ঈমানিন, ওয়া ঈমানান ফী হুসনি
খুলুকিন, ওয়া নাজাহান ইয়াতবা‘উহু ফালাহুন, ওয়া রাহমাতাম মিনকা ওয়া ‘আফিয়াতান মিনকা ওয়া মাগফিরাতাম মিনকা ওয়া রিদওয়ানান’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি ঈমানের নিষ্কলুষতা প্রার্থনা করছি। আর এমন চরিত্র কামনা করি যার ভেতর ঈমানের প্রভাব কার্যকরী থাকবে এবং এমন সাফল্য আশা করি যা দ্বারা পরকালে মুক্তি পেতে পারি। আর তোমার রহমত, বরকত, ক্ষমা ও মাগফিরাত এবং সন্তুষ্টি কামনা করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি ঈমানের নিষ্কলুষতা প্রার্থনা করছি। আর এমন চরিত্র কামনা করি যার ভেতর ঈমানের প্রভাব কার্যকরী থাকবে এবং এমন সাফল্য আশা করি যা দ্বারা পরকালে মুক্তি পেতে পারি। আর তোমার রহমত, বরকত, ক্ষমা ও মাগফিরাত এবং সন্তুষ্টি কামনা করছি।
৩৮. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আসআলুকাস সিহ্হাতা ওয়াল ‘আফিয়াতা, ওয়া হুসনাল খুলুকি ওয়ার রিদাআ বিল কাদরি’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুস্বাস্থ্য, পবিত্রতা, উত্তম চরিত্র এবং ভাগ্যের প্রতি সন্তুষ্ট থাকার মনোবল কামনা করছি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুস্বাস্থ্য, পবিত্রতা, উত্তম চরিত্র এবং ভাগ্যের প্রতি সন্তুষ্ট থাকার মনোবল কামনা করছি।
৩৯. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নী আউযু বিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়া মিন শাররি কুল্লি দাব্বাতিন
আনতা আখিযুম বিনাছিয়াতিহা ইন্না রাব্বি ‘আলা সিরাতিম মুসতাকিম’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আমার অন্তরের অপকারিতা এবং পৃথিবীর বুকে চলমান জীবজন্তু-যাদের ভাগ্যরাশি তোার হাতের মুঠোয় রয়েছে তাদের অপকারিতা হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক সহজ সরল পথে রয়েছেন।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আমার অন্তরের অপকারিতা এবং পৃথিবীর বুকে চলমান জীবজন্তু-যাদের ভাগ্যরাশি তোার হাতের মুঠোয় রয়েছে তাদের অপকারিতা হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক সহজ সরল পথে রয়েছেন।
৪০. ‘আল্লাহুম্মা
ইন্নাকা তাসমাউ কালামী, ওয়া তারা মাকানী, ওয়া
তা’লামু
সির্যী ওয়া ‘আলানিয়্যাতী, ওয়া লা ইয়াখফা ‘আলাইকা শাইয়ুম মিন আমরী, ওয়া আনাল বায়িছুল ফাকীরু, ওয়াল মুসতাগীছুল
মুসতাজীরু, ওয়াল ওয়াজালুল মুশফিকুল মুকিরু্যল মু’তারিফু ইলাইকা
বিযাম্বিহি, আসআলুকা মাসআলাতাল মিসকীনি, ওয়া আবতাহিলু ইলাইকা ইবতিহালাল মুযনিবিয যালীলি, ওয়া আদউকা দোয়াআল খাইফিদ দারীরি, দোয়াআ’ মান খাদা‘আত লাকা
রাকবাতহু, ওয়া যাল্লা লাকা জিসমাহু, ওয়া রাগিমা লাকা আনফাহু।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই তুমি আমার বক্তব্য শুনছো, আমার অবস্থান অবলোকন করছো, আমার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবই জ্ঞাত আছ, আমার এমন কিছু নেই যা তোমার অজানা আছে। আমি নিঃস্ব, সহায় সম্বলহীন ফকির তোমার দরবারে যাচ্ঞা করছি ও আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমি ভীত, সন্ত্রস্ত, আমি আমার কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করছি। আমি নিঃস্ব মিসকীন, আমি নিকৃষ্ট পাপাচারীর ন্যায় অশ্রুসজল নয়নে ক্রন্দন করছি। লজ্জায় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিনীতভাবে কাকুতি মিনতি করছি। তাছাড়া আমি তোমার কাছে ঐ ব্যক্তির ন্যায় মিনতি জানাই যার স্কন্ধ তোমার কাছে বিনীত, যার দেহ তোমার কাছে অপমানিত এবং যার নাক তোমার কাছে ধুল্যবলুন্ঠিত।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই তুমি আমার বক্তব্য শুনছো, আমার অবস্থান অবলোকন করছো, আমার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবই জ্ঞাত আছ, আমার এমন কিছু নেই যা তোমার অজানা আছে। আমি নিঃস্ব, সহায় সম্বলহীন ফকির তোমার দরবারে যাচ্ঞা করছি ও আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমি ভীত, সন্ত্রস্ত, আমি আমার কৃত অপরাধের কথা স্বীকার করছি। আমি নিঃস্ব মিসকীন, আমি নিকৃষ্ট পাপাচারীর ন্যায় অশ্রুসজল নয়নে ক্রন্দন করছি। লজ্জায় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিনীতভাবে কাকুতি মিনতি করছি। তাছাড়া আমি তোমার কাছে ঐ ব্যক্তির ন্যায় মিনতি জানাই যার স্কন্ধ তোমার কাছে বিনীত, যার দেহ তোমার কাছে অপমানিত এবং যার নাক তোমার কাছে ধুল্যবলুন্ঠিত।
সাইয়িদুল ইস্তিগফার
|
বাংলা
অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ
|
اَللَّهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لَا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِى وَ أَنَا عَبْدُكَ وَ أَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَ وَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ - أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ - أَبُوْءُلَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ و أَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ - فَاِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا أَنْتَ |
‘আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্বতানি, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা
