করোনা আক্রান্ত পৃথিবী:
সতর্ক-সচেতন বিশ্ববাসী
-শেখ মুহাম্মাদ রমজান হোসেন, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
-শেখ মুহাম্মাদ রমজান হোসেন, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ নামক ভাইরাসটি অনেকটা যেন আলেকজান্ডার দ্য
গ্রেটের ন্যায় বিশ্ববিজয়ী বেশেই চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নগরী থেকে বিশ্বজয় যাত্রা
শুরু করে একের পর এক দেশ-মহাদেশ অধিকার করেই চলেছে। আর কয়েকটি মাত্র দেশ অধিকার করতে
পারলেই বিশ্ববিজয়ীর তঘমা (World Cup) হয়তো জুটতে পারে কোষবিহীন অতি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র,
সূক্ষ্ণাতি সূক্ষ্ণ এই ভাইরাসটির নসীবে। এ
জয়ের ধারা কখন, কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ
সুবহা-নাহু তায়ালা ব্যতিত আর কেহ জানার কথা নহে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রবল প্রতাপশালী এই অগ্রযাত্রার ধরণ থেকে মনে হচ্ছে
এটি মানবোতিহাস আর বিশ্ব ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেই এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল
বিশ্বের অত্যাধুনিক সকল প্রযুক্তি-কে পাশ কাটিয়ে। যাতে বিস্মিত হচ্ছে বিশ্ববাসী, বিস্মিত জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানীরাও।
অদ্ভূতজাতীয় এই ভাইরাসের ব্যাপারে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার সত্ত্বেও যে সব
কারণে ভাইরাসটির কোন কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না তার অন্যতম কারণ হচ্ছেঃ এটি অনেকটা
জ্বিনের মত অহরহ রূপ-চরিত্র পরিবর্তন করেই মানবাত্মা তথা মানবসত্বাকে একের পর এক আঘাত
করেই চলেছে অব্যাহতভাবে।
সংগত কারণেই তাই করোনাভাইরাসটির খুটিনাটি জানার এবং বুঝার
আছে-এটা অনস্বীকার্য বটে। নিম্নে সন্মানিত পাঠকবর্গের খেদমতে উইকিপিডিয়া-বিশ্বকোষের
সৌজন্যে “ এর
ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ।
করোনা কি এবং কিভাবে এর বিস্তারঃ
“ (CoronaVirus) একাধারে ল্যাটিন “ যার অর্থ মুকুট এবং κορώνη korṓnē যার অর্থ “
বা “। নামটি
ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ভিরিয়নের (ভাইরাসের সংক্রামক আকার) বৈশিষ্ট্যমূলক
উপস্থিতিকে নির্দেশ করে। ভিরিয়য়েছে-যা মুকুটের স্মৃতি তৈরি
করে। এর অঙ্গসংস্থান ভাইরাল স্পাইক পেপলোমিয়ার য়েছে-যেগুলো মূলত ভাইরাসের
পৃষ্ঠে অবস্থিত প্রোটিন। এ প্রোটিন সংক্রমিত হওয়া টিস্যু-কে বিনষ্ট করে
দেয়।
ফলে ভাইরাসটি ডাইমরফিজম রুপ প্রকাশ করে।
করোনাভাইরাস চীনা: 冠状病毒, ইংরেজি: Coronavirus) সেই শ্রেণীভুক্ত ভাইরাস-যারা স্তন্যপায়ী প্রাণী পাখি-কে শ্বাসনালীকে আক্রমন করে । এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, ক্ষেত্রে যা সাধারণ ঠাণ্ডাজ্বরের মত মনে হতে পারে। এটি সাধারণতঃ রাইনোভাইরাস কারণে ঘটতে পারে। কিছু কিছু
ক্ষেত্রে তা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে, সার্স, মার্স কোভিড-১৯। অন্যান্য
প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য পরিদৃষ্ট হয়। যেমন
মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালীতে সংক্রমণ য়, ডায়রিয়া
করোনার অতীত ইতিহাস
মার্স-কোভি কিছু বাদুড়ের করোনাভাইরাস প্রজাতির সাথে
সম্পর্কযুক্ত হলেও ধারণা করা হয় বেশকিছু শতাব্দী আগে এর উৎপত্তি ঘটে।[২৮] [২৯]
১৯৮৬ সালে বাদুড় করোনাভাইরাস এবং সার্স-কোভির সাথে
সম্পর্কযুক্ত ভাইরাস উৎপত্তি লাভ করে।[৩০] হিপোসিডারিডি রাইনোলফিডির প্রজাতির মধ্যে, ভামের [৩১][৩২]
রেপ্লিকেশন
