চট্টগ্রামে করোনার্ত মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ সংস্থা/প্রতিষ্ঠান
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল
বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে করোনার্ত মানবতার সেবায় নিবেদিতপ্রাণ সরকারী-আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং সংস্থা/প্রতিষ্ঠান পরিচালিত করোনা “কোভিড-১৯ টিকদান কেন্দ্র” আলহামদুলিল্লাহ! ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ যাবৎ নগরীর প্রধান প্রধান “কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র”-এর মধ্যে ১. চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ২. চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ৩. বিমান বাহিনী হাসপাতাল ৪. নৌবাহিনী হাসপাতাল ৫.সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ৬. বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হাসপাতাল ৭্ পুলিশ হাসপাতাল, ৮. চসিক জেনারেল হাসপাতাল ৯ .চসিক বন্দরটিলা হাসপাতাল এর সাথে সরকারী পর্যায়ে ১০তম “কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র” হিসাবে গত ১১ই এপ্রিল, ২০২১ সালে যুক্ত হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল।
অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করে চবক হাসপাতালে টিকা নেওয়া যাবে। এ টিকাদান কেন্দ্রের কারণে বন্দর কর্মকর্তা কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের টিকা গ্রহণ সহজতর হবে।
উল্লেখ্য, টিকা গ্রহণের জন্য বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের রেজিস্ট্রেশন সহায়তা দিতে বন্দর হাসপাতালের ১১১ নম্বর রুমে "সহায়তা ডেস্ক" স্থাপন করা হয়েছে।
কেবল কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল সীমাবদ্ধ নয় সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দর হাসপাতালের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলার এক বৃহদাংশকে পূর্ণাঙ্গ করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়েছে। নীচ তলায় সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার মওজুদ রাখা হয়েছে।
চবক হাসপাতালের আউট ডোর কোভিড-১৯ চিকিৎসাঃ
এছাড়া, সাধারণভাবে স্বাভাবিক জ্বর, সর্দি, কাশিতে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ভূগছেন তাদের জন্য চবক হাসপাতালের আউট ডোরে খোলা হয়েছে "ফ্লু কর্ণার" নামে বিশেষ করোনা কোভিড-১৯ সেবা চিকিৎসা কেন্দ্র। এসব রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খ্যাতনামা ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এ প্রতিবেদক পেশাগত (অবঃ) চিকিৎসা সুবিধায় করোনার উপসর্গজনিত আউটডোর চিকিৎসা গ্রহণকালে সরেজমিনে চবক হাসপাতালের এ তথ্য লাভ করে।
উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ১লা জুলাই হতে বন্দর হাসপাতালে করোনা টেস্ট কার্যক্রমসহ কোভিড-১৯ চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রয়েছে। বন্দর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে চিকিৎসা সেবারত অবস্থায় ইতোমধ্যে উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা জনাব কাউসার আহমদ মজুমদার “করোনা শহীদ” হয়েছেন। এছাড়া চবক কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মাদ আবদুল মান্নান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মুহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম, পিএ (অবঃ) জনাব মুহাম্মাদ জামাল উদ্দিন, সিপিএ নেতা জনাব মুহাম্মাদ ফখরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কর্মর্তা-কর্মচারী "করোনা শহীদ" হয়েছেন।
এছাড়া বেসরকারী পর্যায়ে করোনার্ত মানবতার সেবায় যে সব সংস্থা/প্রতিষ্ঠান নিবেদিত প্রাণ তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে: ১. মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল ২. ছাফা মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল অন্যতম।
মহান আল্লাহ উনাদের সবাইকে বেহেশত নসীব করুন। আমিন।
ReplyDelete