মাস্তাত্বাতু। আউজুবিকা মিন শার্রি মা ছানা’তু।
আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ বিজাম্বি ফাগফিরলি। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা
আংতা।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার
প্রতিপালক। তুমি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার
দাস। আমি তোমার কাছে কৃত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির ওপরে সাধ্যমত দৃঢ় আছি। আমি
আমার কৃতকর্মগুলির অনিষ্টকারিতা থেকে তোমার পানাহ চাচ্ছি। আমার ওপরে তোমার
অনুগ্রহ স্বীকার করছি। এবং আমি আমার পাপসমূহ স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে
ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতিত ক্ষমা করার কেউ নেই।’ (বুখারি,
মিশকাত)
|
اَللَّهُمَّ اكْفِنِىْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ
وَأَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
|
উচ্চারণ
: ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা ওয়া
হারামিকা ওয়া আয়িন্নি বিফাজলিকা আম্মান সেওয়াকা।’
অর্থ
: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হারাম ব্যতিত হালাল দ্বারা যথেষ্ট কর এবং তোমার অনুগ্রহ
দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন কর।’
|
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ
الْحَىُّ القَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
|
উচ্চারণ
: ‘আসতাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা
ইল্লাহ হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’
অর্থ
: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা
করছি। যিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্ব চরাচরের ধারক এবং আমি
তাঁর দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তাওবা করছি।
|
জান্নাত
লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া
|
|
اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِى الْجَنَّةَ وَ أَجِرْنِىْ
مِنَ النَّارِ
|
উচ্চারণ
: ‘আল্লাহুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া
আজিরনি মিনান্নার’ (৩বার)।
‘হে
আল্লাহ! তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও।’
|
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَق
|
আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্বা)।
“আল্লাহ্র
পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।”
|
اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي
فِي بَصَرِي، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالفَقْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ |
আল্লা-হুম্মা
‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম্‘ঈ আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাসারী। লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল-ফাক্বরি ওয়া আ‘উযু
বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি, লা
ইলাহা ইল্লা আন্তা)। (৩ বার)
“হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শরীরে। হে
আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শ্রবণশক্তিতে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন
আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে
আশ্রয় চাই কুফরি ও দারিদ্র্য থেকে। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে।
আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”বুখারী, আল-আদাবুল
মুফরাদ, নং ৭০১।
|
حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيهِ تَوَكَّلتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ
الْعَظِيمِ
|
(হাসবিয়াল্লা-হু লা
ইলা-হা ইল্লা হুয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়াহুয়া রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম) (৭ বার)
“আল্লাহই
আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।
আমি তাঁর উপরই ভরসা করি। আর তিনি মহান আরশের রব্ব।”
|
يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغيثُ أَصْلِحْ لِي شَأْنِيَ كُلَّهُ وَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ».
|
ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যূমু বিরহ্মাতিকা
আস্তাগীসু,
আসলিহ্ লী শা’নী কুল্লাহু, ওয়ালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন।
“হে চিরঞ্জীব, হে
চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের অসীলায় আপনার কাছে উদ্ধার কামনা করি, আপনি আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দিন, আর
আমাকে আমার নিজের কাছে নিমেষের জন্যও সোপর্দ করবেন না।”
সহীহ আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব ১/২৭৩।
|
اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّد
|
আল্লা-হুম্মা সাল্লি
ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।
“হে আল্লাহ!
আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।”
বুখারী,
৭/১৬২, নং ১১৬২।
|
اللَّهُمَّ
مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ.
أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ
لِلَّهِ، لاَ إِلَهَ إلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ
وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ
مَا فِي هَذَا الْيَوْمِ وَخَيرَ مَا بَعْدَهُ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا
فِي هَذَا الْيَوْمِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ
وَسُوءِ الْكِبَرِ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي
الْقَبْرِ
|
আল্লা-হুম্মা
মা আসবাহা বী মিন নি‘মাতিন আউ বিআহাদিন মিন খালক্বিকা
ফামিনকা ওয়াহ্দাকা লা শারীকা লাকা, ফালাকাল হাম্দু
ওয়ালাকাশ্ শুক্রু)। অর্থঃ“হে আল্লাহ! যে নেয়ামত আমার
সাথে সকালে উপনীত হয়েছে, অথবা আপনার সৃষ্টির অন্য কারও
সাথে; এসব নেয়ামত কেবলমাত্র আপনার নিকট থেকেই; আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। আর সকল কৃতজ্ঞতা
আপনারই প্রাপ্য।”
আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লাহ
ওয়ালহাম্দু লিল্লাহি, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু
লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।
রব্বি আস্আলুকা খাইরা মা ফী হাযিহিল্লাইলাতি
ওয়া খাইরা মা বা‘দাহু, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা ফী হাযিহিল লাইলাতি ওয়া শাররি মা বা‘দাহু। রব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি ওয়া সূইল-কিবারি। রবিব আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযাবিন ফিন্না-রি ওয়া আযাবিন্
ফিল ক্বাবরি)।
আমরা আল্লাহর জন্য বিকালে উপনীত হয়েছি, আর
সকল রাজত্বও তাঁরই অধীনে বিকালে উপনীত হয়েছে।” সমুদয়
প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
“হে রব, আমি
আপনার কাছে এ রাতের মাঝে ও এর পরে যে কল্যাণ রয়েছে, তা
প্রার্থনা করি। আর এ রাত ও এর পরে যে অকল্যাণ রয়েছে, তা
থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।”
হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা ও
খারাপ বার্ধক্য থেকে। হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামে আযাব হওয়া
থেকে এবং কবরে আযাব হওয়া থেকে।” মুসলিম, ৪/২০৮৮,
নং ২৭২৩।
|




দু'আ-দরুদ (১) পড়া (২) শিখা এবং (৩) শিখানোর এখনই সঠিক কাল(সময়)
আরবী দু'আ
|
উচ্চারণ
|
বাংলা অর্থ
|
রেওয়াত (বর্ণনা)
|
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
|
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ
(এ বাক্যটি তিন বার পাঠ করতে হয়। -সহীহ মুসলিম: ১৩৬২)
|
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
https://youtu.be/BdAFJk04xxo
|
সাওবান রাদ্বয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনামতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাত শেষে ৩(তিন) বার ইস্তিগফার করতেন। (সহীহ মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১, সহীহ মাসনূন ওযিফা, পৃষ্ঠা: ৪১)
|
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
|
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতাস সালা-ম, ওয়া মিন্কাস্ সালা-ম, তাবা-রক্তা ইয়া-জাল্ জালা-লি ওয়াল ইকরাম।
|
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনিই সালাম (শান্তি), আপনার থেকেই শান্তি, হে মহাসন্মানের অধিকারী ও মর্যাদা প্রদানের অধিকারী, আপনি বরকতময়।
|
রেওয়াত (বর্ণনা):সাওবান রাদ্বয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাত শেষে ৩(তিন) বার ইস্তিগফার বলে এরপর আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম....বলতেন (সহীহ মুসলিম ১/৪১৪, নং ৫৯১)।
|
اَللَّهُمَّ أَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ-
|
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আজিরনী মিনান্ না-র।
|
হে আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।
|
হারিস ইবনু মুসলিম (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছেন, তুমি ফজরের সালাতের পরেই (দুনিয়াবী) কথা বলার আগেই এই দু'আ (আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্ না-র ) ৭বার বলবে। যদি তুমি ঐ দিনে মৃত্যুবরণ কর তাহলে আল্লাহ তোমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন। অনুরূপভাবে মাগরিবের সালাতের পরে কথা বলার আগেই এই দুআ ৭বার বলবে। যদি তুমি ঐ রাত্রে মৃত্যু বরণ কর তাহলে আল্লাহ তোমাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।অধিকাংশ মুহাদ্দিস হাদীসটিকে গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করেছেন।
(নাসাঈ, আস্ সুনানুল কুবরা ৬/৩৩, সুনানু আবু দাউদ ৪/৩২০, নং ৫০৭৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫/৩৬৭, মাওয়ারিদুয যামআন ৭/৩৬১-৩৬৫, নাবাবী, আযকার, পৃ: ১১৫, যাকারিয়্যা, আল ইখবার, পৃ: ৬৫, সহীহ মাসনূন ওযিফা, পৃ: ৪১)।
|
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ اَللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
|
উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া'হদাহু লা- শারীকা লাহু। লাহুল মুলক, ওয়া লাহুল্ 'হামদু। ওয়া হুয়া 'আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদী-র। আল্লা-হুম্মা লা-মা-নি'আ লিমা- আ'অত্বাইতা, ওয়ালা- মু'অত্বিয়া লিমা- মানা'অ্তা, ওয়ালা- ইয়ানফা'উ যাল্ জাদ্দি মিন্কাল্ জাদ্দু।
|
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো মা'বুদ নেই,তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ, আপনি যা দান করেন তা ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। আর আপনি যা না দেন তা দেওয়ার ক্ষমতাও কারো নেই। কোনো পরিশ্রমকারীর পরিশ্রম আপনার ইচ্ছার বাইরে কোনো উপকারে লাগে না।
|
রেওয়াত (বর্ণনা):মুগীরা ইবনু শু'বা (রা) বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যেক সালাতের সালামের পরেই এই যিকরটি বলতেন।
(সহীহ বুখারী:১/২৮৯, নং ৮০৮, ৫/২৩৩২, নং ৫৯৭১, সহীহ মুসলিম, ১/৪১৪-৪১৫, নং ৫৯৩, সহীহ ইবনু হিব্বান, ৫/৩৪৫-৩৪৮, ৫/৩৪৯) (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা: ৪২)
|
اللَّـهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
|
[আল্লাহু লা- ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম।
লা- তা’খুজুহু সিনাতু ওয়ালা-নাউম। লাহু মা –ফিছছামা-ওয়াতি ওয়ামা- ফিল আরদ্। মান্ যাল্লাযী ইয়াশ্ ফা'উ ইন দাহু- ইল্লা-বি ইজনিহ্ । ই'য়ালামু মা-বাইনা আইদিহিম ওয়ামা-খ্বলফাহুম। ওয়ালা-ইউহিতু-না বিশাই ইম্ মিন 'ইলমিহী- ইল্লা-বিমা শা-আ ওয়াসি'য়া কুরসিইউ হুস্ ছামা -ওয়াতি ওয়াল্ আরদ্, ওয়ালা -ইয়া উদুহু- হিফ্জুহুমা- ওয়াহুয়াল 'আলিয়্যুল 'আজী-ম (আয়াতুল কুরসি: সূরা বাকারা :২৫৫ নং আয়াত]
|
আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি শাশ্বত, চিরঞ্জীব। বিশ্বপ্রকৃতির সর্বসত্তারধারক। তিনি তন্দ্রা-নিদ্রাহীন সদাসজাগ। মহাকাশও পৃথিবীর সবকিছুর মালিক। তাঁর সদয় অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করার সাধ্য কারো নেই। দৃশ্যমান বা অদৃশ্য, অতীত বা ভবিষ্যৎ—সৃষ্টির সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু জানাবেন, এর বাইরে তাঁর জ্ঞানের সীমানা সম্পর্কে ধারণা করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাঁর আসন,তাঁর কর্তৃত্ব পৃথিবী ও নভোমণ্ডলের সর্বত্র বিস্তৃত। আর তা সংরক্ষণে তিনি অক্লান্ত। তিনি সর্বোচ্চ সুমহান।’
|
আবু উমামাহ (রা:) বলেন, "রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী (সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করবে তাঁর জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না"।
(হাদীসটি হাসান। সূত্র: নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬/৩০,হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১৪৮, ১০/১০২, মুনাযিরী আত্-তারগীব ২/৪৪৮)।
অন্য হাদীসে হাসান (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি ফরয সালাতের শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে সে পরবর্তী সালাত পর্যন্ত আল্লাহর জিম্মায় থাকবে (হাদীসটি হাসান।সূত্র: তাবারানী, কাবীর ৩/৮৩। হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১৪৮, ১০/১০২, মুনযিরী, আত তারগীব ২/৪৪৮ (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা: ৪২)
উবাই ইবনু কা'ব (রা) বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে,"যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বিন থেকে হেফাযতে থাকবে এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত জ্বিন থেকে হেফাযতে থাকবে। হাদীসটি সহীহ (সূত্র: তাবারানী, আল-মু'জামুল, কাবীর ১/২০১, মুসতাদরাক হাকীম ১/৭৪৯, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১১৭, সহীহুত তারগীব ১/৩৪৫ (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা: ৪২).
|
بِسۡمِ ٱللهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِِ
1. قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ
Say: He is God, The One and Only ;
2. اللَّـهُ الصَّمَدُ
God, the Eternal, Absolute ;
3. لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
He begetteth not, Nor is He begotten ;
4. وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
And there is none Like unto Him.
بِسۡمِ ٱللهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِِ
1. قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
Say: I seek refuge With the Lord of the Dawn,
2. مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
From the mischief Of created things;
3. وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
From the mischief Of Darkness as it overspreads ;
4. وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
From the mischief Of those who practice Secret Arts ;
5. وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
And from the mischief Of the envious one As he practices envy.