ভাইরাস যখন এর মানবদেহে প্রবেশ করে এবং সেই দেহ কোষের রিসিপ্টরে এর স্পাইক প্রোটিন সংযুক্ত করে তখনই
সংক্রমণ শুরু করে দেয়। সংযুক্তির পরে ভুক্তভোগীর কোষ থেকে নিঃসৃত
প্রোটিয়েজ
রিসেপ্টরের সাথে যুক্ত স্পাইক, য় করে। উক্ত কোষে প্রোটিয়েজ প্রাপ্তিসাপেক্ষে, য়করণের দ্বারা নির্ধারিত হয় ভাইরাসটি এন্ডোসাইটোসিসের মাধ্যমে নাকি দেহস্থিত কোষঝিল্লির সাথে ভাইরাল
এনভেলপের সরাসরি একীভূত হওয়ার মাধ্যমে কোষে প্রবেশ করবে।
মানবদেহে কোষে প্রবেশের সময় ভাইরাস কণাটি অনাবৃত অবস্থায় থাকে এবং এর জিনোম কোষের সাইটোপ্লাজমে প্রবেশ করে।
করোনাভাইরাস আরএনএ জিনোমের একটি ৫’ য়েছে- যা আরএনএ-কে রূপান্তরের জন্য ঐ দেহ কোষের রাইবোজোমের সাথে
যুক্ত রাখে।
মানব করোনাভাইরাস
ক্ষতির সম্ভাবনার দিক থেকে করোনাভাইরাস বেশ বৈচিত্র্যময়। কিছু প্রকরণ আক্রান্তের ৩০%-এরও বেশিকে মেরে ফেলে (যেমন মার্স-কোভি), [৩৪] জ্বর, অ্যাডিনয়েডের গলা
ব্যথা। এগুলো সাধারণত শীতকালে এবং বসন্ত ঋতুর শুরুর দিকে হয়।[৩৫] য়া য়া য়াজনিত নিউমোনিয়া) এবং ব্রঙ্কাইটিসের ভাইরাসজনিত ব্রঙ্কাইটিস ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্রঙ্কাইটিস) মাধ্যমে।[৩৬] সার্স-কোভি য়। এই
ভাইরাস একইসাথে সিভিয়ার
এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম উর্ধ্ব নিম্ন শ্বাসনালী সংক্রমণ য়।[৩৬]
মানব করোনাভাইরাসের নিম্নলিখিত প্রকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে:
এবং নিচের তিনটি,
করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস য়। পরে মানুষের মধ্যে-যারা সাধারণ সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত এমন রোগীদের মধ্যেয়া যায়।
য়া ভাইরাস দুটি ১) ‘২) ‘য়।[৪] য় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায়-যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ ২০০৩ সালের ‘র ‘র ‘র ‘ে প্রাপ্ত চীনের ‘। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।[৫]
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ
·
অবসাদ
·
শুষ্ক কাশি
·
বমি হওয়া
·
গলা ব্যাথা
·
অঙ্গ বিকল হওয়া
·
মাথা ব্যাথা
·
পেটের সমস্যা


দুর্যোগের শুরু চীনে
সেসময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের পরিচালক আই ফেন সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে ল্যাব টেস্টের রিপোর্টটি শেয়ার করেন। পরে সেটি আরও কয়েকজন
চিকিৎসকের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মিডিয়ায়। তবে তাদের কথাকে দাম দেয়নি চীনা
প্রশাসন। বরং ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।
তবে বছরের শেষদিনে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রথমবারের মতো
উহানের কয়েক ডজন মানুষ ‘
উহান পেরিয়ে বাইরে
এরপর থেকেই শুরু হয় করোনা ঝড়। প্রশ্ন উঠতে থাকে এর বিস্তার
প্রতিরোধের পদ্ধতি নিয়ে। কিছুদিনের মধ্যেই চীন বিভিন্ন কড়াকড়ি আরোপ করে। চীনা
নববর্ষের মাত্র একদিন আগে ২৩ জানুয়ারি লকডাউন করা হয় উহান শহর,
আক্রান্ত এশিয়া
১ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ফিলিপাইনে। এরপর
থেকেই এশিয়া অঞ্চলে ভাইরাসটির সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকে। এ থেকে বাঁচতে সব
স্কুল-অফিস বন্ধ ঘোষণা করে হংকং।
৫ ফেব্রুয়ারি জাপানে ৩ হাজার ৬০০ যাত্রী নিয়ে আটকে পড়ে বিশাল
প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস। ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সাগরেই কোয়ারেন্টাইনে
রাখা হয় জাহাজটিকে। এর ছয় শতাধিক যাত্রী আক্রান্ত হয়েছেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে।