بِسۡمِ ٱللهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِِ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
1. Say: I seek refuge
With the Lord
مَلِكِ النَّاسِ
2. The King (or Ruler)
Of Mankind,
إِلَـٰهِ النَّاسِ
3. The Allah (or Judge)
Of Mankind,
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
4. From the mischief
Of the Whisperer (Of Evil) who withdraws (After his whisper),
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
5. (The same) who whispers
Into the hearts of Mankind,
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
6. Among Jinns
And among Men. |
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
কুল ওয়াল্লাহু আহাদ
আল্লাহুস্ স্বমাদ
লাম্ ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান্ আহাদ।
কুল আ'উযু বিরাব্বিল ফালাক্ব।
মিন্ শাররি মা-খলাক্ব। ওয়ামিন শাররি গ-সিকিন ইযা- ওয়াকাব। ওয়া মিন্ শাররিন নাফ্ফাচা-তি ফিল্ উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা-হাসাদ।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
কুল আ'উযু বিরাব্বিন না-স।
মালিকিন্না-স। ইলাহিন্না-স। মিন শাররীল ওয়াস ওয়া-সিল খন্না-স। আল্লাযি ইউওয়াস্ উইসু ফী- সুদূ-রিন্না-স। মিনাল্ জিন্নাতি ওয়ান্ না-স। |
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
১) বলুন, তিনি আল্লাহ এক ৷
২) আল্লাহ কারোর ওপর নির্ভরশীল নন এবং সবাই তাঁর ওপর নির্ভরশীল ৷ ৩) তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনি কারোর সন্তান নন৷ ৪) এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই৷
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
(হে নবী! আপনি) বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের স্রষ্টার। আশ্রয় গ্রহণ করছি তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে,রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে, গ্রন্থিতে ফুৎকারদানকারী ডাইনিদের অনিষ্ট থেকে, হিংসুকের হিংসার অনিষ্ট থেকে।’
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার।
মানুষের অধিপতির, মানুষের মা'বুদের, তার অনিষ্ট থেকে- যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। |
سُبْحَانَ اللهِ
ٱلْحَمْدُ لِلَّٰهِ
الله أكبر |
:সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার
:আলহামদুলিল্লাহ ৩৩বার
:আল্লাহু আকবার ৩৪ বার
|
অর্থঃসুবহানাল্লাহ: আল্লাহ পবিত্র।
অর্থঃ আলহামদুলিল্লাহ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
আল্লাহু আকবার:আল্লাহ মহান।
|
এই যিকরগুলির বিষয়ে বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বিভিন্ন সংখ্যা বলা হয়েছে। (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা: ৪৩)।
|
سبحان الله و بحمده
|
সুবহা-নাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী
|
অর্থঃ আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা (বা প্রশংসাময় পবিত্রতা) ঘোষণা করছি।
|
আবু তালহা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:"যদি কেউ ১০০ বার 'সুব'হা-নাল্লাহি ওয়াবি'হামদিহী বলে, তাহলে আল্লাহ তাঁর জন্য ১,২৪,০০০ (এক লক্ষ চব্বিশ হাজার) সাওয়াব লিখবেন। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, তাহলে তো আমাদের কেউই বিপদে পড়বে না (জাহান্নামে কাউকেই যেতে হবে না)। তিনি বলেন: হাঁ। তোমাদের অনেকেই এত বেশি সাওয়াব নিয়ে কিয়ামতের দিন হাজির হবে যে, পাহাড়ের উপরে দিলেও পাহাড় ভেঙ্গে যাবে, কিন্তু এরপর আল্লাহ তাঁকে যে নিয়ামত দিয়েছিলেন তা এসে সব নিয়ামত নিয়ে চলে যাবে। এরপর মহাপ্রভূ রহমত নিয়ে এগিয়ে আসবেন। হাদীসটি সহীহ"। (মুসতাদরাক হাকীম ৪/২৭৯) (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা: ৪৫)।
|
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
|
উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী, 'আদাদা খ্বলক্বিহী, ওয়া-রিদ্বা নাফসিহী, ওয়া যিনাতা 'আরশিহী ওয়া মিদা-দা- কালিমা-তিহী। -সহিহ মুসলিম শরিফ : ৭০৮৮
|
অর্থ: আমি আল্লাহর পবিত্রতা ও প্রশংসা ঘোষণা করছি, তাঁর সৃষ্টির সম সংখ্যক, তাঁর নিজের সন্তুষ্টি পরিমাণে,তাঁর আরশের ওজন পরিমাণে এবং তাঁর বাক্যের কালির সমপরিমাণ।
ফজিলতঃ উম্মুল মুমিনীন জুআইরিয়্যা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের সালাতের পরে তাঁকে তাঁর সালাতের স্থানে যিকর রত অবস্থায় দেখে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি অনেক বেলা হলে দুপুরের আগে ফিরে এসে দেখেন তিনি (উম্মুল মুমিনীন) তখনও ঐ অবস্থায় তাসবিহ তাহলিলে রত রয়েছেন। তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] বলেন: তুমি কি আমার যাওয়ার সময় থেকে এই পর্যন্ত এভাবেই যিকরে রত রয়েছ? তিনি বললেন: হাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন: আমি তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে চারটি বাক্য তিনবার করে বলেছি (উপরের বাক্যগুলি)। তুমি সকাল থেকে এই পর্যন্ত যত কিছু বলেছ সবকিছু একত্রে যে সাওয়াব হবে, এই বাক্যগুলির সাওয়াব সেই একই পরিমাণ হবে।
(সহীহ মুসলিম ৪/২০৯০-২০৯১, নং ২৭২৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১১০, নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ১/৪০২, ৬/৪৮-৪৯) (প্রাগুক্ত পৃঃ ৪৬)
ইমাম তিরমিযী অনুরূপ ঘটনা উম্মুল মুমিনীন সাফিয়্যাহ (রা) থেকেও বর্ণনা করেছেন। সাফিয়্যাহ (রা) বললেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার কাছে এসে দেখেন আমার সামনে চার হাজার বিচি রয়েছে যা দিয়ে আমি তাসবীহ বা সুবহানাল্লাহর যিকর করছি। তিনি বললেন: তুমি কি এতগুলির সব তাসবীহ পাঠ করেছ? আমি বললাম: "হাঁ"। তখন তিনি তাঁকে উপরের যিকরের অনুরূপ বাক্য শিখিয়ে দেন। (সুনানুত তিরমিযী ৫/৫৫৫, নং ৩৫৫৪। মুসতাদরাক হাকিম ১/৭৩২, প্রাগুক্ত পৃঃ ৪৬)।
(একেই বলে:অল্প আমলে বেশী নেকী!)
|
দরুদে ইব্রাহিম
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ
|
উচ্চারণ:: আল্লাহুম্মাঁ সল্লিআ’লা- মুহাম্মাঁদিউ ওয়া আ’লা- আ-লি মুহাম্মাঁদ, কামা- সল্লাইতা আ’লা- ইব্রাহিমা ও আ’লা- আ-লি ইব্রাহিম, ইন্নাঁকা হামিদুম্মাজী-দ। আল্লাহুম্মাঁ বা-রিক আ’লা- মুহাম্মাঁদিউ ওয়া আ’লা আ-লি মুহাম্মাঁদ, কামা বা-রকতা আ’লা- ইব্রাহিমা ও আ’লা- আ-লি ইব্রাহিম, ইন্নাঁকা হামিদুম্মাঁজিদ।
|
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এবং তাঁর বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।
|
حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيهِ تَوَكَّلتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ
الْعَظِيمِ
(দু:চিন্তা মুক্তির দু'আ-৭ বার)
|
হাসবিয়াল্লা-হু, লা- ইলাহা ইল্লা হুআ, 'আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল 'আরশিল 'আযীম।
|
অর্থ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোনো মা'বুদ নেই, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করেছি, তিনি মহান আরশের প্রভূ।
|
উম্মু দারদা (রা) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, "যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৭ (সাত) বার এই আয়াতটি পাঠ করবে আল্লাহ তাঁর সকল চিন্তা, উৎকন্ঠা ও সমস্যা মিটিয়ে দেবেন। হাদীসটির সনদ মোটামুটি গ্রহণযোগ্য"। (সূত্রঃ সুনানু আবী দাউদ ৪/৩২১, নং ৫০৮১, তারগীব ১/২৫৫, নাবাবী, আল-আযকার, পৃ. ১২৭-১২৮, হিসনুল মুসলিম, পৃ. ৬১, প্রাগু্ক্ত পৃ. ৪৭)
|
رضيت بالله ربا وبالإسلام دينا وبمحمد نبيا
(আনন্দ লাভের দু'আ-৩ বার)
|
রাদীতু বিল্লা-হি রাব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দীনান, ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যান"।
|
অর্থঃ "আল্লাহকে প্রভূ হিসাবে, ইসলামকে দীন হিসাবে ও মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবী হিসাবে গ্রহণ করে আমি সন্ত্তষ্ট ও খুশি হয়েছি"।
|
মুনাইযির (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সকালে এই বাক্যগুলি বলবে, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করছি যে, তার হাত ধরে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাব"। হাইসামী হাদীসটির সনদকে হাসান বলেছেন (সূত্রঃ মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১১৬, যাকারিয়্যা, আল-ইখবার ফীমা লা ইয়াসিহু) ।
অন্য হাদীসে অআবু সাল্লাম (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: "যদি কোনো ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় (বা সকালে বিকালে) এই বাক্যগুলি (৩বার) বলে, তবে আল্লাহর উপর হক্ব (নিশ্চিত) হয়ে যায় যে, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে সন্ত্তষ্ট ও খুশি করবেন"। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন (সূত্রঃ মাসনাদু আহমদ ৩৩৭, সুনানুত তিরমিযী ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৯, সুনানু ইবনু মাজাহ ২/১২৭৩, নং ৩৮৭০, বুসীরী, যাওয়াইদু ইবনি মাজাহ, পৃ. ৪৯৯, আলবানী, যয়ীফু সুনানি ইবনু মাজাহ, পৃঃ ৩১৬, মাজামাউয যাওয়াইদ ১০/১১৬, প্রাগুক্ত পৃঃ ৪৮)।
একটি সহীহ হাদীসে আবু সাঈদ খুদরী (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: "যে ব্যক্তি (রাদীতু বিল্লাহি..........)বলবে, তার জন্য জান্নাত পাওনা হয়ে যাবে"। এই হাদীসে এই বাক্যগুলি বলার জন্য কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি। সর্বদা বা যে কোনো সময় আমরা এই দু'আ পাঠ করতে পারব। যাকিরের উচিত সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার এবং অন্যান্য সময়ে সুযোগমত এই বাক্যগুলি বলা (সূত্রঃ সহীহ মুসলিম ৩/১৫০১, নং ১৮৮৪, সুনানু আবী দাউদ ২/৮৭, নং ১৫২৯, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৯৯, মাওয়ারিদুয যামঅআন ৭/৩৯৮-৪০০)।
|
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ
|
উচ্চারণ- ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছু। (তিরমিজি, মিশকাত)
|