মারা গেছেন ছয়জন।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ পার হয়ে গেল। ১৬ই এপ্রিল, ২০২০, জুমাবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ৪৬ হাজার। আর মারা গেছে ১ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এদিন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩৩ হাজার অতিক্রম করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলেছেন, কার্যকর কোনো ভ্যাকসিন না পেলে সামাজিক দূরত্ব ২০২২ সাল পর্যন্ত পালন করার প্রয়োজন হতে পারে বিশ্বকে।
১ লাখ ৮২ হাজার লোকের আক্রান্ত হবার মধ্য দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে আছে স্পেন। সেখানে মারা গেছে ১৯ হাজারের বেশি লোক। আর মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইতালি (২১ হাজার ৬০০র বেশি)। গতকাল পর্যন্ত ফ্রান্স ও জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১ লাখ ৪৭ হাজার ও ১ লাখ ৩৫ হাজার। ইরানে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭৭ হাজার আর মারা গেছে ৪ হাজারের বেশি লোক।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব (২০১৯-২০২০)
২০১৯সালের৩১ ডিসেম্বরে উহানশহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির
সংক্রামণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ (Coronavirus Covid-19) নামকরণ করে।
World
Health Organization প্রাথমিকভাবে ১২১টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণের খবর পাওয়া -যাতে ৮,৯৬০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে আরো
২,১৯,৩৮৪ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৮৫,৭৪৯ জনের বেশি লোক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ঠে। সর্বশেষ মাত্র ৪১ দিনের মাথায় অর্থাৎ ১২ এপ্রিল, ন্স আক্রান্তের সংখ্যা ১৮, ,৪, এবং সুস্থ হয়েছেন ৪,। এই
উল্লেখ্য, উহানে দেখা দেওয়া ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এ প্রজাতিটি সাপ থেকে এসেছে-যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন।[৮] ।
করোনা সচেতন ঐতিহ্যবাহি শেখজী জামে মসজিদ -
পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত সকাল ৭ - ৩০ টায়।
মাস্ক পরিধান - মসজিদে প্রবেশের সময় মসজিদ নির্ধারিত স্প্রে ব্যবহার ও মসজিদে অবস্থান এবং কাতার বন্দির সময় মৃদ ফাঁক ফাঁক করে দাঁড়ানো সহ সকল সু রক্ষা নীতি অবলম্বন পূর্বক যথা সময়ে ঈদ জামাতে হাজির হোন।

করোনা সচেতনতায় যুক্তরাষ্ট্রে বিলবোর্ডে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের উহান থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোন ভাইরাস। প্রাণঘা'তী এই ভাইরাসে মৃ'ত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৫৬৫ জন মা'রা গেছেন এবং আক্রা'ন্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৩ জন। করোনার প্রাদু'র্ভাব কমাতে বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছে দেশটি।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে বিলবোর্ডে হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণী ব্যবহার করে প্রচারণা অনেকের নজর কেড়েছে। যা এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি বিলবোর্ডে হাদিসের বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে- রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ''সং'ক্রা'মক রোগের সময় তোমরা বারবার হাত ধোও, সং'ক্রা'মিত এলাকায় প্রবেশ করো না এবং সং'ক্রা'মিত এলাকা থেকে বাইরে যেও না।''
No comments:
Post a Comment