অর্থাৎ হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! তোমার দয়ায় আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি
|

















































![Surat al-Ikhlas 112 (Circular) "The Alif stands with pride. It is used to write الله [Allah]. Arabic-calligraphyIslamic ArtMore Pins Like This At ... - - #Architecture](https://i.pinimg.com/236x/77/a9/da/77a9da9f120d512c49ee90006b6a9554.jpg)




















নামাজ-ই জিকির এবং
জিকির-ই নামাজ
নামায, নামাজ বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদাত
কর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের
জন্য আবশ্যক বা ফরজ (ফরজে আইন)। নামায
ইসলামের বুনিয়াদী পঞ্চস্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
নামায শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত (ফার্সি: نماز) এবং বাংলা ভাষায় পরিগৃহীত একটি শব্দ যা আরবি ভাষার সালাত শব্দের (আরবি: صلاة, কুরআনিক আরবি:صلاة,) প্রতিশব্দ। বাংলা
ভাষায় 'সালাত'-এর পরিবর্তে
সচরাচর 'নামাজ' শব্দটিই ব্যবহৃত
হয়। ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, তুর্কী এবং বাংলা ভাষায় একে নামায (ফার্সি ভাষা থেকে
উদ্ভূত) বলা হয়।
"সালাত" আরবী, শব্দ। -এর
আভিধানিক অর্থ দোয়া, রহমত,
ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থ: ‘শরী‘আত নির্দেশিত ক্রিয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে
আল্লাহর নিকটে বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে ‘সালাত’ বলা হয়, যা
তাকবীরে তাহরীমাঃ আল্লাহু আকবার দ্বারা শুরু হয় ও আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
সালাম দ্বারা শেষ হয় ।
সহজ নামাজ শিক্ষা
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ যারা সুন্দরভাবে আদায় করে আল্লাহ তা’আলা তাকে ৫টি বিশেষ পুরুস্কার দান করে সম্মানিত করবেন-
(১) তার থেকে মৃত্যুজনিত কষ্ট দূর করে দিবেন। (২) কবরের শাস্তি থেকে মাফ করে দিবেন। (৩) কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে ডান হাতে আমালনামা দান করবেন। (৪) বিজলির গতিতে পোলসিরাত পার করাবেন। (৫) বিনা হিসাবে জান্নাত দান করবেন ।
অতএব সঠিকভাবে নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয় তা শিখে নেওয়া জরুরী । রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আল্লাহ তা’আলা জিব্রাইল (আলাইহিমুস সালাম)-এর মাধ্যমে নামাজ শিক্ষা দিয়েছেন।
ফরজ নামাজ
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মোট ১৭ রাকায়াত নিম্নরূপ ফরজ নামাজ রয়েছেঃ
ফরয নামাজ যেভাবে আদায় করতে হয়
অযুকরতঃ পবিত্রতা অর্জন করে নামাজের নিয়্যত করে ক্বিবলামুখি হয়ে তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ
الله اڪبر (আল্লাহু আকবার) বলে প্রথমে উভয় হাত উঠয়ে পরে হাত বেধে তারপর নিম্নোক্ত ছানা পড়বেনঃ
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল 'আলামীন। আররহমা-নির রহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দী-ন, ইয়য়া-কানা’বুদু ওয়াইয়য়া-কানাসতা'ই-ন। ইহদিনাছছির-ত্বল মুসতাক্বীম। ছিরত্বল্লাযী-না আন’আমতা ’আলাইহিম। গইরিল মাগধুবি ’আলাইহিম। ওয়ালাদ্ব দ্ব----ল্লী--ন। (আ-মী-ন) পড়বেন।
তারপর কোরআনে কারীম থেকে যে কোন একটি ছোট সূরাহ অথবা বড় সূরাহর কমপক্ষে ৩ আয়াত মিলাবেন।
﷽
সহজ নামাজ শিক্ষা
ভূমিকা
: মহান দয়াময় প্রভূ আল্লাহ সুবহা-নাহু তা'য়ালার কুদরাতি সৃষ্ট পৃথিবী তথা
মহাবিশ্বের মহাসৃষ্টিতে যা কিছু রয়েছে তা সুষম পরিমিত সংখ্যা ও পরিমাণে
পরিবেশ-প্রতিবেশ বান্ধব করে সৃষ্টি করা হয়েছে শুরু থেকে ক্রমান্বয়ে এই পর্যন্ত- যা
অদূর ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকারই কথা।
বস্তুতঃ আসমান-যমীন,
পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর,বন-মহাবন, সুবিস্তৃর্ণ সমতল মাঠ, গাছ-পালা,
তরু-লতা, পাখ-পাখালী, কীট-পতঙ্গ যা পরিবেশ-প্রতিবেশের নার্ভ বা স্মায়ু- এ সব
সৃষ্টির পরই পৃথিবীতে মানব জাতির উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের বসবাসের উপযোগী হওয়ার পরই পৃথিবীতে মানুষের আগমন
ঘটেছিল।
শুধু তাই
নয়, ক্ষুদ্র-বৃহৎ, জড়-জীব সবাইকে মানুষেরই অধীন করে মানুষের খেদমতে ন্যস্ত,ব্যস্ত
করা হয়েছে আর মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে একমাত্র আল্লাহরই ইবাদাত-বন্দেগী করার
জন্য। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা ফরমানঃ ওয়ামা খলাক্বতু জিন্নাহ ওয়াল ইনসা
ইল্লা লি'আবুদুন। অর্থাৎ একমাত্র আমি আল্লাহর হুকুম পালনের জন্যই জ্বীন এবং মানব
সৃষ্টি।
সর্বোত্তম,
সর্বশ্রেষ্ঠ হুকুম বা ইবাদত হচ্ছেঃ ওয়াকিমুস স্বলাতঃ নামাজ কায়েম করো। বস্তুতঃ
স্বলাত বা নামাজ হচ্ছে দ্বীন ইসলামের ৫ প্রধান ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রধান। ঈমানের
পরই সালাত বা নামাজ। আসসালাতু ইমাদ্ উদ্দীন-নামাজ দ্বীন ইসলামের খুঁটি বা স্তম্ভ
(পিলার),আস সালাতু মিরাজুল মুমিনিনঃ নামাজ মুমিন-মুসলমানদের আল্লাহর সন্নিকটবর্তী
হওয়ার মাধ্যম। নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যঃ ওয়াকিমুস সলাতা লিজজিকরিল্লাহ- তোমরা নামাজ
আদায় করো আল্লাহকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ আল্লাহর স্মরণের জন্যই নামাজ।
তাই নামাজকে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ জিকরি আকবারঃ বড় জিকির । অআলা
বিজিকরিল্লাহি তাতমাইন্নুল কুলুব অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহর জিকরেই আত্মার বা মনের
শান্তি।
নামাজ
একটি ফরজ (আবশ্যিক) ইবাদত।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ যারা সুন্দরভাবে আদায় করে আল্লাহ তা’আলা তাকে ৫টি বিশেষ পুরুস্কার দান করে সম্মানিত করবেন-
(১) তার থেকে মৃত্যুজনিত কষ্ট দূর করে দিবেন। (২) কবরের শাস্তি থেকে মাফ করে দিবেন। (৩) কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তাকে ডান হাতে আমালনামা দান করবেন। (৪) বিজলির গতিতে পোলসিরাত পার করাবেন। (৫) বিনা হিসাবে জান্নাত দান করবেন ।
অতএব সঠিকভাবে নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয় তা শিখে নেওয়া জরুরী । রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আল্লাহ তা’আলা জিব্রাইল (আলাইহিমুস সালাম)-এর মাধ্যমে নামাজ শিক্ষা দিয়েছেন।
ফরজ নামাজ
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মোট ১৭ রাকায়াত নিম্নরূপ ফরজ নামাজ রয়েছেঃ
।
(১) ফজর – দুই রকাত ফরজ।
(২) জোহর – চার রাকাত ফরজ। (শুক্রবার জোহরের পরিবর্তে জুমার দুই রাত ফরজ পড়তে হয়)
(৩) আছর – চার রাকাত ফরজ।
(৪) মাগরিব – তিন রাকাত ফরজ।
(৫) এশা – চার রাকাত ফরজ ।
(১) ফজর – দুই রকাত ফরজ।
(২) জোহর – চার রাকাত ফরজ। (শুক্রবার জোহরের পরিবর্তে জুমার দুই রাত ফরজ পড়তে হয়)
(৩) আছর – চার রাকাত ফরজ।
(৪) মাগরিব – তিন রাকাত ফরজ।
(৫) এশা – চার রাকাত ফরজ ।
ফরয নামাজ যেভাবে আদায় করতে হয়
অযুকরতঃ পবিত্রতা অর্জন করে নামাজের নিয়্যত করে ক্বিবলামুখি হয়ে তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ
الله اڪبر (আল্লাহু আকবার) বলে প্রথমে উভয় হাত উঠয়ে পরে হাত বেধে তারপর নিম্নোক্ত ছানা পড়বেনঃ
সুবহা-নাকাল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়াতাবা-রকাসমুকা ওয়া'তাআলা
জাদ্দুকা ওয়ালা-ইলা-হা গইরুকা।
তারপর আ'উয়ুজু বিল্লাহি মিনাশ্ শায়ত্বনির রজীম এবং বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহীম পড়বেন।
তারপর সূরা ফাতেহাঃ
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল 'আলামীন। আররহমা-নির রহীম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দী-ন, ইয়য়া-কানা’বুদু ওয়াইয়য়া-কানাসতা'ই-ন। ইহদিনাছছির-ত্বল মুসতাক্বীম। ছিরত্বল্লাযী-না আন’আমতা ’আলাইহিম। গইরিল মাগধুবি ’আলাইহিম। ওয়ালাদ্ব দ্ব----ল্লী--ন। (আ-মী-ন)
তারপর কোরআনে কারীম থেকে যে কোন একটি ছোট সূরাহ অথবা বড় সূরাহর কমপক্ষে ৩ আয়াত মিলাবেন।
( অসমাপ্ত ইনশাআল্লাহ)
সম্পাদনায়ঃ শেখ মুহাম্মাদ রমজান হোসেন।
No comments:
Post a Comment